Thursday 25 March 2010

২০১৪ সালের মধ্যেই নিরক্ষর মুক্ত বাংলাদেশ দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

Mon 22 Mar 2010 1:53 PM BdST

rtnnঢাকা, ২২ মার্চ (আরটিএনএন ডটনেট)-- আগামী ২০১৪ সালের মধ্যে সরকার নিরক্ষরতা দূরীকরণের পাশাপাশি সব শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সঙ্গে ২০১১ সালের মধ্যে সব শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।

সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ইউনেস্কোর উদ্যোগে সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে নিরক্ষরতা মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও আমরা ২০১৪ সালের মধ্যেই সে লক্ষ্য অর্জন করতে চাই।

কেবল শিক্ষার হার বৃদ্ধিই সরকারের লক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারে থাকতেই সব শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করবো।

নাহিদ বলেন, এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় নতুন করে দেড় হাজার বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। দারিদ্র্যের কারণে যেসব বিদ্যালয়ে ভর্তির হার কম সেসব বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার ও উপ-বৃত্তি প্রদান করা হবে।

এ সময় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার হ্রাস করতে বিদ্যালয়ে আনন্দময় পরিবেশ তৈরির উদ্যোগের কথাও জানান মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, তিনদিনের এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৪০টি দেশের মোট ৭০ জন প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার শিক্ষাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করছেন।

আরটিএনএন ডটনেটে/আইএইচ/এমআই_ ১২৫০ ঘ.

http://rtnn.net/details.php?id=22845&p=1&s=5

Thursday 18 March 2010

সংশোধিত বাজেটবিদ্যুতে অগ্রাধিকার, তবু বরাদ্দ কমল হাজার কোটি টাকা

Kalerkantho | ঢাকা, শুক্রবার, ৫ চৈত্র ১৪১৬, ২ রবিউস সানি ১৪৩১, ১৯ মার্চ ২০১০

আবদুর রহিম হারমাছি

সংশোধিত বাজেটবিদ্যুতে অগ্রাধিকার, তবু বরাদ্দ কমল হাজার কোটি টাকা আবদুর রহিম হারমাছিবিদ্যুৎ খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা মুখে বললেও সরকারের কর্মকাণ্ডে এর কোনো প্রতিফলন লক্ষ করা যাচ্ছে না।

চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, সংশোধিত বাজেটে এর থেকে এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিদ্যুৎ খাতের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও দরপত্র ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের ডিসেম্বর '০৯ পর্যন্ত সময়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী সংশোধিত বাজেটের যে রূপরেখা (ধারণা) দিয়েছেন, তাতে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়লেও বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন তিনি।
সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের মোটা অঙ্কের বরাদ্দ কমানোর এ ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক দুই উপদেষ্টা আকবর আলি খান ও এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তাঁরা বলেছেন, এমনিতেই এবারের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তা থেকে বরাদ্দ কমালে বিদ্যুৎ খাতের সমস্যার সমাধান না হয়ে সংকট আরো ঘনীভূত হবে। বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দ কেন কমানো হচ্ছে_এ প্রশ্নের জবাবে গত বুধবার অর্থমন্ত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাজেট সংশোধন হবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রতিবারই এটা হয়। এক খাতের টাকা খরচ না হলে অন্য খাতে যাবে_এটা নতুন কিছু নয়। বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ কেন কমানো হচ্ছে, সেটা আমি প্রতিবেদনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছি।'
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিদ্যুৎসহ অন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও এ অর্থবছরে দরপত্র ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ মন্ত্রণালয়গুলোর বরাদ্দ কমবে। তবে আগামী অর্থবছরে চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ জোগান দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেট বাস্তবায়নসংক্রান্ত এ অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার তিন হাজার ২৯৬ কোটি টাকা কমে এক লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। মূল বাজেটের আকার ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ কমা প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, এমনিতেই বিদ্যুৎ খাতে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছিল। এরপর ওই কম বরাদ্দ থেকে আরো কমানোর ফলে দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান তো হবেই না, উল্টো সংকট আরো ঘনীভূত হবে।
নির্বাচনী ইশতেহারে সরকার ২০১৩ সালের মধ্যে সাত হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ কমার ফলে সরকারের সে অঙ্গীকার পূরণ করতে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন আকবর আলি খান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আরেক সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারের কাজের ধীরগতির কারণেই বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। এর ফলে দেশে বিদ্যুৎ সংকট আরো বাড়বে।
বর্তমানে দেশে গড় বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় তিন হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।