tag:blogger.com,1999:blog-32651781081126172112023-11-15T22:14:18.206-08:00Awami Brutality - Promise & HopeAnonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.comBlogger35125tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-88384366416323631722012-01-01T00:09:00.000-08:002012-01-01T00:10:23.130-08:00শুধু প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন নেই<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhPzrcWc08HjUKOIllMeZa0cBeGwzyRO2W1GzQwbUUg8Fmz_Je6NU77X3XZcmvoiOgljhqYMLuJYG4aWexq9N-F2cY-Sq948PLnND0RCyeABgpTUwxZ9DiDCgBJnOdGB7lvUyB156KjCGtK/s1600/P1_Lead_87.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 262px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhPzrcWc08HjUKOIllMeZa0cBeGwzyRO2W1GzQwbUUg8Fmz_Je6NU77X3XZcmvoiOgljhqYMLuJYG4aWexq9N-F2cY-Sq948PLnND0RCyeABgpTUwxZ9DiDCgBJnOdGB7lvUyB156KjCGtK/s400/P1_Lead_87.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5692572904952569074" /></a><br /><br /><br /><br /><br />আলাউদ্দিন আরিফ<br />আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের তিন বছরের শাসনামলে সারাদেশে উল্লেখ করার মতো কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিরোধী দল দমন ও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার যতটা মরিয়া ছিল, ততটাই উদাসীন ছিল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে। বড় বড় প্রকল্পের নামে জনসাধারণকে স্বপ্নে বিভোর রাখার যতটা চেষ্টা দেখা গেছে, বাস্তবায়নের উদ্যোগ ও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি তার ছিটেফোঁটাও। অনুন্নয়ন খাতের ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে প্রতি বছরই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে কাটছাঁট করা হয়েছে বড় ধরনের। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ, ঢাকায় পাতাল রেল, মনোরেল, সার্কুলার রেলপথ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, গণপরিবহন সমস্যার সমাধান, যানজটমুক্ত ঢাকা উপহার দেয়া, ঢাকার চারদিকে বৃত্তাকার (অরবিটাল) জলপথ তৈরি, টানেল নির্মাণ, চার লেনবিশিষ্ট ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক তৈরি, রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন। কিন্তু এসবের একটি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নও দেখেননি দেশের মানুষ। আগামী দুই বছরেও এগুলো বাস্তবায়নের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। <br />বাস্তবায়িত হয়নি ২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ মহাজোটের এমপি প্রার্থীদের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতিগুলোও। এসব নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের এমপিরাও এলাকায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। এলাকায় গেলে তারা মানুষের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। এমপিদের অনেকে মন্ত্রণালয়ে ধরনা দিচ্ছেন নিজ এলাকার উন্নয়নে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য, কিন্তু কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। <br />আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের যেসব প্রতিশ্রুতি ছিল—পদ্মা সেতু নির্মাণ, পরিবহন, সড়ক নির্মাণ, গৃহায়ন, বন্দর উন্নয়ন ও নির্মাণে উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সড়ক নেটওয়ার্কে গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সদরকে সংযুক্ত করার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এসব প্রতিশ্রুতির একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। সারাদেশের কোথাও এক কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মিত হয়নি গত ৩ বছরে। দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু থেকে অর্থ সহযোগিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও এডিবিসহ দাতা সংস্থাগুলো। এখন পদ্মা সেতু তৈরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রেলপথ বাড়েনি এক ইঞ্চিও। রেলওয়ের উন্নয়নে ১২টি প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তার একটিও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। <br />আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দেশের চাইতে প্রতিবেশী ভারতের স্বার্থ দেখা হয়েছে বেশি। তাদের ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ‘এশীয় রেল ও জনপথের আওতায় পাশের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।’ এই ইশতেহার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার নেপালের সঙ্গে রেল ট্রানজিট (পণ্য পরিবহন) ফের চালু করেছে। তবে রেললাইনের উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখন বলা হচ্ছে, ভারতকে করিডোর দেয়ার জন্য ত্রিপুরার আগরতলা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। <br />সারাদেশে ছোট-বড় ৩১০টি নদী। ফারাক্কাসহ ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর ৪২টিতে বাঁধ দেয়ায় দেশের নদীগুলোতে পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে; কমে গেছে নৌপথ। আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি ছিল ‘প্রতিটি ছোট-বড় নদী খনন করা হবে এবং তা যেন সারাবছর নাব্য থাকে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিরাপদে স্বল্প খরচে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য নৌপথের উন্নয়ন ও নৌ পরিবহনের আধুনিকায়ন করা হবে।’ মহাজোটের গত তিন বছরে নদী খননের বড় বড় কয়েকটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, কিন্তু এর একটিরও বাস্তবায়ন হয়নি। <br />বাস্তবায়ন হয়নি বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন করার প্রতিশ্রুতিও। স্থলবন্দরগুলোও আধুনিকায়ন হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি ভারত সফরকালে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করা ৫০ দফা ইশতেহারের ২৩ নম্বর দফায় বাংলাদেশে সড়ক ও রেলপথে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। <br />ইশতিহারে ছিল ‘বাংলাদেশ বিমানকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার। আওয়ামী লীগ সরকারের ৩ বছরে মন্ত্রীর বদল হলেও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়নি বিমান। বাংলাদেশ বিমানে একটি নতুন বিমান সংযোজন ছাড়া গত ৩ বছরে বিমানের তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। <br />জেলাপর্যায়ে এমপিদের যেসব প্রতিশ্রুতি ছিল সেগুলোও বাস্তবায়তি হয়নি আওয়ামী লীগ শাসনের এই ৩ বছরে। পঞ্চগড় জেলায় স্কুল-কলেজ নির্মাণসহ সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিল বাংলাবান্দা স্থলবন্দর চালুর। কিন্তু এই বন্দর চালু করা সম্ভব হয়নি।<br />দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রামীণ সড়ক, জেলা ও উপজেলা পরিষদের রাস্তাসহ সব রাস্তাঘাটেরই বেহাল দশা—খানাখন্দে ভরা। গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলো মেরামত না হওয়ায় মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা সড়কটির বেহাল দশার কথা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালিয়াপাড়া থেকে কচুয়া পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক বেশ ক’বছর ধরেই নাজুক। গত ৩ বছরে স্থানীয় এমপি ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও সড়কটি মেরামত করানো যায়নি। পুরো উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার সড়কগুলোরও বেহাল দশা। আশরাফ গ্রামের আবু তালেব মেম্বার জানান, তার বাড়ি থেকে উপজেলা সদর ১৪ কিলোমিটার। এই ১৪ কিলোমিটার রাস্তা বাসে গেলেও শরীরের হাড়গোড় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। <br />দিনাজপুরে গত ৩ বছরে জেলা স্কুলের সামনে একটি পাবলিক টয়লেট ছাড়া পুরো জেলায় দৃশ্যমান আর কোনো উন্নয়ন হয়নি। ঠাকুরগাঁওয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী থাকার সুবাদে সদর উপজেলার পার্শিদেবীতে রেগুলেটর কাম ব্রিজ নির্মাণাধীন রাবার ড্যাম ও শ্রীপুর কলেজে এক একাডেমিক ভবন ছাড়া তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সৈয়দপুরে ২০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ ও বিমানবন্দরকে আধুনিয়াকয়নের প্রতিশ্রুতি ছিল, কিন্তু সেগুলো আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এভাবে দেশের প্রত্যেকটি আসনে আওয়ামী লীগ মহাজোটের এমপিদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এসব নিয়ে মহাজোটের শরিক এবং আওয়ামী লীগের এমপি—সবাই ক্ষুব্ধ। <br />গত রোববার মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, এই সরকারের দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু হয়নি। পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু দুর্নীতির কারণে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ঘরে ঘরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। লাখ লাখ টাকা ঘুষ ছাড়া এখন চাকরি হয় না কোথাও। দেশের কোথাও অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন দেখা যায় না। <br />সম্প্রতি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেটা এখন দেখার বিষয় নয়। আমার সামনে সবচেয়ে বড় কাজ হলো পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমার প্রথম অগ্রাধিকার হবে মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে স্বস্তি নিশ্চিত করা।<br />এই সরকারের প্রতি এখনও জনগণের বিপুল প্রত্যাশা আছে। হাতে সময় কম হলেও তহবিলের দিকে নজর রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজানো হবে। এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক, সময় কম। পথ অনেক, জ্বালানি কম। এর মধ্যেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-45458712638729443452011-12-19T01:23:00.000-08:002011-12-19T01:24:26.507-08:00ঘুষ দাবি করায় বিদেশি বিনিয়োগ হলো না<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhgBcGpUMZllUdPqH2iGoV2kKCuFMtR0gQdERNBVSmP-myxcux5C3jcLknruy2j7QukLTii6I9YsQRBHh-1JXzFyb7Fru7olt_pYuuML2Keo270kxB5q616YkgIPoIIij8Rr86llCK4DZXJ/s1600/P1_Lead_81.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 242px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhgBcGpUMZllUdPqH2iGoV2kKCuFMtR0gQdERNBVSmP-myxcux5C3jcLknruy2j7QukLTii6I9YsQRBHh-1JXzFyb7Fru7olt_pYuuML2Keo270kxB5q616YkgIPoIIij8Rr86llCK4DZXJ/s400/P1_Lead_81.jpg" border="0" alt=""id="BLOGGER_PHOTO_ID_5687767879171326242" /></a><br /><br /><br />কাদের গনি চৌধুরী<br />ঘুষ আর দুর্নীতির রাহুগ্রাসে বিনিয়োগকারীরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন আবার অনেকে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বিনিয়োগ না করে। অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানালেন তারা। বিনিয়োগকারীরা জানান, সরকারি দলের প্রভাবশালীদের শেয়ার ও ঘুষ না দিলে তাদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি ব্যবসা গুটিয়েও চলে যেতে হচ্ছে। <br />রূপসী বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডা থেকে এসেছিলেন বাংলাদেশে বিমান খাতে বিনিয়োগ করতে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক আফজাল এর আগে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্ বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা বোম্বারডিয়ার এরোস্পেসে বিমান প্রকৌশলী ছিলেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসে বার বার বাধাগ্রস্ত হন তিনি। প্রতিটি পদে ঘুষ দাবি করা হয় তার কাছে। নানা বাধা পেরিয়ে ২৯ মে ফিলিপাইন থেকে দুটি বিমান যখন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন তখনই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দোহাই দিয়ে বিনিয়োগ ছাড়াই ২০ ভাগ শেয়ার, এমডি পদ এবং ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। এতে রাজি না হলে নানা হয়রানির পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনায় চরমভাবে বাধা দেয়া হয়। প্রভাবশালী এ মহলটির চাপে সিভিল অ্যাভিয়েশনও তাকে সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এমনকি সব নিয়মনীতি মেনে বিদেশ থেকে আনা প্লেন দুটি তাকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করে।<br />হয়রানির বর্ণনা দিয়ে কানাডিয়ান নাগরিক আফজাল হোসেন আমার দেশ-কে বলেন, কেনা বিমান দুটির টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনে আবেদন করলে ডেপুটি ডিরেক্টর এয়ার ক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লাইসেন্স মো. গোলাম সারোয়ার মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। এতে আমি সম্মত না হলে নানাভাবে হয়রানি এবং ৫৩ দিন পর টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়। একই সঙ্গে আমদানি অনাপত্তিপত্র দেয়ার কথা থাকলেও সেটি আটকে রাখেন। আমি আমদানি অনাপত্তিপত্র চাইলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। এতেও আমি সম্মত হইনি। এ ব্যাপারে আমি বার বার চাপ সৃষ্টি করলে অসম্পূর্ণ ও সুস্পষ্ট মতামত ছাড়াই একটি আমদানি অনাপত্তিপত্র বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় সুস্পষ্ট মতামত চেয়ে ফাইল ফেরত পাঠায় সিভিল অ্যাভিয়েশনে। অবশ্য পরে এটি দেয়া হয়। এরপর ফিলিপাইন থেকে কেনা বিমান দুটি পরিদর্শনের জন্য আবেদন করা হলে মো. গোলাম সারোয়ার আবারও ঘুষ দাবি করেন। এবারও আমি সম্মত হইনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি একসঙ্গে তিনজনকে পরিদর্শনে পাঠান এবং আমি কীভাবে বাংলাদেশে ব্যবসা করি দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। বড় বড় বিমান পরিদর্শনে যেখানে একজনকে পাঠানো হয়, সেখানে ছোট বিমান পরিদর্শনে কেন তিনজনকে পাঠানো হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিমানের ব্যবসা করবেন টাকা খরচ করবেন না, এটা তো হয় না। তিন পরিদর্শক ২০ মে ফিলিপাইনে যান এবং ২৩ মে ফিরে আসেন। পরিদর্শকরা সিভিল অ্যাভিয়েশন এয়ার নেভিগেশন আদেশ অনুযায়ী পরিদর্শনস্থলেই সার্টিফিকেট দেয়ার কথা থাকলেও তা করেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিদর্শকরা জানান, উপরের নির্দেশ আছে যেন এখানে কোনো সার্টিফিকেট না দেই। বাংলাদেশে এসে সার্টিফিকেটের জন্য গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবারও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। শুধু তা-ই নয়, পরিদর্শকরা পরিদর্শনকালে তাদের প্রাপ্য টিএ-ডিএ’র চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আদায় করেন। এ ব্যাপারে আমি দুদকে একটি মামলা করেছি। পরে আমি গোপালগঞ্জের সাবেক এক বিমান কর্মকর্তার শরণাপন্ন হই। তিনি আমাকে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর এসএসএফ পরিচয়দানকারী বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মামুনের কাছে। তিনি আমার কাছে বিনা অর্থায়নে কোম্পানির ২০ ভাগ শেয়ার, এমডি পদ ও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এতে আমি রাজি না হলে সিভিল অ্যাভিয়েশনে অত্যন্ত প্রভাবশালী এ দুই ব্যক্তি আমাকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেন। একপর্যায়ে আমি উপায় না দেখে বিমানবন্দর থানায় জিডি করি। এরপর তারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিয়ে আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করেন।<br />বিদেশি এই বিনিয়োগকারী জানান, তিনি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট দুটি পরিচালনায় অনুমতির জন্য সদ্যবিদায়ী বিমানমন্ত্রী জিএম কাদের ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের কাছে বার বার ধরনা দিয়েও কোনো সহযোগিতা পাননি। ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসে তার সারাজীবনের উপার্জন হারাতে বসেছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন। <br />প্রধানমন্ত্রী ও বিমানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি : রূপসী বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন প্রধানমন্ত্রী ও বিমানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলেন, আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং বর্তমানে কানাডার নাগরিক। গত ২৮ মে ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অফিস, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কানাডীয় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনস্যুলার (বাণিজ্য) আমাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান। আমাদের মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে সব ক্ষেত্রে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের অঙ্গীকার প্রদান করা হয়েছে। এতে আমি বেশ আশ্বস্ত হই। এর পর আমি আমার গুরুত্বপূর্ণ চাকরি বিশ্বের স্বনামধন্য বিমান নির্মাণকারী সংস্থা বোম্বারডিয়ার এরোস্পেসে বিমান প্রকৌশলীর পদ থেকে পদত্যাগ করি এবং বাংলাদেশে একটি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠা করি। এয়ারলাইন্সটি ২৩ জুলাই ২০০৮ ইং তারিখে রূপসী বাংলা এয়ারলাইন্স নামে বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে—বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় এবং জেলা থেকে জেলায় ও বিদেশে বিমান পরিচালনার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা। উল্লেখ্য, বর্তমানে শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি এয়ালাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। <br />চিঠিতে আফজাল বলেন, আপনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমি গত ৬ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে ফিলিপাইনের অ্যাভিয়েশন এন্টারপ্রাইজ ও সাউথ ইস্ট এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে দুটি বিমান কেনার জন্য খসড়া চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করি। ওই বিমান দুটি কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের বিমানের বয়স সংক্রান্ত এএনও (এ ডব্লিউ) এ/২১, ইস্যু-১ আদেশের ৫.