স্টাফ রিপোর্টার
সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের নেতারা বলেছেন, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বর্জিত জাতীয় শিক্ষানীতির সংশোধন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি. শামীম মো. আফজালের অপসারণ ও যথোপযুক্ত শাস্তি বিধান, ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ এবং সংবিধান থেকে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণাঙ্গ আস্থা’র বিষয়টি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ২৬ ডিসেম্বর হরতাল কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বেশ ক’বার পরিষদ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিষদ উত্থাপিত যুক্তিযুক্ত দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং প্রেসনোট আকারে তা জাতিকে জানানো হবে-এমন নিশ্চয়তার প্রেক্ষিতেই ওই হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু সরকার পক্ষ এখন তাদের দেয়া ওয়াদা থেকে সরে গিয়ে যে তালবাহানার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাজনৈতিক অসততা ও মোনাফেকির শামিল। এ ধরনের শঠতা ও ওয়াদা ভঙ্গের পরিণতি শুভ হবে না বলে পরিষদ নেতারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গতকাল বিকালে ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আলমগীর মজুমদার, মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, মমতাজ চৌধুরী প্রমুখ। সভায় উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে সরকারের পক্ষে তার প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ আবারও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এদিকে শিক্ষানীতি সংশোধনসহ অপরাপর দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সূচিত আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখের সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রথমদিনে গতকাল মাগরিব বাদ বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়।
No comments:
Post a Comment