৫ ধারার ৫.৫.২ উপধারা অ্যাজ লিমিট অব এয়ারক্রাফটের নিয়ম অনুসরণ করে কেনা হয়। <br />গত ৩ ফেব্রুয়ারি ওই কেনা বিমান দুটির টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের জন্য, এএনও (এ ডব্লিউ) এ/২,ইস্যু-৪ এর ৩ ধারার ৩.৩ উপধারা পূরণসাপেক্ষে সিভিল অ্যাভিয়েশনের ফর্ম সিএ-১৮২সি এবং বিমান দুটির পূর্ণাঙ্গ বিবরণীসহ দুটি আবেদনপত্র, যার স্মারক নং আরবিএ/১৩০৭/ইএনজিজি/বি৭৩৭-৩০০/উ-৪০ এবং ৪১-এর মাধ্যমে আবেদন করি। ওই আবেদনের ৫৩ (তেপান্ন) দিন পর ২৮ মার্চ ২০১১ তারিখ সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিমান দুটির টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দেয়। ওই টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্সে মোট ৪টি কাজ সম্পন্ন করার জন্য ৬০ (ষাট) দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়—যা স্বাভাবিকভাবেই ২৮ মে ২০১১ তারিখে শেষ হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, এএনও (এডব্লিউ) এ২, ইস্যু ৪-এর ৩ ধারার ৩.৪ উপধারা মোতাবেক অপারেটর/আবেদনকারী যদি কেনা বিমান শুধু টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে আনতে চায়, বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অস্থায়ী সার্টিফিকেট অব রেজিস্ট্রেশন (সি অব আর) ও সার্টিফিকেট অব এয়ার ওরদিনেস (সি অব এ) লাগবে। এটি ছাড়া আনতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই রফতানিকারী দেশের সার্টিফিকেট অব রেজিস্ট্রেশন (সি অব আর) ও সার্টিফিকেট অব এয়ার ওরদিনেস (সি অব এ)-এর মাধ্যমে বিমান ডেলিভারির (ফেরি ফ্লাইট) ব্যবস্থা করতে হয়। অর্থাত্ কেনা বিমান বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনার জন্য টেকনিক্যাল সার্টিফিকেটই যথেষ্ট; অন্য বাকি ৪টি শর্ত পূরণের প্রয়োজন নেই। নিয়ম অনুযায়ী ওই টেকনিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের সঙ্গে একটি আমদানি অনাপত্তিপত্র (এনওসি ফর ইমপোর্ট) সংযুক্ত করে তা বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর কথা। কিন্তু সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ মো. গোলাম সারোয়ার ওই পত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখ টাকা উেকাচ দাবি করেন। আমি উেকাচ দিতে অস্বীকার করলে তিনি আমদানি অনাপত্তিপত্র (এনওসি ফর ইমপোর্ট) প্রেরণে গড়িমসি করেন। আমি তার এই অসত্ উদ্দেশ্যের কথা বুঝতে পেরে ২৯ মার্চ ২০১১ এবং ৫ এপ্রিল ২০১১ তারিখে পর পর দুটি আবেদনপত্র—যার স্মারক নং আরবিএ/১০০২/ইএনজিজি/ভিওএল-০১/ই-৪১ এবং আরবিএ/১০০২/ইএনজিজি/ভিওএল-০১/ই-৪৩-এর মাধ্যমে আমদানি অনাপত্তিপত্রের (এনওসি ফর ইমপোর্ট) জন্য আবেদন করি, যা প্রয়োজন ছিল না। যেহেতু মো. গোলাম সারোয়ারের কথামত আমি তাকে পাঁচ লাখ টাকা উেকাচ দিতে অস্বীকার করি এবং পর পর দুটি পত্র লিখি, তাই তিনি অসম্পূর্ণ এবং সুস্পষ্ট মতামত ছাড়াই একটি আমদানি অনাপত্তিপত্র বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৭ এপ্রিল ২০১১ তারিখে পাঠান। <br />২৫ এপ্রিল ২০১১ তরিখে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে উল্লিখিত আমদানি অনাপত্তিপত্রটি ফ্যাক্সের মাধ্যমে সিভিল অ্যাভিয়েশনে ফেরত পাঠান এবং সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু মো. গোলাম সারোয়ার ওই ফ্যাক্সে পাঠানো পত্রটি গোপন করে রাখেন এবং মেইলের মাধ্যমে মূল পত্রটি তার কাছে আসার অপেক্ষায় গড়িমসি করতে থাকেন। এ ব্যাপারে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম সাইদুল হাসান খানের (সদস্য পরিচালনা ও পরিকল্পনা) কাছে ফ্যাক্সে আসা পত্রটি গোপন রাখেন। পত্রটি মন্ত্রণালয় থেকে আসার ৮ দিন পর অর্থাত্ ৩ মে ২০১১ তারিখে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সংশোধিত আমদানি অনাপত্তিপত্র বিমান মন্ত্রণালয়ে পাঠান। <br />এরপর ফিলিপাইনে অবস্থিত আমার কেনা উড়োজাহাজ দুটি পরিদর্শনের জন্য ৭ এপ্রিল ২০১১ এবং ২৬ এপ্রিল ২০১১ তারিখে যথাক্রমে স্মারক নং আরবিএ/১০০২/ইএনজিজি/ভিওএল-০১/ই-৪৫ এবং ৪৬-এর মাধ্যমে পরিদর্শক নিয়োগের আবেদন করি। কিন্তু মো. গোলাম সরোয়ার পরিদর্শক নিয়োগের জন্য আবারও মোটা অঙ্কের উেকাচ দাবি করেন। আমি উেকাচ দিতে অস্বীকার করায় আবেদনের ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) দিন পর অর্থাত্ ১২ মে ২০১১ তারিখে ছোট ছোট দুটি বিমান পরিদর্শনের জন্য তিনি ৩ জন পরিদর্শক নিয়োগ করেন—যা বাংলাদেশের সিভিল অ্যাভিয়েশনে নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কখনও বড় বড় বিমান পরিদর্শনেও তিনজন পরিদর্শক নিয়োগের নজির নেই। অথচ আমার মাত্র ১৯ আসনবিশিষ্ট দুটি বিমান পরিদর্শনের জন্য তিনজন পরিদর্শককে ৪ দিনের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী যা একজন পরিদর্শকের দুই দিনের কাজ। অথচ সিভিল অ্যাভিয়েশন লোকবলের স্বল্পতা দেখিয়ে অন্যান্য কাজে বিলম্ব ঘটায়। ওই পরিদর্শকদের টিএ-ডিএ দেয়ার হিসাব ও তাদের পাসপোর্টে বৈদেশিক মুদ্রা এনডোর্সমেন্ট করার জন্য ১৯ মে ২০১১ তারিখে স্মারক নং আরবিএ/১০০৩/এডমিন/ভিজিট/ভিওএল-০১/ই-২-এর মাধ্যমে একটি আবেদন করি। কিন্তু উইং কমান্ডার মাহমুদুল হাসান (ডিএফএসআর) আমার প্রশাসনিক পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন দেলোয়ার হোসেনকে (অব.) ওই আবেদনের জন্য হীন মানসিকতা বলে তিরস্কার করেন এবং প্রত্যেক পরিদর্শককে ৮২০ (আটশ’ বিশ) মার্কিন ডলার করে নগদে পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট না করে প্রদানের মৌখিক নির্দেশ দেন—যা একজন সরকারি কর্মকর্তার মুখ থেকে শোনা এক বিদেশি বিনিয়োগকারীর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে স্মারক নং আরবিএ/১০০২/ইএনজিজি/ভিওএল-০১/ই-৫৩-এর মাধ্যমে ওই ৮২০ (আটশ’ বিশ) ডলার করে নেয়ার তিনটি বিল দস্তখতের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি। কিন্তু অদ্যাবদি বিলগুলো দস্তখত করে আমাকে ফেরত দেয়া হয়নি। <br />২০ মে থেকে ২৩ মে ২০১১ তারিখ পর্যন্ত পরিদর্শকরা বিমান দুটি ফিলিপাইনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শকদের যাতায়াত খরচসহ সব খরচ আমি বহন করি। ওই পরিদর্শকরা সিভিল অ্যাভিয়েশনের এয়ার নেভিগেশন আদেশ এএনও (এ ডব্লিউ) এ/২১, ইস্যু-৪ প্যারা-৯, সাব-৭ অনুযায়ী পরিদর্শন এবং এএনও (এ ডব্লিউ) এ/২, ইস্যু-৪ প্যারা-৩, সাব-৩.৮ অনুযায়ী পরিদর্শনস্থলেই সার্টিফিকেট দেয়ার কথা। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া তারা সেখানে তা না দিয়ে বাংলাদেশে এসে দেয়ার ব্যাপারে উপরের নির্দেশ আছে বলে জানান। উল্লেখ্য, এএনও(এ ডব্লিউ) এ/২, ইস্যু-৪ প্যারা-৯, সাবপ্যারা-৯.৩ অনুযায়ী নিয়োগকৃত পরিদর্শকরা কেউই বিমান দুটি পরিদর্শনের যোগ্যতা রাখেন না; কারণ ওই পরিদর্শকদের কেউই ওই বিমান দুটির সঙ্গে মোটেও পরিচিত নন। বাংলাদেশে আসার পর তাদের (পরিদর্শকদের) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মো. গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে আমি মো. গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি দশ লাখ টাকা উেকাচ দাবি করেন। ওই টাকার পাঁচ লাখ টাকা তাদের সবার এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা ডিরেক্টর ফ্লাইট সেফটি এবং রেগুলেশন উইং কমান্ডার মাহমুদুল হাসানকে দেবেন বলে জানান। আমি উেকাচ দিতে অস্বীকৃতি জানাই। যেহেতু আমাকে বিমান দুটি পরিদর্শন সম্পর্কে কিছুই অবগত করা হয়নি, তাই এএনও (এ ডব্লিউ) এ/২,ইস্যু-৪ প্যারা-৩, সাবপ্যারা-৩.৪ মোতাবেক বিমান দুটি ডেলিভারি গ্রহণের ব্যবস্থা করি এবং ২৫ মে ২০১১ তারিখে স্মারক নং আরবিএ/১০০২/ওপিএস/জিইএন/ই-৪৩-এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সময়সূচি জানিয়ে একটি পত্র সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করি।<br />২৯ মে ২০১১ তারিখ অর্থাত্ ওই আবেদনের চার দিন পর আমার কেনা দুটি বিমানের একটি বিমান চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কন্ট্রোল টাওয়ারের অনুমতি নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমানটি জ্বালানি গ্রহণ করে এবং ঢাকার উদ্দেশে রওনার জন্য কন্ট্রোল টাওয়ারে যোগাযোগ করতে গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ঢাকায় অবতরণের অনুমোদন নেই বলে ওই বিমানের পাইলটকে অবহিত করেন। আমি বিষয়টি অবগত হই বিমানটি যখন জ্বালানি গ্রহণ করছিল। জ্বালানি ট্রাকের এক ব্যক্তি তার সেলফোন থেকে আমাকে কল করেন এবং জ্বালানির পেমেন্ট সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন। এরপর পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি, আমার কেনা বিমানটি এবং তার ক্রুদের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আটক করেছে এবং ক্রুদের মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে—যা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের শিকাগো কনভেনশন ৭ ডিসেম্ভর ১৯৪৪ সালের চ্যাপ্টার ২-এর আর্টিকেল ৫ ধারা ভঙ্গ করা হয়েছে। <br />আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে জানার জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনে যাই এবং ডাইরেক্টর ফ্লাইট সেফটি ও রেগুলেশন উইং কমান্ডার মাহমুদুল হাসাসের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাইলে তিনি সাক্ষাত্ দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাইলে পিএসটু চেয়ারম্যান তিরস্কারের স্বরে বলেন, আমি কেন এখানে এসেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে দেখা করার প্রশ্নই ওঠে না এবং চেয়ারম্যান সাহেব দেখা করার জন্য মোটেও আগ্রহী নন। পরে ২ জুন ২০১১ তারিখে ওই বিমান ও তার ক্রুদেরকে জোর করে চট্টগ্রাম শাহ-আমানত বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ফেরত পাঠানো হয়। ফলে রূপসী বাংলা এয়ারলাইন্স আর্থিকভাবে অভূতপূর্ব ক্ষতির সম্মুখীন হয়—যার পরিমাণ প্রায় ষোল কোটি টাকা। এছাড়া বিমানগুলোর ভ্যালিড এয়ার ওরদিনেস সার্টিফিকেট ছিল না বলে উইং কমান্ডার মাহমুদুল হাসান (ডিএফএসআর) যে অসত্য তথ্যসংবলিত বিবৃতি মিডিয়ায় দিয়েছেন তাতে রূপসী বাংলা এয়ারলাইনসের ভাবমূর্তি জনসম্মুখে দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, যা অপূরণীয়।<br />এরপর আবারও ৪ জুন ও ৭ জুন ২০১১ তারিখে স্মারক নং আরবিএ/১০০২/ওপিএস/জিইএন/ই-৪৯ এবং ই-৪৪-এর মাধ্যমে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে, ২০ জুলাই ২০১১ তারিখে সচিব মহোদয়ের কাছে এবং ১৪ আগস্ট ২০১১ তারিখে মাননীয় মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারক নং আরবিএ/১০০২/ওপিএস/জিইএন/ই-৫২ এর মাধ্যমে পৃথক পৃথক আবেদন করি, কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনো আবেদনেরই কোনো জবাব অদ্যাবধি আমি পাইনি বা কেউই আমাকে তলব বা কোনো প্রশ্ন করেনি। তাই আমি বাধ্য হয়েই অন্যায় আবদার, অবিচার, কর্তব্যের প্রতি অবহেলা এবং দেশের ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে এহেন চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য ও সুবিচারের আশায় গত ৩১ জুলাই ২০১১ তারিখে মহামান্য বিজ্ঞ ঢাকা মহানগর দায়রা ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মেট্রো স্পেশাল মামলা নং ২৬৩/২০১১ দায়ের করি। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে গত ১৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে একটি, ২৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে দুইটি, ২৪ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে একটি, ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে একটি, ২৪ আগস্ট ২০০৯ তারিখে একটি, ৫ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে একটি, ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে একটি, ১ জুলাই ২০১০ তারিখে একটি, ২৯ মার্চ ২০১১ তারিখে একটি, ২৪ এপ্রিল ২০১১ তারিখে তিনটি, ১৫ মে ২০১১ তারিখে একটি, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে একটি, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে একটি, এ বছরের ২৩ অক্টোবর একটি এবং ২৫ অক্টোবর একটি পত্র সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখি যার কোনো উত্তর বা কার্যক্রম অদ্যাবধি আমাকে অবহিত করা হয়নি। <br />আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি : রূপসী বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, তিনি বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। এ ব্যাপারে সরকার সহযোগিতা না করলে তিনি আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হবেন। <br />সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য পাওয়া গেল না : এ ব্যাপারে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান মাহমুদ হুসাইনের বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। সিভিল অ্যাভিয়েশনের ডেপুটি ডিরেক্টর এয়ার ক্রাফট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লাইসেন্স মো. গোলাম সারোয়ারকে তার মোবাইলে ফোন করলে তিনি পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেয়ার পর তিনি বার বার হ্যালো হ্যালো বলে জানান—ভাই ঠিকমত শোনা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করলে একই কথা বলেন। এরপর তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।<br />http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/12/12/121867Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-4893932194975079292011-11-23T08:36:00.001-08:002011-11-23T08:36:52.518-08:00শিশু ধর্ষণ বাড়ছে : ৩৪ মাসে ১৬০০ নারী ও শিশু ধর্ষিত<div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">নাছির উদ্দিন শোয়েব</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">ঈশারাত জাহান ইভা। ছয় বছরের স্কুলছাত্রী। কোরবানির ঈদের ছুটিতে মামার বাসায় বেড়াতে এসেছিল অবুঝ শিশুটি। ঈদের আগের রাতে টেলিভিশনে কার্টুন দেখার সময় পাশের বাসার ভাড়াটে জাকির শিশুটিকে ফুঁসলিয়ে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করে শিশুটিকে। তার পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে জাকির। এমনকি লাশের পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয় তার শরীরে। ঈদের দিন সকালে বাড়ির পাশের ডোবায় ইভার মৃত দেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর খিলক্ষেতের নামাপাড়া এলাকায়। পরে র্যাবের হাতে গ্রেফতার জাকির শিশুটিকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর নির্যাতনের কথা স্বীকার করে। </div><div style="text-align: justify;">ঈদুল আজহার আগের রাতে নগরীর হাজারীবাগ এলাকায় সাত বছরের একটি শিশুকে সুলতানগঞ্জ এলাকার এক যুবক ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে হত্যারও হুমকি দেয়া হয়। পরে বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় থানায় মামলা হয় এবং শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে স্থানীয় লোকজন ও কয়েকটি নারী অধিকার সংগঠন। </div><div style="text-align: justify;">প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। কোনোটি মিডিয়ায় প্রচার</div><div style="text-align: justify;">হয়, অনেক ঘটনা থেকে যায় আড়ালে। মান-সম্মানের কথা বিবেচনা করে এসব ঘটনা অনেকেই প্রকাশ করতে কিংবা মামলা করতে চায় না। পুলিশ ও মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। বর্তমান সরকারের ৩৪ মাসে সারাদেশে প্রায় ১৬শ’ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ নারী-শিশু। গণধর্ষণ করা হয়েছে ৪০৩ জনকে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২১০ জনকে। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে ৪৪ জন। তবে এ পরিসংখ্যানের চেয়ে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ধর্ষণের প্রকৃত ঘটনা পরিসংখ্যানের কয়েকগুণ—বলছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। </div><div style="text-align: justify;">গত ২৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের এক রায়ে বলা হয়েছে, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি থানায় আলাদা সেল গঠন করতে হবে। এক মাস পর পর যৌন হয়রানির মামলার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে থানা সেল। কিন্তু গত ১০ মাসেও আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি।</div><div style="text-align: justify;">ক্রমেই নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে চলছে। শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশুরাও। ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড ও লাশ গুম করার ঘটনাও ঘটছে। পরিচয় নিশ্চিহ্ন করতে নারীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটছে। সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। ফরেনসিক পরীক্ষার ঝামেলা, আলমত সংগ্রহ এবং অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে উপস্থিত হতে বাধ্য করায় অনেকেই লোকলজ্জায় ঘটনা এড়িয়ে যেতে চায়। থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার হয় না অপরাধী। কেউ গ্রেফতার হলেও মামলা বেশি দূর এগোয় না। প্রভাবশালী বা ক্ষমতাসীনদের হুমকি, কখনও তাদের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করতে বাধ্য হয় অভিযুক্তরা।</div><div style="text-align: justify;">স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, নিরাপত্তার অভাবে অনেকে নির্যাতিত হয়েও মামলা করতে ভয় পায়। আবার অনেক মামলায় আসামি পক্ষের ভয়ে মানুষ সাক্ষ্য দিতে চায় না। এর ফলে সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অনেক সময় অপরাধীরা আদালত থেকে পার পেয়ে যায়। এজন্য ভিকটিম অ্যান্ড উইটনেস প্রটেকশন অ্যাক্ট নামে নতুন একটি আইন করা হচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। </div><div style="text-align: justify;">মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত ১০ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৩ জন। এর মধ্যে শিশু ৩৮৫ জন, এ ঘটনায় খুন ৫১ জন, গণধর্ষণ ১০৮ জন ও আত্মহত্যা করেছে ৩০ জন। ২০১০ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৫৬ জন, শিশু ৩০৮ জন, হত্যা করা হয় ৬১ জনকে, গণধর্ষণের শিকার ১১৯ জন ও আত্মহত্যা করেছে ৬ জন। ২০০৯ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৫৪ জন, শিশু ২৪৩ জন, হত্যা ৯৭ জন, গণধর্ষণ ১৭৬ জন ও আত্মহত্যা করেছে ৮ জন।</div><div style="text-align: justify;">কিছুদিন আগে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখায় এক ছাত্রীকে কোচিং সেন্টারে আটক করে শ্লীলতাহানির ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক পরিমলকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে। অন্যদিকে ঢাকা সিটি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শামীমা নাসরিন সুইটিকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা আলাউদ্দিন খন্দকার মেয়ের কথিত মামাবেশী প্রেমিক সাইফুল ইসলাম রনিসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোকন নামে একজনকে আটক করে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সুইটিকে ৪-৫ জন মিলে ধর্ষণ করে। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। খিলক্ষেত থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, নিহত ছাত্রীর সঙ্গে আসামি সাইফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">গত ৩১ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড়ের সি-ব্লকের ১২/৬ বাড়ির চতুর্থ তলায় মডেল আদৃতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তার প্রেমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আশিষ কর্মকারকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর আদাবর মাঠখোলা মহল্লায় এক কিশোরী (১৫) গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই কিশোরীর মা আমেলা বেগম অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ৮টায় তার মেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে আদাবরে বাসায় ফিরছিল। ওই সময় স্থানীয় বখাটে শুকুর আলী তিন সহযোগীসহ মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারা সবাই মিলে মাঠখোলার ফাঁকা একটি স্থানে তার ওপর নির্যাতন চালায়। আশপাশের লোকজন টের পেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এরপর কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গভীর রাতে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিছুদিন পরই মোহাম্মদপুরে পুলপার বটতলার একটি বাসায় অপর কিশোরী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়। </div><div style="text-align: justify;">গত ২ জুন গাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণী রাতে ঘরের বাইরে গেলে বাড়িওয়ালার ছেলে মইনুদ্দিন ও তার কয়েক সহযোগী তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর অবস্থায় মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ জুন মারা যায়। এছাড়া বাগেরহাটে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী। অপরদিকে, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ভাবনপাড়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভজন কুমার শিকদার ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ অভিযোগে তিনদিন পর থানায় মামলা হয়। এদিকে, গত শবেবরাত রাতে গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার ৬ বছরের এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় জনতা ধর্ষক জুয়েলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। </div><div style="text-align: justify;">গত ১৬ অক্টোবর রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় শারমীন (১০) নামের স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আগের দিন সকাল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর এক কলেজ ছাত্রী সাতক্ষীরা শহরে বেড়াতে আসেন। বিকালে বাড়ি ফেরার সময় তার সঙ্গে দেখা হয় তাদের পারিবারিকভাবে পরিচিত দেবাহাটা থানার পুলিশ কনস্টেবল সালাউদ্দিনের সঙ্গে। সালাউদ্দিন কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সাতক্ষীরা শহরের শাপলা হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জে এক গৃহবধূকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ঘরে আটকে রেখে পাশবিক অত্যাচার চালায় ও তার নগ্ন ছবি তুলে তা প্রচার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন স্থানীয় নেতা।</div></div></div><div style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="text-align: justify;margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/19/118134">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/11/19/118134</a></div></li></ul></div>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-22712660002709815032011-10-31T07:53:00.000-07:002011-10-31T07:54:40.020-07:00শ্রমজীবী মানুষ দিশেহারা : দ্রব্যমূল্য বাসাভাড়া চিকিত্সা ও পরিবহনব্যয় নাগালের বাইরে<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBdkgtZ4K1zMeDMryNaZSKWi1FAitVfeORUJkVN7i_X2k5AjecD1Kq_g1wG6HumDHTGivDQmvPdVBo8yTgNfBM4cIOihmXE8PiQTNJHF6uGEhytRfj04EjiQEor-nMgy9z55EV3uQPvHCI/s1600/P1_sromojibi-manush-disheha.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 204px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBdkgtZ4K1zMeDMryNaZSKWi1FAitVfeORUJkVN7i_X2k5AjecD1Kq_g1wG6HumDHTGivDQmvPdVBo8yTgNfBM4cIOihmXE8PiQTNJHF6uGEhytRfj04EjiQEor-nMgy9z55EV3uQPvHCI/s400/P1_sromojibi-manush-disheha.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5669669794139408210" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); ">আলাউদ্দিন আরিফ</div><div>রিকশা-ভ্যানচালক আবুল হাশেমের মাসিক আয় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। তিন বছর আগে এর অর্ধেক টাকা রোজগার করেও আটজনের সংসার তিনি একাই চালিয়েছেন। এখন ভ্যানের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু এ আয়েও এখন তিনি আর সংসার চালাতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তার স্ত্রী খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় দুটি বাসায় বুয়ার কাজ করেন। এ মাসে মেজো মেয়েটিকে কাজ দিয়েছেন সুতার ফ্যাক্টরিতে। এখনও বেতন ধরেনি কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীর আয় প্রায় ১১ হাজার টাকা। আয় আগের তুলনায় বাড়লেও জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়নি একচুলও। বরং কমেছে। বেড়েছে সংসারে অভাব-অনটন আর অশান্তি। পরিবার-পরিজন নিয়ে খিলগাঁও তিলপাপাড়া বক্সকালভার্ট সড়কের পাশে টিনের ঘরটিতে থাকছেন ৬ বছরের বেশি সময় ধরে। উঠে ছিলেন ৭০০ টাকা ভাড়ায়। এখন সেই বাড়ির ভাড়াই দিচ্ছেন সাড়ে তিন হাজার টাকা। কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার আড্ডা গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাশেম বলেন, ‘চাইর বছর আগেও দিনে ত্রিশ টিয়া (টাকা) দামের হোয়ার (সোয়া কেজি) চাইল, আর ত্রিশ-চল্লিশ টাকার তরিতরকারি (শাকসবব্জি) কিনলে ভালামতন খাওন যাইত। কিন্তু অনে দিনে তিনশ’ টেয়ায়ও সারে না। হোয়ার চাইলে যায় ষাইট টিয়া, একশ’ টিয়ার তরতরকারি কিনলে একদিন চলে না।’ বয়স পঞ্চাশে পড়া হাশেম বলেন, স্যার আমরা বাইচমু কেমনে।’<br />দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আবুল হাশেমের মতোই অবস্থা নগরীর নিম্নআয়ের মানুষের। সবারই একটা প্রশ্ন—আমরা বাঁচব কী করে? গতকাল খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ের নিচে নিজের ভ্যানের ওপর বসে জিরিয়ে নেয়ার সময় হাশেম বলেন, বড় মেয়েটাকে গত বছর বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের সময় গ্রামের বাড়িতে কিছু জমি বন্ধক দিয়ে ও ঢাকায় এসে ভ্যান চালিয়ে সঞ্চিত চল্লিশ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছেন মেয়ের জামাইকে। কিন্তু এখন মেয়ের স্বামী একটা ক্যামেরা মোবাইল সেট চায়। মোবাইল না দেয়ায় মেয়েকে আমার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। বলেছে, মোবাইল না নিয়ে যাতে স্বামীর ঘরে না যায়। আবুল হাশেম কী করে টাকা জমিয়ে একটা মোবাইল কেনা যায় সেই চিন্তায় অস্থির।<br />ঢাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য আর বাসা ভাড়া। এ দুটির লাগাম টেনে ধরতে পারছে না কেউ। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাস ভাড়া, রিকশা ভাড়া, শিক্ষা ও চিকিত্সা ব্যয়। ফলে সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ আছেন চরম বিপাকে। বাড়তি খরচের ধাক্কা আসছে বাড়িওয়ালা, সবজিওয়ালা, দোকানদার, রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকেও। বাসায় গেলে বাড়িওয়ালার দাপট, বাজারে বিক্রেতার দৌরাত্ম্য, রাস্তায় রিকশা গাড়ির দৌরাত্ম্য। সবদিক থেকেই বেসামাল নগরজীবন। তেল-গ্যাসের ভর্তুকি কমানোর অজুহাতে দফায় দফায় জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মানুষের জীবনে বিরাজমান অভাবকে আরও তীব্র করে তুলেছে। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না মানুষ। এতে অভাব-অনটন বাড়ার পাশাপাশি যৌতুকের দাবিতে বাড়ছে নারী নির্যাতন। দেখা দিচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা।<br />নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজি, মাছ, মাংস, চাল ও তেলসহ সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের সংসারের চাকা এখন চলছে না। অর্থনীতির হিসাবে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ঠেকেছে ১২ শতাংশের বেশি। সীমিত আয়ের মানুষের পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বড় ধাক্কা লেগেছে দিনমুজুর থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চবিত্তের জীবনেও। বাজারে ভালো মানের চাল কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। মোটা চাল মিলছে না ৩৬ টাকার কমে। ওএমএসের চালের দামও ২৪ টাকা কেজি। চাল নিয়ে ওএমএসের ট্রাক এখন আর যায় না স্পটগুলোতে। সাধারণ মানুষ বলছেন, গত রমজানের আগ পর্যন্ত শাকসবজির দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে ছিল। তখন সবজি দিয়ে অন্তত দু’বেলা ভাত খেতে পেরেছে মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর ওই সুযোগও আর নেই। এখন সবজির দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, ক্রেতারা সবজির দোকানে যেতেও ভয় পান। পেঁপে আর আলু ছাড়া বাজারে ৫০ টাকার কমে কোনো সবজি নেই। তাহলে মানুষ খাবে কী?<br />খিলগাঁও শাহজাহানপুরে একটি ফার্নিচার দোকানের পলিশ মিস্ত্রি চাঁনমিয়া। রোজ মজুির নেন ৪০০ টাকা। দু-আড়াই বছর আগে মজুরি নিতেন ২০০ টাকা। মাত্র দু’বছরে বলা যায় তার আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। বাজারে জিনিসপত্রের দাম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমেই চাঁনমিয়া বলেন চাল, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, ডাল ইত্যাদির কথা। মোটা চালের দাম ১৮ থেকে ৪০ টাকা। পেঁয়াজ ১৬ থেকে ৪০-৪২ টাকা, কাঁচামরিচের দাম ৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। আগে বাড়িভাড়া দিতেন ১২শ’ টাকা। এখন দেন ৩২শ’ টাকা। চাঁনমিয়া বলেন, তাদের কাজ রোজ হিসেবে। কোনোদিন কাজ থাকে কোনোদিন থাকে না। তারপরও সপ্তাহে একদিন মার্কেট থাকে বন্ধ। এছাড়াও হরতালসহ বিভিন্ন কারণে মাসে আরও এক-দু’দিন মার্কেট বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে মাসে গড়ে ১৫ থেকে ১৮ দিন কাজ করেন। মাসের বাড়িভাড়া, বিদ্যুত্ বিল, খাবার খরচসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে গিয়ে অসম্ভব আর্থিক টানাটানিতে পড়ছেন। প্রতি মাসেই ঋণ করতে হচ্ছে।<br />ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডাচবাংলা ব্যাংকের টিএসসি বুথের গার্ড মোয়াজ্জেম জানালেন, দৈনিক ডিউটি ৮ ঘণ্টা। বেতন ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এ সামান্য বেতনে চলেন কী করে উত্তরে বলেন, রোজ একটি ওভারটাইম পান তারা। অর্থাত্ ৮ ঘণ্টার স্থলে ডিউটি করতে হয় ১৬ ঘণ্টা। এতে মাসে তার সাকুল্যে আয় হয় ৭ হাজার টাকা। মোয়াজ্জেম জানালেন, কিছুদিন আগেও বেতনের টাকায় থাকা-খাওয়া সেরে ওভারটাইমের টাকাগুলো বাড়িতে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু এখন সেটা পারছেন না। ওভারটাইমেরও অর্ধেক টাকা খরচ হয়ে যায় থাকা-খাওয়া আর পকেট খরচ বাবদ। বাড়িতে মাসে হাজার দুয়েক টাকা পাঠানো মুশকিল হয়ে পড়ে তার।<br />খিলগাঁওয়ের গৃহবধূ তাহমিনা বেগম বলেন, তার স্বামী দু’বছর আগে যে বেতন পেতেন এখনও তাই পাচ্ছেন। নানা জটিলতায় অফিসে তার স্বামীর বেতন বাড়ছে না। স্বামীর বেতন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আগে মোটামুটিভাবে মাসের খরচ শেষে কিছু টাকা সঞ্চয় করতে পারতেন। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হয় না। প্রতি মাসেই অভাবে পড়তে হয়। উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই দু’বছরে বাসাভাড়া বেড়েছে ২ হাজার টাকা। বিদ্যুত্ ও ডিশলাইনের বিল বেড়েছে প্রায় চারশ’ টাকা। এর বাইরে তাদের একমাত্র মেয়েকে আগে ডাক্তার দেখিয়ে যেখানে ডাক্তারি ফি দিতেন ৩০০ টাকা, এখন তা দিতে হয় ৬০০ টাকা। গত কয়েক বছরে শিশুর দুধসহ অন্যান্য শিশুখাদ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘এক কেজি ডিপ্লোমা গুঁড়ো দুধ দুই বছর আগে কিনতাম ৩৬০ টাকায় এখন কিনতে হচ্ছে ৫৭০ টাকায়। ৩০ টাকা কেজির চিনি হয়েছে ৭০ টাকা। ৫ টাকা দামের একটি চকোলেটের দাম হয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আগে মিনিকেট চাল কিনতেন, এখন কিনছেন স্বর্ণা। মাছ-মাংস কেনা কমিয়েছেন। কিন্তু একমাত্র মেয়ে কিছু চাইলে তো আর না দিয়ে পারা যায় না। দাম যতই বাড়ুক নিজে না খেয়ে হলেও অন্তত বাসা ভাড়া আর সন্তানের খাবারের টাকা তো জোগাড় করতে হয়। তার ওপর গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়িকে টাকা পাঠাতে হয়, তাদের চিকিত্সা ও ওষুধ কিনে দিতে হয়। এসব করতে গিয়ে প্রতি মাসেই ঋণ করতে হচ্ছে। সঞ্চয় আগেই শেষ। মাসের ঋণ মাসে পরিশোধ করতে না পারায় এখন আত্মীয়স্বজনের কাছে ঋণ চাইলেও পাওয়া যায় না। বিভিন্ন অজুহাতে নিষেধ করে দেন। তাহমিনা বলেন, রিকশাচালক রিকশাভাড়া বাড়াতে পারে, বাড়িওয়ালা ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারে কিন্তু আমাদের মতো চাকরিনির্ভর মানুষ ইচ্ছে করলেই বেতন বাড়িয়ে নিতে পারেন না। ফলে এ ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিজের শখ আহ্লাদ পূরণ দূরে থাক—বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে পড়েছে।<br />গতকাল মালিবাগ বাজারের পাশে ওএমএসের চাল কেনার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সুরাইয়া, হাফসা ও মরিয়মসহ কয়েকজন। বেলা তখন সাড়ে ১২টা। তাদের একজন সুরাই খা সে অসুস্থতার কথা বলে গার্মেন্ট থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন। ওই সময়েও ওএমএসের ট্রাক আসেনি। এলে সবার আগে লাইনে দাঁড়াবেন এজন্য অপেক্ষা। তারা জানান, প্রায়ই ট্রাক আসে না। অপেক্ষমাণ এসব মানুষ বলেন, তিন বছর আগেও মোটা চাল কিনতেন সতের আঠার টাকা কেজিতে। আর এখন সরকারি ওএমএসের মোটা চালও কিনতে হয় ২৪ টাকা কেজিতে। বাজার থেকে কিনতে হয় ৩৮ টাকায় অর্থাত্ চালের দাম বেড়েছে আড়াইগুণ। সুরাইয়া বলেন, তিন বছর আগে তিনি গার্মেন্টে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র এক হাজার টাকা বেতনে। এখন সেই বেতন হয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা। কিন্তু সুরাইয়ার ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি এই বাড়তি বেতনে। কারণ তার মেসের খরচ, চাল ডালের খরচ দিয়ে বাড়িতে এক হাজার টাকা পাঠানো খুবই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।<br />কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি অফিসে অফিস সহকারী শামসুদ্দীন মিয়া। বাসা ঢাকার মানিকনগর এলাকায়। ৫ ছেলে তার। নিজে বেতন পান ৫ হাজার টাকা মাসে। তিন ছেলে কর্মজীবী। এক ছেলে অন্য একটি অফিসে অফিস সহকারী। দুই ছেলে দোকান চালায়। আর ছোট দুই ছেলে পড়ছে। বাবা ও ৩ ছেলের আয় মাসে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। মেস বাসাভাড়া দেড় হাজার, প্রত্যেকের খাওয়া খরচ মাসে প্রায় ২ হাজার। এসব খরচ মিটিয়ে মাসে হাজার তিনেক টাকা বাড়িতে পাঠানো দুষ্কর হয়ে পড়ে শামসুদ্দীন মিয়ার।<br />দীর্ঘ ত্রিশ বছর সরকারি চাকরি করে কয়েক বছর আগে অবসর গ্রহণ করেছেন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আনোয়ার উল্লাহ। তিনি অবসর নেয়ার সময় সরকারের কাছ থেকে পেয়েছিলেন মোট ১৬ লাখ টাকা। পুরো টাকা দিয়েই তিনি জাতীয় সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন। যা থেকে তিন বছর আগেও ১৪ শতাংশ হারে সুদসহ মাসে ২০ হাজার টাকা পেতেন। বর্তমানে সরকার এই সুদের হার কমিয়ে ১২ শতাংশ করেছে। তার ওপর সুদের ওপর ট্যাক্স বসিয়েছে। ফলে আনোয়ার উল্লাহর সংসারের আয় কমে গেছে। পেনশনের চার লাখ টাকা ছেলেকে দিয়েছেন শেয়ারবাজারে খাটানোর জন্য। কিন্তু তার ছেলে এরই মধ্যে দুই লাখ টাকা লোকসান করেছে। একদিকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমে গেছে। অন্যদিকে শেয়ারবাজারে ছেলের লোকসান। সব মিলিয়ে আনোয়ার উল্লাহর সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা। তিনি বলেন, শুধু চাল, ডাল, মাছ ও তরকারি দাম বেড়েছে তাই নয়; সাবান, কসমেটিকসসহ এমন কোনো জিনিস নেই যার দাম বাড়েনি। শুধু দাম বাড়েনি আমার ছেলের শেয়ারগুলোর।<br />রংপুরের রিকশাচালক মোজাম্মেল হক। ঢাকায় এসেছেন প্রায় ৬ বছর। বললেন এখন মাসে প্রায় ১২ হাজার টাকা কামাই করেও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি বলেন, মাত্র ৫ বছর আগেও খিলগাঁও রেলগেট থেকে মৌচাক যেতেন ৮ টাকা বা ১০ টাকায়। এখন নেন ২৫ টাকা। আগে মাসে ৫ হাজার টাকা আয় করে ঢাকায় মেসের ভাড়া, খাওয়া খরচ, চা সিগারেটের খরচ মিটিয়ে আড়াই হাজার টাকা বাড়িতে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু এখন ১০ হাজার টাকা কামাই করেও আড়াই-তিন হাজার টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না। প্রতিদিনকার খরচের বিবরণ তুলে ধরে মোজাম্মেল জানান, মান্ডার একটি গ্যারেজের রিকশা তিনি চালান। রিকশার জমা রোজ ১০০ টাকা। রোজ হিসেবেই মেসে থাকেন। রাতের খাওয়াসহ মেস ভাড়া রোজ ৮০ টাকা। রাস্তায় রিকশা নিয়ে বেরুলে দুপুরের খাবার ও সকালের নাস্তা, চা সিগারেটসহ খরচ আরও ১০০ টাকা। সব মিলিয়ে ৩০০ টাকা তার দৈনিক খরচ। ফলে এখন মাসে হাজার তিনেক টাকা বাড়িতে পাঠাতে পারেন। ওই টাকা দিয়ে বাড়িতে তিন সন্তান, মা ও স্ত্রীর খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছেন। মোজাম্মেল বলেন, স্যার হুনছি চাইলের কেজি ১০০ ট্যাকা হবি, তাইলে মোরা বাঁচমো কেমনে।<br />খিলগাঁও বাজারে মিনতির কাজ করে সাইফুল, কামাল, তিনি রাশেদসহ বেশ কয়েকজন। বাজারে ঢুকলেই বড় ঝুড়ি মাথায় নিয়ে পিছে পিছে ঘুরে বলে স্যার ‘মিনতি নিবেননি, মিনতি লাগবোনি’। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারেই মিনতিদের দেখা মেলে। শাক-সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় এই মিনতিরা পড়েছেন মহাবিপাকে। মানুষ সবজি কেনা কমিয়ে দেয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ছেন তারা। খিলগাঁও বাজারের মিনতি সাইফুল বলেন, আগে দিনে এক হাজার টাকা পর্যন্ত কামাই করেছেন। কিন্তু এখন সারা দিনে ২০০ টাকাও আয় করা যাচ্ছে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’ আরেক মিনতি রাশে বলেন, শাক-সবজি ও মাছের দাম বাড়ায় মানুষ যে কেনাকাটা করে তাদের ব্যাগই ভরে না। লোকজন হাতে করেই ব্যাগ নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। মিনতি প্রয়োজন হয় না। কেবল মহল্লার কিছু সবজি ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা মিনতি নেন। কিন্তু তারা আবার পারিশ্রমিক দেয় খুবই কম। এতে সামান্য কিছু রোজগার হয়। যার ফলে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে না। কারওয়ান বাজারের মিনতিদের ঝুড়ির মালিক বললেন, দিনে ১০ টাকা ভাড়ায় ঝুড়ি নেয় মিনতিরা। এক ঝুড়ি ভাড়া দেয়া রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০ ঝুড়ির মধ্যে এখন তিনি ভাড়া দিতে পারেন মাত্র ৮০টি। বাকিগুলো পড়েই থাকে।<br />নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান বলেন, জিনিসপত্রের দাম যে বাড়ছে তা মানুষের কাছে বোঝাস্বরূপ। শুধু সীমিত আয়ের মানুষই নয় সব শ্রেণীপেশার মানুষ এখন কষ্টে দিন পার করছে। সরকার নির্বাচনের আগে জিনিসপত্রের দাম কম রাখার যে অঙ্গীকার করেছিল এখন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ভোগ্যপণ্যের দাম কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।<br />বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়লে সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা খুবই করুণ হবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান সরকারের পক্ষে তো নয়ই পরে বিএনপি বা অন্য কোনো সরকারের পক্ষেও এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজসাধ্য হবে না। সামষ্টিক অর্থনীতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। বৈদেশিক সাহায্য কমে গেছে। সরকার ঋণ নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের ঋণ দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রা ছাপিয়ে সরকারের চাহিদা পূরণ করছে। এতে প্রতিনিয়ত মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সরকার বেশিদামে জ্বালানি এনে কম দামে বিক্রি করছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলো থেকে বেশি দামে বিদ্যুত্ কিনে কম দামে বিক্রি করছে। যাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ বেড়েছে। কৃষি ও খাদ্যে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। সরকারের আয় কম ব্যয় অনেক বেশি। নতুন টাকার সরবরাহ বাড়লে মূল্যস্ফীতি হবে। জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। আর সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কাগুজে মুদ্রা ছেপে সাময়িকভাবে সঙ্কট সামাল দেয়া হলেও মূল্যস্ফীতির ওপর এর প্রভাব ভয়াবহ। কেনা ব্যবসায়ীরা যদি মনে করেন, এরকম মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকবে তাহলে তারা পণ্যমূল্যের সঙ্গে তাদের দৃষ্টিতে সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতির হারটি ধরে নিয়ে দাম হাঁকবেন। এর ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বেসামাল হয়ে পড়বে। সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়বে। বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভয়াবহ ভঙ্গুর মধ্যে পড়েছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী তার কাজের সমালোচনা হলে বা সরকারের কোনো পদক্ষেপের সমালোচনা করলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে রূঢ় স্বরে বলেন, রাবিশ। এখন প্রশ্ন তার ওপর ন্যস্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে তিনি কী বলবেন?<br />বাংলাদেশ কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন ক্যাব সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, ‘বাসাভাড়া, গাড়িভাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মানুষ দৈনন্দিনের ব্যয় কমানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু এখন মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা আর ব্যয় কমানোর কোনো খাত খুঁজে পাচ্ছে না। ধারদেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। এ অবস্থা বেশিদিন চললে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। সরকারের উচিত সবার আগে দ্রব্যমূল্য ও জীবন যাত্রার ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/06/110087">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/06/110087</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-7863386761786333802011-10-31T07:38:00.000-07:002011-10-31T07:40:43.910-07:00উন্নয়ন কাজের নামে লুটপাট<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgG6xv-MPj8lyO8UsxXfCP2qn5wBFZMNueQZSRip6Eacbh5mtrYAIVD6XDN47r8DaNSgacFvB-chisk7XHRb-EkFC88dGiW5C4GqEqLG-eF7acow6IX2LnmRLXOfnr90rmyVqCt9rdN7_JM/s1600/P1_unnoyon-kajer-namay-lut.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 142px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgG6xv-MPj8lyO8UsxXfCP2qn5wBFZMNueQZSRip6Eacbh5mtrYAIVD6XDN47r8DaNSgacFvB-chisk7XHRb-EkFC88dGiW5C4GqEqLG-eF7acow6IX2LnmRLXOfnr90rmyVqCt9rdN7_JM/s400/P1_unnoyon-kajer-namay-lut.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5669666185660718354" /></a><br /><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div><div><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><br /></span></div>কাদের গনি চৌধুরী</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>উন্নয়ন কাজের নামে চলছে ব্যাপক লুটপাট। টেন্ডারের ৬০ ভাগ টাকা চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেট ও ঠিকাদারদের পকেটে। বাকি ৪০ ভাগ টাকার কাজ হচ্ছে দেশে। ফলে কাজের কোনো মানই বজায় থাকছে না। সবচেয়ে বেশি অর্থ লোপাট হচ্ছে সড়ক, ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার, নদী খনন, বাঁধ নির্মাণ এবং বিভিন্ন মেরামত কাজে। কাজ না করেও নদী খনন, বাঁধ নির্মাণের নামে পুরো টাকা তুলে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যয়িত টাকা রাজস্ব কোষাগারে জমা বা দাতাগোষ্ঠীকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাত্ করা হচ্ছে। এ ধরনের বেশ কিছু অনিয়ম তদন্ত করছে দুদক।<br />সড়ক ও এলজিইডিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি কাজের সব টেন্ডারই বাগিয়ে নিচ্ছে সরকারি দল। তাই প্রকৃত ঠিকাদাররা কোনো কাজই পাচ্ছেন না। অধিকাংশ ঠিকাদার বেকার হয়ে পড়েছেন। এদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে ১০% কমিশনে কাজ কিনে নিয়ে কোনোমতে পেশায় টিকে আছেন।<br />এলজিইডির ঠিকাদাররা জানান, কাজের অর্ধেক টাকা তাদের ব্যয় করতে হয় মন্ত্রণালয়, সরকারি দল, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারের পেছনে। ফলে কাজের মান তারা বজায় রাখতে পারছেন না। এর ফলে যে রাস্তা পাঁচ বছর পর সংস্কার করার কথা সেটি এক বছরেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। একাধিক ঠিকাদার ও এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলজিইডির বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের সাড়ে ১৩ পার্সেন্ট, সরকারি দল থেকে কাজ কিনে নিতে দশ পার্সেন্ট, প্রকল্প পরিচালক, কনসালটেম্লট, ল্যাবরেটরি, লোকাল চাঁদাবাজদের ম্যানেজ করতে ১০ পার্সেন্ট, ঠিকাদারের লাভ ১৫ পার্সেন্ট এবং মন্ত্রণালয়কে ১০ পার্সেন্ট ঘুষ দিতে হয়। ঠিকাদাররা জানান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে তিন পার্সেন্ট, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দুই পার্সেন্ট, উপজেলা প্রকৌশলীকে সাড়ে তিন পার্সেন্ট, সহকারী প্রকৌশলী (সিনিয়র) এক পার্সেন্ট, জুনিয়র এক পার্সেন্ট, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফ পার্সেন্ট, কাজের কনসালটেম্লট গ্রুপ এক পার্সেন্ট, হিসাব বিভাগ এক পার্সেন্ট, ট্রেজারি বিভাগ হাফ পার্সেন্ট এবং গুণগত মান সার্টিফিকেটের জন্য ল্যাবরেটরিকে দিতে হয় আরও হাফ পার্সেন্ট। এলজিইডির সাড়ে ১৩ পার্সেন্ট ভাগবাটোয়ার ঘটনা ওপেন সিক্রেট। এটা নিয়ে দরকষাকষির প্রয়োজন পড়ে না। আপনা আপনিই নিজ নিজ ডেস্কে এ টাকা চলে যায়।<br />সড়ক বিভাগের কাজে মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করতে ১০ থেকে ২০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। অন্যান্য জায়গায় দিতে হয় আরও ২০ থেকে ২৫ পার্সেন্ট ঘুষ। এটাও ওপেন সিক্রেট। এর জন্যও দরকষাকষির প্রয়োজন পড়ে না। কোথায় কত টাকা দিতে হবে টেন্ডার পাওয়ার আগেই বলে দেয়া থাকে। সরকারি দলের ঠিকাদার থেকে কাজ কিনে নেয়া এবং ঠিকাদারের লভ্যাংশ বাদ দিলে ৪০ পার্সেন্টের বেশি টাকার কাজ হয় না বলে সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগের একটি সূত্র জানায়।<br />ওয়াসার কাজে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয় বলে জানান ঠিকাদাররা। ওয়াসার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিতে হয় কাজের ২০ পার্সেন্ট। এদের মধ্যে ভাগ পান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দফতর। এমডির জন্য ভাগ থাকলেও বর্তমান এমডি ঘুষ খান না<br />বলে একাধিক ঠিকাদার জানান। এছাড়া কাজ ক্রয়, ঠিকাদারের লাভ এবং অন্যান্য খাতে চলে যায় ৪০ পার্সেন্ট টাকা। বিশেষ করে অগ্রিম আয়কর হিসেবে সাড়ে আট পার্সেন্ট টাকা শুরুতেই কেটে রাখা হয়। নিরাপত্তা জামানত হিসেবে এক বছরের জন্য জমা রাখা হয় আরও ১০ পার্সেন্ট। ওয়াসার একটি সূত্র জানায়, গত আড়াই বছর ধরে যত টেন্ডার হয়েছে এর সবই পেয়েছেন সরকারি দলের নেতা ও সরকার সমর্থক ঠিকাদাররা। ফলে পেশাদার ঠিকাদারদের থাকতে হয়েছে বেকার । অনেকে সরকারি দলের নেতাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে কাজ করছেন।<br />শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, পিডব্লিউডি, রাজউক, সিটি করপোরেশন, বিআইডব্লিউটিএ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সব জায়গায় একই অবস্থা।<br />নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার জানান, তিনি এলজিইডির প্রায় এক কোটি টাকার একটি কাজ কিনে নেন ১৫ লাখ টাকায়। এছাড়াও তাকে এলজিইডিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে আরও ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। তিনি জানান, এখনও কনসালটেম্লট গ্রুপ, হিসাব বিভাগ, ট্রেজারি বিভাগ এবং গুণগত মান সার্টিফিকেটের জন্য ল্যাবরেটরিকে তাদের পার্সেন্টেস দেয়া হয়নি। ক্ষোভের সঙ্গে ওই ঠিকাদার জানান, এখন যদি ৭০ ভাগ কাজ করি তাহলে বাবার জমি বিক্রি করে এনে সরকারি কাজ করতে হবে। সড়কের এক প্রকৌশলী জানান, মন্ত্রণালয় ও সওজ কর্মকর্তাদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে ওয়ার্ক অর্ডার বাতিলের চেষ্টা করলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।<br />প্রকল্পের অব্যয়িত টাকা আত্মসাত্ : সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডির অধিকাংশ প্রকল্পের অব্যয়িত টাকা রাজস্বখাতে জমা না দিয়ে আত্মসাত্ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলজিইডির আরডিপি-২১ প্রকল্প ক্লোজিংয়ের সময় প্রায় ১০ কোটি টাকা অব্যয়িত থেকে যায়। এ টাকা রাজস্বখাতে জমা না দিয়ে তত্কালীন পিডি প্রকল্পের অননুমোদিত পূবালী ব্যাংক, ফার্মগেট, ঢাকা’র এসটিডি-৩৪ নম্বর হিসাবের মাধ্যমে আত্মসাত্ করা হয়। বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত ও পল্লী উন্নয়ন পুনর্বাসন প্রকল্প ২০০৪-এও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ প্রকল্পের অব্যয়িত প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরিয়ে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে দুদকে মামলা হলে দ্রুত তা জমা দিয়ে দেয়া হয়। একইভাবে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প আরডিপি-১৩, ১৮ ও ২৫ প্রকল্পের অব্যয়িত টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, সিএইচটি আইডিপি প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কের আসাম বস্তিসংলগ্ন ৯৬ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোড না করে প্রকল্পের অব্যয়িত অর্থ ব্যয় করার লক্ষ্যে শুকনো স্থানে আরও একটি ২০৪ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ তৈরি করে প্রায় ২ কোটি টাকা সিএইচটি আইডিপি প্রকল্পের পরিচালকের সহায়তায় লুটপাট করা হয়।<br />কাজ না করে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বিল প্রদানের ঘটনাও ঘটেছে এখানে। এলজিইডির একটি সূত্র জানায়, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, কাকচিরা, বামনা, রাজাপুর, কাটালিয়া সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও ২০০৭ সালে এটি সংস্কার করে এলজিইডি। নামসর্বস্ব পত্রিকায় গোপনে বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সমুদয় বিল প্রদান করে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। ঠিকাদার ঘুষ দিয়ে সামান্য কাজ করে পুরো টাকা উঠিয়ে নেয়।<br />স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সূত্রে জানা যায়, এলজিইডিতে বছরে প্রায় ৬২৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। এলজিইডির অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুর্নীতির গড় অনুমিত হিসাব ১০৩ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে বিগত দু’বছরে প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে জমা পড়া অভিযোগ, অভিযোগের তদন্ত এবং দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হওয়া টাকার অঙ্কের গড় হিসাবে দুর্নীতির এ চিত্র পাওয়া গেছে। গত তিন বছরে ১২৭ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে এলজিইডিতে। এর মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।<br />এলজিইডির একটি সূত্র জানায়, প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই শত ভাগ কাজ দেখিয়ে বিল তুলে নেয়া, সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ, কর্মকর্তাদের স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়দের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুলে অবৈধভাবে ওইসব প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ বরাদ্দ দেয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণের টাকা অপচয় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, এলজিইডিতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় গ্রামাঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার প্রকল্পে। বছরে সড়ক সংস্কারের জন্য সহস্রাধিক ছোট ছোট প্রকল্প হাতে নেয়ার মতো দুর্নীতি হচ্ছে এখানে। এসব প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রথমেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুষ দিতে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘুষের কারণে এসব প্রকল্পের ব্যয় শুরু থেকেই বেশি ধরা হয়। কোনো সড়ক উন্নয়নে ৫ কোটি টাকা ব্যয় হলেও তা দেখানো হয় ৭ কোটি টাকা। প্রকল্প অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়ার জালিয়াতি ওপেন সিক্রেট। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি, মন্ত্রী ও সচিব প্রভাববিস্তার করেন বলে অভিযোগ আছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী সুযোগ বুঝে আগেই সমঝোতা করে নেন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে। আর এ সমঝোতার ফল হিসাবে বেশিরভাগ প্রকল্প শত ভাগ বাস্তবায়ন না করেই বিল তুলে নেয়া হয়। বছরের পর বছর একই সড়ক নতুন প্রকল্প হিসাবে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে টেন্ডার জালিয়াতি এবং ভুয়া বিলের অভিযোগই বেশি পাওয়া যায়।<br />এলজিইডিতে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এখানে তার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ না করলে কাজ পাওয়া যায় না বলে সূত্র জানায়। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে। দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজ হিসাবে এই প্রধান প্রকৌশলীর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়। দুদক তদন্ত করে জানতে পারে, প্রধান প্রকৌশলী তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের নামে দেড় বিঘা জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করেছেন। ৬ ইউনিটের এই বাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য ১৫ কোটি টাকা। তাছাড়া গাজীপুরে বাগানবাড়ি, কুমিল্লায় দেড়শ’ বিঘা জমি, কাঁচপুরে জমি এবং ৫টি ব্যাংকে স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও মেয়ে বদরুন্নাহার দীনার নামে ১৯ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগের এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিয়ার রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ঢাকা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী খুরশীদ আলমকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা এলজিইডিকে লুটপাট করে খাচ্ছে।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/05/109866">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/10/05/109866</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-26681590418731723002011-09-22T03:52:00.001-07:002011-09-22T03:52:57.813-07:00জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের বিবৃতি : আবুল আসাদকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকি<span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); ">স্টাফ রিপোর্টার</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div>দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন। পৃথক বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায় ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আবুল আসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন স্বনামধন্য সম্পাদককে গ্রেফতারের ঘটনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি হুমকিস্বরূপ। গণতান্ত্রিক সমাজে কোনোভাবেই এটা কাম্য হতে পারে না। তারা অবিলম্বে আবুল আসাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।<br />জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সরকার তার নিজস্ব প্রণীত আইন লঙ্ঘন করে সাংবাদিকদের ওপর হয়রানিমূলক আচরণ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০ সেপ্টেম্বর দেশের প্রবীণ সাংবাদিক এবং দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু গ্রেফতার করেই সরকার ক্ষান্ত হয়নি, তাকে নেয়া হয়েছে রিমান্ডে। এটা সাংবাদিক সমাজকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।<br />উল্লেখ্য, এর আগে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দীর্ঘকাল আটকে রেখে রিমান্ডে নির্যাতন করা হয়। এসব অনভিপ্রেত ঘটনা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিকাশ, মতপ্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অন্তরায়। যেখানে সরকারের সাংবাদিকতা পেশায় পৃষ্ঠপোষকতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদানের কথা—সেখানে প্রবীণ স্বনামধন্য একজন সম্পাদককে এভাবে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নির্যাতন চালানোর ঘটনায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি হুমকির নামান্তর। গণতান্ত্রিক সমাজে এ অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সরকার সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হয়রানি ও নিবর্তনমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকবে বলে তারা প্রত্যাশা ও দাবি করেন এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান।<br />সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরাম সভাপতি অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শেখ আল আমিন এক বিবৃতিতে বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের সৃষ্ট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি, দুর্নীতি, অনিয়ম, শেয়ারমার্কেট কেলেঙ্কারি, দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতা, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তি, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নে জনজীবনে দুর্গতির বিষয়ে দেশের সাংবাদিকরা যখন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করছে, ঠিক তখনই সরকার সাংবাদিকদের স্তব্ধ করতে গ্রেফতার ও নির্যাতন শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বরেণ্য সাংবাদিক দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারের এ দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে পেশাজীবীদের সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।<br />তারা বলেন, সাংবাদিকসহ পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, বিরোধী দল যাতে সরকারের অন্যায়, নির্যাতন ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে না পারে, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশ দিয়ে মামলা-হামলা, রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হয়েছে। সরকারের এই ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডে সরকার সমর্থক কিছু মানবাধিকার নেতা ও সাংবাদিক সমর্থন জুগিয়ে বানোয়াট রিপোর্ট পেশ করে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। এই দলটি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই পেশাজীবীদের পেশাভিত্তিক কর্মকাণ্ড চালাতে বিশেষ করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশবরেণ্য সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেফতার করে বানোয়াট মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ অবস্থায় পেশাজীবীদের বসে থাকলে চলবে না, সর্বস্তরের জনগণের মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তারা বয়োবৃদ্ধ সাংবাদিক আবুল আসাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত মুক্তির জোর দাবি জানান।<br />দৈনিক সংগ্রাম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভায় অবিলম্বে সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের মুক্তি দাবি করা হয়। এবিএম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মো. এনামুল হক, খন্দকার এমদাদুল হক, সেক্রেটারি কামরুল আহসান, আনোয়ার হোসেন, হাবিবুল্লাহ হাবীব, হাবিবুর রহমান খান ও গোলাপ হোসেন।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/22/107016">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/09/22/107016</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-86099439093403305622011-08-05T18:19:00.000-07:002011-08-05T18:20:20.971-07:00দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiDgLaDTB-_EXjiJsdBQ0-rjjBLVi50NPVSZWSg-f-Udy57L5rHOemaGNtlZlgmwnDCN60OI5D1gZ3vbaCC1ZxXVhyphenhyphen_7tIYPVbH7_26ccXFocoW4ZjS70h4gQDtWFrIwKSK8Xf46Kcjn5Qd/s1600/ab_drobbomuller-urdhogoti.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 288px; height: 167px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiDgLaDTB-_EXjiJsdBQ0-rjjBLVi50NPVSZWSg-f-Udy57L5rHOemaGNtlZlgmwnDCN60OI5D1gZ3vbaCC1ZxXVhyphenhyphen_7tIYPVbH7_26ccXFocoW4ZjS70h4gQDtWFrIwKSK8Xf46Kcjn5Qd/s400/ab_drobbomuller-urdhogoti.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5637546642683392898" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; background-color: rgb(255, 255, 255); "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="color: rgb(153, 153, 153); ">ডেস্ক রিপোর্ট</div><div>শুরু হয়েছে মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার জন্য মুসলমানরা এ মাসের অপেক্ষায় ছিলেন। আর নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা যেন অপেক্ষায় ছিলেন অধিক মুনাফা লাভের আশায়। চলতি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিস্তারিত খবর আমাদের প্রতিনিধিদের :<br />মংলা (বাগেরহাট) : মংলার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বাজারে উপস্থিত ক্রেতা সাহাবুদ্দিন, মামুন, রনি, নাজমা, ইদ্রিস অভিযোগ করে বলেন, রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলেছে। এব্যাপারে তারা সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান সামনে রেখে প্রতি বছরই মহাজনরা পণ্য মজুত রেখে দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে তাদের কিছু করার থাকে না। মংলা বণিক সমিতির সভাপতি হাবিব মাস্টার বলেন, রমজান উপলক্ষে কোনোভাবেই যেন দাম না বাড়ে সে জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবসায়ীদের ওপর কড়া দৃষ্টি রাখছে।<br />রাঙ্গুুনিয়া (চট্টগ্রাম) : রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। রমজান মাস শুরুতে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। চাল, ডাল, তেল, মরিচ ও শাকসবজিসহ অনেক পণ্যের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন হাটবাজার পরিদর্শন করে জানা যায়, উপজেলার রোয়াজারহাট, রানীরহাট, দোভাষী বাজার, কোদালা বাজার, শিলক, পদুয়া রাজারহাট, ধামাইরহাট, শান্তিরহাট, গোছরাবাজারসহ অধিকাংশ হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এসব বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের একাধিক সমিতি রয়েছে। যারা বাজার পরিস্থিতি বুঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে। ফলে হাটবাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চট্টগ্রাম শহরের চেয়ে অনেক বেশি দামে ক্রয় করতে হয়। রমজান মাস শুরুতে বাজারগুলোতে অনেক পণ্যের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন।<br />হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : হাটহাজারীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। বাজার মনিটরিংয়ের একটি কমিটি থাকার পরও ওই কমিটি দায়িত্ব পালন না করায় এ অবস্থা হয়েছে হাটহাজারীতে। এদিকে প্রতিদিন কাঁচাবাজার, মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেশি দামে ক্রয় করেও প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা ওজনে প্রতি কেজিতে ১০০ গ্রাম করে কম দিচ্ছে বলে ক্রেতারা জানান। বর্তমানে বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও অনেক দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আর প্রতিদিন বেড়েই চলছে চিনির দাম।<br />বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, গত কয়েক বছরের বাজার দর হার মেনেছে এবার। হাটহাজারীর বিভিন্ন বাজারে চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১১০-১২০ টাকা, ছোলা ৮০-৮৫ টাকা, পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, ধনেপাতা দেশি ৩০০ টাকা, শসা/ফল ৪০-৪৫ টাকা, মরিচ ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, মুরগি ১৪০-১৪৫ টাকা, মাংস (হাড়ছাড়া) ৩৫০ টাকা, (হাড়সহ) ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা এসব বাজারে বেশি দামে ক্রয় করে প্রতিদিন হিমশিম খেতে হচ্ছে।<br />সাপাহার (নওগাঁ) : শুরু হয়েছে মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার জন্য মুসলমানরা এ মাসের অপেক্ষায় ছিলেন। আর নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা যেন অপেক্ষায় ছিলেন অধিক মুনাফা লাভের আশায়। তাই রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার হিড়িক পড়েছে। রোজার প্রথম দিনে উপজেলার বাজারগুলোতে ক্রেতার ঢল নেমেছিল। আর এ সুযোগে আরেক দফয় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। বিভিন্ন হাটবাজারে, চাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজণীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। ফলে রমজান মাসে বাজার করতে এসে জিনিসপত্রের দাম শুনে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। ত্বরিত্ গতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না হলে চলতি পবিত্র রমজান মাসে ক্রেতাসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হবে। হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর আমদানির অভাব না থাকলেও হঠাত্ করে চাল, আটা, সয়াবিন, রসুন, আদা, চিনি ও গুড়সহ প্রায় সব জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে যে চাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যে দরে বিক্রি হয়েছে বর্তমানে সেসব দ্রব্যের মূল্য প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।<br />সালথা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে গত এক সপ্তাহে চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকদফা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিনি প্রতি কেজি ৭৫-৮০, সয়াবিন ১৩০-১৩৫, আটা ৩৫-৪০, মসুর ডাল ৯০-১০০, খেসারির ডাল ৫৫-৬০, ছোলা ৭৫-৮০, পোলট্র্রি মুরগি ১৫০-১৬০, গরুর গোশত ২৮০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বেড়েছে তরিতরকারি ও বিভিন্ন ধরনের ফলমূলের দাম। আলু প্রতি কেজি ১৫-১৮, বেগুন ৩০-৪০, পেঁয়াজ ৩০-৩৫,পটল ৩২-৩৬, পেঁপে ১৮-২০, খেজুর ৮০-২৫০, আপেল ১৪০-১৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন দিনমজুর ও সমাজের নিম্নআয়ের মানুষ। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বি হয়েছে বলে ক্রেতারা মনে করছেন। ক্রেতারা আরও জানান আগে কয়েকদিন পরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসাতে বাজারের জিনিসপত্রের দাম ও পণ্যের গুণগতমান ঠিক ছিল। কিন্তু গত বছর সহকারী কমিশনার ভূমি কার্বাইড মিশ্রিত আম ধরার কয়েকদিন পর তাকে অন্যত্র বদলি করানোর পর থেকে এ পর্যন্ত আর কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজার মনিটরিং করেননি। ফলে ব্যবসায়ীরা লাগামহীনভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে।<br />তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : রমজানের প্রথম দিন থেকে কাঁচাবাজার তথা শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দোকানে যেন আগুন লেগেছে। আর এসব দ্রব্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার তদারকি কর্মকর্তা না থাকায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী মনগড়া মূল্য নির্ধারণ করে এসব দ্রব্যসামগ্রী বিক্রি করছে। সরকারিভাবে প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ১০৫ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তাহিরপুরে প্রতি কেজি সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায় । চিনির দাম প্রতিকেজি ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ১০ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়। কাঁচামরিচ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে দ্বিগুণ ৮০ টাকায়। নিম্নমানের খেজুর ৭০ টাকা, আশ্বিনা আম ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ৫০ থেকে ৮০, শসা ২০ থেকে ৪০, চাল প্রতি ৫০ কেজি বস্তা মোটা ও চিকন চাল প্রতি বস্তায় বেড়েছে ১শ’ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া আরও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক। ফলে নিম্নআয়ের মানুষ এসব দ্রব্য কিনতে গিয়ে পড়ছে চরম বিপাকে।<br />নাগরপুর (টাঙ্গাইল) : বাজার মনিটরিং না থাকায় নাগরপুরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার সদর বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রেতা সাধারণ প্রতারিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার উপজেলার সদর বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের বিভিন্ন অসঙ্গতি চোখে পড়ে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে তাদের ইচ্ছেমত পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। জানা যায়, গত একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচ ৬০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা, ছোলা ৬৫-৭০, চিনি ৬৬-৭০ ও খোলা সয়াবিন লিটার প্রতি ১০৫ টাকা থেকে ১১০, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১১৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা তোফায়েল জানান, সরকার কর্তৃক দাম নির্ধারণ করা থাকলেও শুধু মনিটরিংয়ের অভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী সুধির মণ্ডল বলেন, একদিন আগে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ টাকা দরে। একদিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা হাসমত আলী, নজরুল ও কাইয়ুম জানান, খুচরা দোকানিরা খোলা সয়াবিন ১১০ থেকে ১১৫ টাকা বিক্রি করছে। এছাড়া পিঁয়াজ, রসুন, আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দামও আকাশচুম্বী<br />।</div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><div class="mb8" style="margin-bottom: 8px; border-bottom-width: 1px; border-bottom-style: dotted; border-bottom-color: rgb(204, 204, 204); "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/06/97414">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/08/06/97414</a></div></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-3214496866930724792011-07-16T18:29:00.000-07:002011-07-16T18:32:30.909-07:00অস্থির মসলার বাজার : এক মাসে পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৪১ ভাগ আদার কেজি ৯০, হলুদ ২৮০ টাকা<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMygur2T7d84-xnU2XsIYbwsoe4RZupmMgjwVZZ0wHvngjHSTf98CWBdUCRzN7XFShq6vh9O3X_00Ycx242eCiRTzr0qKrC-f58bDRiCLQuXrufRAEAOBOpmMIyJg-05IjJH6hiipFnjfv/s1600/P1_Masla.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 288px; height: 262px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiMygur2T7d84-xnU2XsIYbwsoe4RZupmMgjwVZZ0wHvngjHSTf98CWBdUCRzN7XFShq6vh9O3X_00Ycx242eCiRTzr0qKrC-f58bDRiCLQuXrufRAEAOBOpmMIyJg-05IjJH6hiipFnjfv/s400/P1_Masla.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5630127816487709010" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">অর্থনৈতিক রিপোর্টার</div></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রমজান মাস আসছে—এ সুযোগকে অন্যায়ভাবে কাজে লাগিয়ে গত সাতদিনে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কেজিপ্রতি ৬ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত। আর এক মাসের হিসাবে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪১ ভাগ। একই অবস্থা আদা, রসুন, হলুদ ও মরিচের। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">রাজধানীর খুচরা বাজারে গতকাল এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়। এক মাস আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬ থেকে ৩০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, রোজার কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে, ফলে বাড়ছে দাম।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সরকারি বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেয়া গতকালের বাজার দর তথ্যে জানা গেছে, গত এক মাসে পেঁয়াজের দাম ৪০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে টিসিবি। সংস্থার বাজার দর পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা কেজিতে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা। তবে কারওয়ানবাজারের মূল্যের সঙ্গে হাতিরপুল বাজারের মূল্যে কেজিপ্রতি </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">২/৩ টাকা তফাত্ রয়েছে। কারওয়ানবাজার থেকে হাতিরপুল বাজারের দূরত্ব বেশি নয়, তারপরও কেন বাড়তি ২/৩ টাকা বেশি মূল্য? এ বিষয়ে </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">জানতে চাইলে হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা আবুল কাশেম জানান, কারওয়ানবাজারে পাইকারি মূল্যেই সাধারণত পণ্য বিক্রি হয়। এ কারণে দাম কিছুটা কম। তবে হাতিরপুল বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা কেজি দরে।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এদিকে অস্থির আদা-রসুনের বাজার। টিসিবির বাজার দর তথ্যে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুনের দাম ৭৫ থেকে ৯০ টাকা। তবে গতকাল হাতিরপুল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এক কেজি দেশি রসুনের দাম ৯৬ থেকে ১০২ টাকা। টিসিবির দাবি অনুযায়ী, রসুনের দাম কয়েকদিন ধরেই স্থিতিশীল। বাস্তবে দেখা গেছে, গত সাত দিনে প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এ বিষয়ে টিসিবির প্রধান কর্মকর্তা (সিএমএস ও এসএন্ডডি) রফিকুল ইসলাম জানান, আমদানি করা রসুনের দাম গত ৩ জুলাই সামান্য হ্রাস পায়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি ব্যয় বাড়ায় রসুনের দাম বেড়েছে। দেশি রসুনের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে অনেক ব্যবসায়ী বলেন, একশ্রেণীর মজুতদার, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর কারসাজিতেই ধাপে ধাপে রসুনের দাম বেড়েছে। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">টিসিবি জানিয়েছে, রাজধানীর বাজারে গত এক মাসে আদার দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর তথ্যমতে, এক মাসে আদার দাম গড়ে প্রায় ১৮ ভাগ বেড়েছে। গতকাল কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। তবে দেশি আদার দাম প্রতি কেজি ৯৫ টাকা। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার দিন বাজারে প্রতি কেজি আদার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা ছিল বলে জানিয়েছে টিসিবি। সেই হিসাবে আদার দাম বর্তমানে দ্বিগুণ।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">এক কেজি হলুদের দাম এখন ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। টিসিবি অবশ্য জানিয়েছে, ২৬০ টাকা দরেও বাজারে হলুদ বিক্রি হচ্ছে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি টিসিবির বাজার দর তথ্যে হলুদের দাম উল্লেখ করা হয় ৯৫ থেকে ১১০ টাকা। বর্তমান সরকারের গত আড়াই বছরে হলুদের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৭৫ টাকা।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="text-align: justify;">শুধু পেঁয়াজ, রসুন, আদাই নয়, বর্তমান সরকারের গত আড়াই বছরে শুকনা মরিচ, জিরা, ধনিয়া, এলাচ, দারুচিনিসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/17/93472">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/07/17/93472</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-74645078318817529482011-06-29T07:34:00.001-07:002011-06-29T07:34:52.340-07:00তিন বছরে পিপিপি : বাস্তবায়ন শূন্য বরাদ্দ ৮ হাজার কোটি টাকা<div style="text-align: justify;"><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">সৈয়দ মিজানুর রহমান</span></div><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় বিনিয়োগের ব্যাপক আশাবাদ প্রচার করা হলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি নেই। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে পিপিপি নামে ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। চলতি ২০১০-২০১১ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ আছে ৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে এই খাতে আবারও ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়নের হার শূন্য। </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পর পর দু’টি বাজেট বক্তৃতায় পিপিপিকে নতুন খাত হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার পিপিপিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেটে বরাদ্দ রাখলেও, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের স্পষ্ট ধারণা দেয়া হচ্ছে না। বাজেটের বরাদ্দ কোত্থেকে কিভাবে খরচ হবে তাও বলা হচ্ছে না। এ বিষয়ে এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী গতকাল আমার দেশকে বলেন, পিপিপি যে একেবারে নতুন ধারণা তা ঠিক না। বহু আগে থেকেই পিপিপি’র মাধ্যমে কাজ হয়ে আসছে। তবে বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে তা নতুন। বাজেটে আগে পিপিপি নামে আলাদা কোনো খাত ছিল না। গত অর্থবছরেই আলাদা খাত হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়।’ কেন পিপিপিতে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া নেই, বরাদ্দের এক টাকাও কেন খরচ হয়নি জানতে চাইলে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘এটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছে। সঠিক নির্দেশনা নেই। ব্যবসায়ীরা জানেন না কিভাবে এই খাতে রাখা বরাদ্দ থেকে টাকা পাওয়া যাবে।’</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিখাতকে নিম্ন বা বিনা সুদে ঋণ অথবা মূলধন সহায়তা হিসেবে দেয়ার জন্য পিপিপি খাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থেকে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি বিনিয়োগ তহবিল গঠন </span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">করার কথা ছিল। এছাড়া স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদি নির্মাণে সহায়তার জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি মূলধন গঠনের কথা ছিল। তবে ২০১০-২০১১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, পিপিপির এই বরাদ্দ খরচ করা যায়নি। তার পরও তিনি ২০১০-২০১১ অর্থবছরে বাজেটে পিপিপিতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। তবে অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে এসে একটি টাকাও খরচ করা যায়নি এই খাত থেকে। এরই মধ্যে ২০১১-২০১২ অর্থবছরের বাজেটে পিপিপিতে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "></span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; ">পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাজেটে পিপিপিতে ২৩টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিদ্যুত্ খাতে সিরাজগঞ্জে ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩২০, মেঘনা ঘাটে ৪৫০, সিদ্ধিরগঞ্জে ৩০০-৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট। এছাড়াও রয়েছে চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ এবং পরিবহন খাতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভৌত পরিকল্পনা খাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় মার্কেট নির্মাণ, পার্ক উন্নয়ন এবং নতুন আবাসিক এলাকা নির্মাণ, বরিশালে বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম নির্মাণ। স্বাস্থ্য খাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা এবং বড় হাসপাতালগুলোতে অটোমেশন সার্ভিস প্রবর্তন প্রকল্প।</span><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div>আগামী অর্থবছরের এডিপিতে আবারও পিপিপির আওতায় ১৬টি প্রকল্প যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্প ধরা হয়েছে রাজধানীর আশপাশে তিনটি স্যাটেলাইট শহর নির্মাণে। ১৩টি প্রকল্প ঠিক করা হয়েছে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতে। এগুলোর মধ্যে আছে চট্টগ্রামে এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ-বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সৌরবিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, খুলনায় ২১০ মেগাওয়াট তাপ-বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, ময়মনসিংহে ৩৬০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) বিতরণ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প ও ডিপিডিসির সাব-স্টেশন নির্মাণ।</div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-82418766272962041892011-05-31T11:30:00.000-07:002011-05-31T11:31:51.111-07:00পরীক্ষা ছাড়াই ৬৪ হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ হচ্ছে<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEje1ya-RXgUZqenJUJG82cla7pGCoWtFZ2uXAAp342HrpRN3o5DA7a8vZmE-nkGqPx3jdi5IkwwBJfijdKchbow5hjD2re10a1DKcuJka6NBW5RULYkM_o2R3bU36ItRKdQsfR5cU6pwu-_/s1600/P1_porikkha-sarai-64.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 156px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEje1ya-RXgUZqenJUJG82cla7pGCoWtFZ2uXAAp342HrpRN3o5DA7a8vZmE-nkGqPx3jdi5IkwwBJfijdKchbow5hjD2re10a1DKcuJka6NBW5RULYkM_o2R3bU36ItRKdQsfR5cU6pwu-_/s400/P1_porikkha-sarai-64.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5612949723738760914" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">এম এ নোমান</div><div><div style="text-align: justify;">কোনো ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়াই শুধুমাত্র দলীয় বিবেচনায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও সরকারের অন্য সংস্থাগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পদমর্যাদায় ৬৪ হাজার লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এমনকি স্বাস্থ্য পরীক্ষারও প্রয়োজন হবে না। এডহকভিত্তিক নিযুক্ত কর্মচারী নিয়মিতকরণ বিধিমালা সংশোধন করে পিএসসির মাধ্যমে পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি স্থায়ীকরণেরও সুপারিশ করে ইতোমধ্যে এর খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। আগামী ১ জুন অনুষ্ঠেয় সচিব কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন হতে পারে। এ বিধিমালা সংশোধন প্রস্তাব তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতরসহ সরকারের অন্য সংস্থাগুলোতে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণীর সহকারী পরিচালকের পদ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ৬৪ হাজার লোক নিয়োগের একটি চাহিদাপত্রও তৈরি করা হয়েছে। এসব পদে এডহকভিত্তিতে লোক নিয়োগের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়গুলো এর মধ্যেই প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">সরকারি কর্মকমিশনকে (পিএসসি) পাশ কাটিয়ে এডহকভিত্তিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হলে দেশের বর্তমান প্রশাসন আরও মেধাহীন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন সাবেক সচিব ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, এমনিতেই আমাদের দেশের প্রশাসন আন্তর্জাতিক মানের নয়। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এখন আবার কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই ছাড়া শুধুমাত্র দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ দিলে এদের দিয়ে সরকারের দলীয় উদ্দেশ্য হয়তো সফল হবে, কিন্তু দেশের কোনো ক্ষতি ছাড়া কল্যাণ হবে না। তারা বলেন, বিএসএস পরীক্ষায় অংশ নেয়া হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বেকার পড়ে আছে। এরই মধ্যে ৬৪ হাজার পদ দলীয় লোকদের দিয়ে পূরণ করা হলে স্বাভাবিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র হতাশার সৃষ্টি করবে। ১৯৭৩ সালে পিএসপিকে বাদ দিয়ে দলীয় বিবেচনায় এডহকভিত্তিতে মেধাহীনদের নিয়োগের ফলে সৃষ্ট বোঝা প্রশাসনকে দীর্ঘদিন বহন করতে হয়েছে। এবারের বোঝা কতদিন টানতে হতে পারে সেটা কেউ বলতে পারবে না। </div><div style="text-align: justify;">জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে যে, প্রশাসনকে গতিশীল, দক্ষ ও মেধাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে এডহকভিত্তিক নিযুক্ত কর্মচারী নিয়মিতকরণ বিধিমালা সংশোধন করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও পরিদফতরসহ অন্য সংস্থাগুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের এডহকভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই এক বৈঠকের মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়গুলোর অধীন</div><div style="text-align: justify;">অন্যান্য বিভাগ ও সংস্থায় শূন্য পদের একটি তালিকা করা হয়। এতে দেখা যায় যে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী পদমর্যাদার ৬৪ হাজার পদ শূন্য রয়েছে। এ পদগুলোতে লোকবল নিয়োগের লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এ প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য আগামী ১ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে সচিব কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব : অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ই নয়, এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ও একইভাবে চিকিত্সকদের নিয়োগ দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাব অনুমোদনের ক্ষেত্রে যুক্তি পেশ করে বলা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এক পত্রের মাধ্যমে এডহকভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের চাকরি নিয়মিতকরণ এবং তাদেরকে ক্যাডারভুক্তির লক্ষ্যে এডহকভিত্তিক নিযুক্ত কর্মচারী নিয়মিতকরণ বিধিমালা ১৯৯৪ সংশোধনের প্রস্তাব করেছে। ইতোমধ্যেই তারা এডহকভিত্তিতে ৩৫৫১ জন ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছে এবং আরও ৫৮২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যদিও দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে ১৯৯৪ সালে বিধিমালার ৮নং ধারার আলোকে সরকারের রাজস্ব বাজেটের পদে এডহকভিত্তিক লোক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে বাস্তবতার নিরিখে আবশ্যিক হওয়ায় ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই বিধিমালার ৮নং ধারা বিলুপ্ত করা হয়। ফলে বর্তমানে রাজস্ব বাজেটের পদে এডহকভিত্তিতে নিয়োগে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে ১৯৯৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে নিয়োগপ্রাপ্তদেরই নিয়মিত করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে যেসব কর্মকর্তা এডহকভিত্তিক নিয়োগ পাবেন তাদের নিয়মিত করার সুযোগ নেই। কাজেই নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি নিয়মিত করতে হলে বিদ্যমান বিধিমালাটিও সংশোধন করতে হবে। প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (কনসালটেশন) রেগুলেশন, ১৯৭৯ অনুযায়ী শুধুমাত্র পিএসসির আওতাভুক্ত ১ম ও ২য় শ্রেণীর পদে পিএসসি’র অনুমোদন সাপেক্ষে এডহকভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা যায়। শুধুমাত্র এসব পদে এডহক নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়মিতকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিষয়টি সংশোধিত বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। পিএসসি’র অনুমোদন ছাড়া কোনো কর্তৃপক্ষ বিধিবহির্ভূতভাবে এডহক নিয়োগ দিলে সেটা বৈধ করতে হলেও বিধিমালার আওতাভুক্ত করতে হবে। সচিব কমিটিতে অনুমোদনের জন্য প্রস্তুতকৃত এ প্রস্তাবের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, এ সংশোধনী অনুমোদন হলে পিএসসির অনুমোদন ছাড়াই যে কোনো মন্ত্রণালয় কিংবা এর অধীন অন্যান্য বিভাগ ও অধিদফতর-পরিদফতরে এডহকভিত্তিতে ১ম ও ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া যাবে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষ পিএসসির অনুমোদন নিয়ে তাদের চাকরি নিয়মিত করবেন। মূলত এর মাধ্যমে বর্তমানে শূন্য ও নতুনভাবে সৃষ্ট ৬৪ হাজার পদে ১ম ও ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। </div><div style="text-align: justify;">বিশেষজ্ঞদের উত্কণ্ঠা : এডহকভিত্তিক নিয়োগের বিরোধিতা করে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান আমার দেশকে বলেন, পিএসসি’র মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা নিযুক্ত হবেন এটাই হচ্ছে স্বীকৃত রীতি। স্বচ্ছতা ও মেধাবীদের মূল্যায়নের স্বার্থেই এ রীতি মানতে হয়। এডহক নিয়োগের পক্ষে সরকার যত যুক্তিই দেখাক না কেন, এ নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে জটিলতাও দেখা দিতে পারে।</div><div style="text-align: justify;">এডহকভিত্তিতে ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ হলে দেশের গোটা প্রশাসনিক অবস্থা আরও ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রশাসন বিশ্লেষক এএসএম আবদুল হালিম আমার দেশকে বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের প্রশাসনিক অবস্থা সুস্থ নয়। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি আর দলীয় মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্যে চেইন অব কমান্ড নেই প্রশাসনের কোনো ক্ষেত্রেই। তার পরেও পিএসসির মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা নিযুক্ত হওয়ায় তাদের প্রতি মানুষের বিন্দুমাত্র হলেও আস্থা ও ভরসা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এডহকভিত্তিতে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নিয়োগের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, সেটা হলে তো দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই থাকবে না। এমনিতেই আমাদের প্রশাসন বর্তমানে মেধাহীন প্রশাসন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এর ওপর কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই দলীয় লোকদের নিয়োগ দিলে দেশের বড় ধরনের সর্বনাশ হবে। দলীয় পরিচয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের নির্যাতনের শিকার হবেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের এডহকভিত্তিতে নিয়োগের উদ্যোগ মনে হয় এটাই প্রথম। বর্তমানে পিএসসিকে পাশ কাটিয়ে তড়িঘড়ি করে হাজার হাজার পদে দলীয় লোকদের নিয়োগের চেষ্টা সত্যিকারের মেধাবীদের বিক্ষুব্ধ ও হতাশ করে তুলবে। সরকারের মন্ত্রীরাও প্রায়ই বলেন, বর্তমান সরকারের সময় আওয়ামী লীগের দলীয় লোক ছাড়া অন্যদের চাকরি দেয়া হবে না। এটা দেশের জন্য অকল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। ইতোমধ্যেই মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত প্রায় সাড়ে ৫শ’ কর্মকর্তাকে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। এখন আবার এডহকভিত্তিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলে সেটা হবে প্রশাসনকে দলীয়করণের ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রক্রিয়া। </div><div style="text-align: justify;">সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান আমার দেশকে বলেন, প্রশাসনকে দলীয়করণের মাধ্যমে সব সরকারই রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে থাকে। কোনো সরকার একটু বেশি করে আবার কোনো সরকার একটু কম করে। জোট সরকারের চেয়ে মহাজোট সরকারের আকার বড় তাই তারা একটু বেশিই করছে। তবে পিএসসিকে পাশ কাটিয়ে ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগ নজিরবিহীন। এটা প্রশাসনকে মেধাহীন করে ফেলবে। পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হলে অন্ততপক্ষে মেধাবীরা প্রশাসনে আসার সুযোগ পায়। আর এডহকভিত্তিতে নিয়োগ হলে মেধাহীন দলবাজরাই নিযুক্ত হবে। এটা নিয়ে রাখঢাকের কিছু নেই। কোনো কোনো মন্ত্রী বলেছেন, তারা দলীয়ভিত্তিতেই লোকবল নিয়োগ দেবেন। তারা মেধাবীদের কথা বলেননি। বদিউর রহমান বলেন, ১৯৭৩ সালে একবার পিএসসিকে পাশ কাটিয়ে তড়িঘড়ি করে মেধাহীনদের দলীয় বিবেচনায় প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সেই বোঝা দেশ বহু বছর টেনেছে। একইভাবে এবারও এডহকভিত্তিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এটা কোনো অবস্থায়ই সমর্থনযোগ্য নয়। </div><div style="text-align: justify;">সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আমার দেশকে বলেন, প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য স্বীকৃত পন্থা রয়েছে। পিএসপির মাধ্যমে নিয়োগ হলে দক্ষ, যোগ্য ও কর্মঠরাই নিয়োগ পান। কিন্তু পিএসসিকে পাশ কাটিয়ে কোনো ধরনের পরীক্ষা ও যোগ্যতার যাচাই ছাড়াই দলীয়ভাবে লোক নিয়োগ করা হলে প্রশাসন আরও মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। প্রশাসনে দলীয়করণের নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি হবে। এটার বিরুদ্ধে বিবেকবান সকলেরই সোচ্চার হওয়া উচিত।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/28/84096">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/28/84096</a> </div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-51783827275068118072011-05-31T10:14:00.001-07:002011-05-31T10:14:39.260-07:00ইউপি নির্বাচন : কমিশনে অভিযোগের স্তূপ : ক্ষমতাসীনদের দাপটে অসহায় ভিন্নমতাবলম্বী প্রার্থীরা<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">কাজী জেবেল</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে অভিযোগের স্তূপ ততই বাড়ছে। বেশিরভাগ অভিযোগে ক্ষমতাসীনদের দাপটে বিরোধীদলীয় সমর্থক এবং স্থানীয় এমপির সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হতে আগ্রহীরা নির্বাচনী কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না বলে জানানো হয়েছে। চিঠিতে নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীনদের অপতত্পরতা, সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব, প্রার্থী হতে বাধা দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ এমপিদের বাধায় প্রার্থী হতে পারছেন না জানিয়ে কমিশনের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। ক্ষমতাসীনদের বাধায় অনেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন না—এমন আশঙ্কা জানিয়ে বিকল্প পদ্ধতিতে দাখিল করার সুযোগ দিতে কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি উঠেছে। এ অবস্থায় আজ কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচনী জেলার ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে বৈঠকে করা হবে। বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে। খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রের।</div><div style="text-align: justify;">কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন ডাক ও ফ্যাক্সযোগে অসংখ্য অভিযোগ আসছে। সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী ও তাদের অনুসারিরা সরাসরি কমিশনে এসে অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ফোন করেও অভিযোগ করছেন। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের বাইরে থাকায় আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। আমার হাতে অভিযোগ আসার পর মন্তব্য করব। </div><div style="text-align: justify;">কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে কমিশনে অভিযোগের সংখ্যা ততই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে চট্টগ্রাম অঞ্চল, যশোর, কুষ্টিয়া, মুন্সীগঞ্জ, নওগাঁ, গাইবান্ধা জেলা থেকে। এক অভিযোগে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম-৫ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী প্রতিটি ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাই করে দিচ্ছেন। এসব প্রার্থীর বাইরে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দল থেকে কাউকে প্রার্থী হতে বাধা দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি রাউজান উপজেলার ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইনের সঙ্গে দেখা করে একই অভিযোগ করেছেন। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর, খোকসা, যশোরের শার্শা, অভয়নগর, মনিরামপুর, ঝিনাইদহ, শৈলকূপা থেকে আসা অভিযোগগুলোতে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে সরকারদলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে চরমপন্থী সংগঠনের সদস্যরা সংগঠিত হচ্ছে। তারা আতঙ্ক ছড়াতে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। দেশের অন্য স্থান থেকে আসা কয়েকটি অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যরা মিটিং করে দলীয় প্রার্থী ঠিক করে দিচ্ছেন। বিদ্রোহী বা বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা যাতে নির্বাচন না করেন সেজন্য শাসিয়ে দেন তারা। এসব অভিযোগে প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন না আশঙ্কা করে বিকল্প পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ দিতে কমিশনের কাছে আবেদন জানান। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে এলাকায় সন্ত্রাসীদের তত্পরতা নিয়ে অভিযোগ আসছে। রাউজানের ২নং ডাবুয়া ইউপি থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেয়া এক চিঠিতে বলা হয়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী নাজিমউদ্দিন ওরফে ওরলী নাজিম, জাহাঙ্গীর ওরফে লাল জাহাঙ্গীর, কালা জাহাঙ্গীর, মো. আলী ওরফে আইল্যা, আবদুর রশীদ ওরফে রইশ্যা এলাকায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছে। তারা অন্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ৯নং পাহাড়তলী ইউপি থেকে সিইসি বরাবরে দেয়া অপর একটি আবেদনে বলা হয়, দেশে বা বিদেশে আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় জড়ো হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">এসব চিঠিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় প্রচুর সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন, অস্ত্র উদ্ধার ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/04/79751">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/05/04/79751</a></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-78574551826437722202011-04-26T03:09:00.000-07:002011-04-26T03:10:51.078-07:00দলবাজিতে প্রশাসন গতিহীন : কর্মকর্তারা দিনের প্রথমভাগ ব্যয় করেন শেয়ার ব্যবসা নিয়ে বার বার আদেশ জারি করেও কাজ হচ্ছে না<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">কাদের গনি চৌধুরী</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">প্রশাসন চলছে ঢিমেতালে। বার বার আদেশ জারি করেও সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে মনোযোগী করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি কাজে গতি আসছে না দেখে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার বার তাগিদ দেয়া হয়। কেবিনেট সেক্রেটারি ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্রও জারি করা হয়। এর পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকারের বিভিন্ন মহলে আলাপ করে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৃষ্ট আতঙ্ক, মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য নতুন হওয়ায়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় না থাকায়, মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে দ্বন্দ্ব, দক্ষ কর্মকর্তাদের ওএসডি করে কর্মহীন বসিয়ে রাখা, দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, জুনিয়রদের পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়রদের পদে বসানোর কারণে প্রশাসনে অসন্তোষ তৈরি হওয়ায় কাজকর্মে গতি আসছে না। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, কট্টর সরকারসমর্থক অফিসাররাও মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে না। তারা সরকারি কাজের চেয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। দিনের প্রথমভাগ তারা ব্যয় করেন শেয়ার ব্যবসা নিয়ে। যার ফলে কাজে গতি আসছে না। </div><div style="text-align: justify;">সরকারি কাজে গতি না আসায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরও অসন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক এবং এর আগে জাতীয় সংসদের বাজেট বক্তৃতায় প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, সরকারে বয়স দুই বছর পার হলেও এখনও উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের সমন্বয় নেই। সব সিদ্ধান্তের জন্য সবাই তাকিয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে। সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর অনভিজ্ঞতার কারণে মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আসছে না। এছাড়া প্রশাসনিক অস্থিরতা ও ভীতিও রয়েছে। ফাইল সই করতে সবাই ভয় পায়। সরকারি কর্মকর্তা, এমনকি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কেউ কেউ কোনো বিষয়ে একা সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে মন্ত্রী সচিবের ওপর চাপিয়ে দেন, আবার সচিব এতে রাজি না হলে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হচ্ছেন। গত দু’বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি অনেক আমলাও গ্রেফতার হয়েছেন। তাই ভবিষ্যতের আতঙ্কে সচিব থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করছেন। </div><div style="text-align: justify;">মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের ধীরগতি দেখে প্রতিটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কাজে গতি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবকে এ ব্যাপারে চিঠিও দেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, নতুন গণতান্ত্রিক সরকার গণমুখী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও মন্ত্রণালয়গুলো তা যথাযথভাবে দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে না। এর ফলে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে, সমস্যা সমাধানে এবং যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব হচ্ছে। সেখানে আরও বলা হয়, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অহেতুক বিলম্ব ঘটায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। </div><div style="text-align: justify;">সূত্র জানায়, প্রশাসনিক এ ধীরগতির কারণে সেবাপ্রার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অনভিজ্ঞ হওয়ায় এ সুযোগ গ্রহণ করছেন সচিবালয় কর্মকর্তারা। ফাইল নিষমত্তির ক্ষেত্রে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছেন এ কর্মকর্তারা। সেবাপ্রার্থীকে ফাইলের পেছনে না ছুটলে কাজ হয় না। তদবির না করলে হয় ফাইল থেমে যায়, নতুবা ফাইল গায়েব করে দেয়া হয়। অনেক সময় কোনো অজুহাত না পেলে ফাইল থেকে জরুরি কাগজ সরিয়ে ফেলা হয়। অধিদফতর কিংবা দফতরে নিষমত্তিযোগ্য ফাইল মন্ত্রণালয়ে চলে এলে ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়ে। মন্ত্রী এবং সচিবের মধ্যে বিরোধের কারণেও সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, সমস্যার সমাধান এবং যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। বিমান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে বিরোধের কারণে দীর্ঘদিন এখানে ঠিকমতো কাজ হয়নি। অবশ্য মাসখানেক আগে সচিব শফিক আলম মেহেদীকে বদলি করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনকে গতিশীল করতে নির্দেশনা দেয়া হয় যে, শাখা প্রধানরা ৭২ ঘণ্টা, উপ-সচিবরা ৪৮ ঘণ্টা এবং তদূর্ধ্ব পর্যায়ে ২৪ ঘণ্টায় ফাইল নিষমত্তি হতে হবে। কিন্তু এসব নিয়ম-কানুন মেনে ফাইল নিষমত্তি হচ্ছে না। </div><div style="text-align: justify;">গত বছরের ১৪ নভেম্বর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কাজের ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের অনীহার বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, অনিষমন্ন কাজের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আনা হচ্ছে না। তবে হাতেগোনা কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের নিয়মে কাজ করে যাচ্ছে সঠিক সময়ে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পদোন্নতি ও পোস্টিংবঞ্চিত কর্মকর্তাদের আলোচনা-সমালোচনা করে দিন কাটাতে। সম্প্রতি সরকার যুগ্ম সচিব পদে বড় ধরনের পদোন্নতি দেয়। তা সত্ত্বেও বঞ্চিতদের সংখ্যা এখনও বেশি। যারা পদোন্নতি পেয়েছেন, তারা এখনও পোস্টিং পাননি। ফলে তাদের আগের জায়গায় কাজ করার ব্যাপারে বেশ কিছুটা অনীহা রয়েছে। তবে কোনো কোনো কর্মকর্তা নিজের তাগিদে আগের স্থানে কাজ করলেও মন নেই কাজে। </div><div style="text-align: justify;">গত বছরের ২৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এক চিঠিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল নিষমত্তি করতে সকল সচিবকে লিখিত নির্দেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল নিষমত্তি না করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদের এই নির্দেশের পরও সচিবালয়ে নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না ।</div><div style="text-align: justify;">শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন অধিদফতর ও বোর্ডে ফাইলের স্তূপ জমছে। শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযোগ, আবেদন ও অন্যান্য সমস্যা মাসের পর মাস এমনকি বছরেও সুরাহা হচ্ছে না। শিক্ষক-কর্মচারীদের সমস্যা দেখভালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে কোনো মনিটরিং সেল নেই। সূত্র জানায়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষক-কর্মচারীদের পদোন্নতি, বদলি, টাইমস্কেল, এমপিওভুক্তি’র আবেদনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন শতাধিক আবেদন ও অভিযোগ নথিভুক্ত হচ্ছে; কিন্তু সাধারণ আবেদন, তদবির ও অভিযোগ দ্রুত সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয় না। প্রভাবশালীদের অনৈতিক তদবির, অভিযোগ ও ফরমায়েশি কাজ নিষমত্তি করতেই মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশিরভাগ সময় কেটে যায়। </div><div style="text-align: justify;">সরজমিনে মাউশি’তে ঘুরে দেখা যায়, মহাপরিচালক ও পরিচালক ছাড়া বিভিন্ন দফতরে ফাইলের স্তূপ জমে আছে। ফাইল গতিশীল করার জন্য শত শত শিক্ষক প্রতিদিন মাউশিতে আসছেন। জমে থাকা ফাইল নিষমত্তির বিষয়ে সংস্থার মহাপরিচালক এবং স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা শাখার পরিচালকরা নিয়মিত সংশ্লিষ্টদের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখলেও কার্যক্রম এগুচ্ছে না। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও একই অবস্থা বিরাজ করছে। মন্ত্রী-সচিব-সংসদীয় কমিটির বিরোধের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এ মন্ত্রণালয়ের কাজে কোনো গতি ছিল না। গত মাসে সচিবকে সরিয়ে দেয়ার পর কাজে কিছুটা গতি এসেছে বলে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।</div><div style="text-align: justify;">অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি না থাকায় গত ৫ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই বৈঠকে তিনি দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সার্বিক অর্থনীতির অবস্থা মন্ত্রিসভাকে জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধি, রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়া, তারল্য নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে বলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান।</div><div style="text-align: justify;">এ বৈঠকের পর পরই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম অর্থ মন্ত্রণালয়ের সব ক’টি অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখায় চিঠি দিয়ে সমন্বয়কারী কর্মকর্তাদের আরও প্রো-অ্যাক্টিভ ভূমিকা রেখে শাখার কাজের সুষ্ঠু ও কার্যকর সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।</div><div style="text-align: justify;">সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনে গতি আনতে তৃণমূল পর্যন্ত ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে ‘লেস পেপার অফিস’ প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল স্বাক্ষর চালু এবং ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কেনাকাটার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং মন্ত্রী-সচিবদের সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পর্যন্ত একটি চেইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে একেবারে উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনার ক্ষেত্রে ই-মেইল ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হলে ডিসি এবং ইউএনওরা যাতে একসঙ্গে সবাই পেয়ে যান, সে উদ্দেশ্যে এসব অফিসের জন্য ই-মেইল অ্যাকাউন্টও খুলে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ডিজিটাল স্বাক্ষর চালু হলে এসব নির্দেশনার নির্ভরযোগ্যতা অনেক বাড়বে। আর মুহূর্তেই অফিসিয়াল নির্দেশনা পৌঁছে যাওয়ার কারণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও হবে দ্রুত। এক্ষেত্রে ডিসি এবং ইউএনওদের প্রশিক্ষিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালy.</div></div><div><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/13/76758">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/13/76758</a></div><div><br /></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-15724474614462566502011-04-26T02:09:00.000-07:002011-04-26T02:10:26.826-07:00চালের দাম ৫ বছরে বেড়ে দ্বিগুণের বেশি<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZ7B1Y-91i-Gs7JFr6tSBBxh6oCrNgbwYmvRZLtAHg7fajrxOyVsPezfKHvbQkwtsZrWnMcvkg7FPU1IrJpycTuifQKKTz0swyjTWJQcKHFb7Qg1r3aHKMvq5Hy9C9vC9GTbTikRGykz9P/s1600/P1_chaler-dam.jpg" onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 261px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZ7B1Y-91i-Gs7JFr6tSBBxh6oCrNgbwYmvRZLtAHg7fajrxOyVsPezfKHvbQkwtsZrWnMcvkg7FPU1IrJpycTuifQKKTz0swyjTWJQcKHFb7Qg1r3aHKMvq5Hy9C9vC9GTbTikRGykz9P/s400/P1_chaler-dam.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5599817048811620466" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><br /></h1></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); "><br /></div><div class="gray" style="text-align: justify;color: rgb(153, 153, 153); ">জাহেদ চৌধুরী</div><div><div style="text-align: justify;">বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক আগের দিন ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি স্বর্ণা ও চায়না ইরি জাতের যে মোটা চালের কেজি ছিল ২৭ টাকা, গতকালের বাজারে তা বিকিয়েছে ৩৬ টাকায়। একই সময়ের ব্যবধানে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের মতো সরু চালের দাম ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে গতকালের বাজারে বিকিয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র তথ্যে চালের মূল্যবৃদ্ধির এ পরিসংখ্যান রয়েছে। আর আজ থেকে ঠিক ৫ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ এপ্রিল মোটা চাল বলে পরিচিত স্বর্ণা ও চায়না ইরির দাম ছিল ১৭ টাকা কেজি। আর উন্নতমানের নাজির ও মিনিকেট চালের কেজি ছিল ২২ টাকা। চালের বাজারদর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৫ বছরে চালের দাম দ্বিগুণেরও বেশি প্রায় আড়াইগুণ বেড়েছে। সরকারি হিসাবের বাইরে গতকাল সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাজারে দুর্গন্ধমুক্ত মোটা চাল ৩৭/৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৫৮ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত মিনিকেট ৬০ টাকা কেজিও আছে। টিসিবির হিসাবে উন্নতমানের নাজির ও মিনিকেট চাল গতকাল বিকিয়েছে ৫২ টাকা দরে, যা এক মাস আগেও একই দাম ছিল। এক বছর আগে ছিল ৪৪ টাকা কেজি। ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাঝখানে মোটা চালের দাম বেড়ে ২০০৮ সালে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও ওই সরকার বিদায় নেয়ার আগেই দাম অনেক কমে। তারা ক্ষমতা ছাড়ার দিন ২৭ টাকা কেজিতে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় দাম কমে ২০০৯ সালের শেষদিকে মোটা চালের কেজি ২২ টাকায় পৌঁছলেও সরকারের বছর না ঘুরতেই দাম বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে তা জরুরি শাসনামলকেও ছাড়িয়ে যায়। একইভাবে বর্তমান সরকারের আমলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাঝারি ও সরু চালের দাম। চালের পাশাপাশি জরুরি নিত্যপণ্য হিসেবে ঘোষিত সব পণ্যের দামই বর্তমান সরকারের আমলে অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মাসে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমান সরকারের প্রথম দুই বছরে জরুরি নিত্যপণ্যের দাম সর্বনিম্ন ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৪৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">টিসিবি’র তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ঢাকার বাজারে মোটা চাল ৩৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। যারা নিয়মিত বাজার করেন তারা জানিয়েছেন, ওই সময় মোটা চালের কেজি ৪০ টাকায় পৌঁছে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩১ মার্চ গফরগাঁওয়ে এক জনসভায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে চালের কেজি ৪০ টাকা, বিএনপি থাকলে ৯০ টাকা হতো। নির্বাচনের আগে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতির কথা তিনি বেমালুম অস্বীকার করে চলেছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রীর ওই প্রতিশ্রুতির ভিডিওচিত্র, একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট এরই মধ্যে পুনঃপ্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে, তাতে তার ওই বক্তব্যের প্রমাণ রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">গত ৬ মার্চ বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান জাতীয় সংসদে বিএনপিদলীয় এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে (বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের মাসে) মোটা চালের কেজি ছিল ২৪ থেকে ৩০ টাকা। ২০১০-এর জানুয়ারিতে ছিল ২৫ থেকে ২৮ টাকা এবং ২০১১ সালের জানুয়ারিতে হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৭ টাকা কেজি। তিনি জানান, দুই বছরের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে শতকরা ৩১ দশমিক ৪৮ ভাগ। বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদে আরও জানান, ২০০৯ সালে সরু চালের কেজি ছিল ৩২ থেকে ৪২ টাকা, ২০১০-এ ছিল ৩১ থেকে ৪৫ টাকা, ২০১১ সালে তা ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় পৌঁছায়। মন্ত্রীর তথ্য মতে, দুই বছরে সরু চালের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। সংসদে দেয়া বাণিজ্যমন্ত্রীর তথ্যমতে, বর্তমান সরকারের প্রথম দুই বছরে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৪৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। এর মধ্যে রসুন ও হলুদের দাম সর্বোচ্চ বেড়েছে বলে তার দেয়া তথ্যে জানা যায়।</div><div style="text-align: justify;">টিসিবি’র বাজারদর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, স্বর্ণা ও চায়না ইরি জাতের প্রতি কেজি মোটা চাল গতকাল ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঠিক এক মাস আগে এই চাল ছিল ৩৭ টাকা এবং ঠিক এক বছর আগে ২৮ টাকা। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে এই চালের দাম টিসিবির হিসাবে ২৭ টাকা থাকলেও সেদিন ২৪ টাকা কেজিতেও মোটা চাল বাজারে বিক্রি হয়েছে বলে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে। প্রথম আলো ও আমার দেশ-এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি খুলনায় ২৪ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি হয়েছে। আর বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরদিন ৭ জানুয়ারি নওগাঁর পাইকারি বাজারে চালের দাম বিশ্লেষণে দেখা যায় ওইদিন প্রতি কেজি মোটা চালের দাম ছিল ২১ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৯৭ পয়সা। </div><div style="text-align: justify;">অন্যদিকে আজ থেকে ঠিক ৫ বছর আগে ২০০৬ সালের ৭ এপ্রিল (খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের শাসনামলের শেষ বছরে) দৈনিক ইত্তেফাক ও প্রথম আলো পত্রিকায় টিসিবি ও নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে চালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম আলোর ওইদিনের রিপোর্টে দেখা যায়, ওইদিন বাদামতলী ও বাবুবাজারে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল ৬০০ টাকা মণ দরে, পারি জাতের মোটা চাল ৬৩০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। আর মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকা মণ দরে। নাজিরশাইল মানভেদে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা মণ দরে। ৪০ কেজির হিসাবে ধরলে স্বর্ণার দাম দাঁড়ায় প্রতি কেজি মাত্র ১৫ টাকা, পারির কেজি ১৫ টাকা ৭৫ পয়সা, মিনিকেট ২২ টাকা ৫০ পয়সা এবং নাজিরশাইল মানভেদে সাড়ে ১৭ টাকা থেকে ২১ টাকা ২৫ পয়সা। অন্যদিকে ২০০৬ সালের ৭ এপ্রিলের ইত্তেফাকে বলা হয়েছে ঢাকার খুচরা বাজারে আগের দিন প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ১৭ টাকা কেজি দরে। ২০০৬ সালের ৫ এপ্রিলের মানবজমিনের প্রতিবেদনে দেখা যায়, হাতিরপুল বাজারে আগের দিন প্রতি কেজি নাজিরশাইল বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা । ২০০৬ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকার বাজারে পাইকারি চালের দাম মিনিকেট প্রতি কেজি ২২ থেকে ২৪ টাকা, কালিজিরা প্রতি কেজি ২৭.৭০ টাকা, চিনিগুঁড়া ২৮.২০ টাকা, স্বর্ণা প্রতি কেজি ১৫.৫০, মোমপালিম প্রতি কেজি ১৭.৭০ টাকা, লতা প্রতি কেজি ১৮.৬০ টাকা, লতা মোটা প্রতি কেজি ১৫.৫০ পয়সা, পারিজা প্রতি কেজি ১৭.৩৫ টাকা, নাজিরশাইল প্রতি কেজি ১৮ থেকে ২২ টাকা এবং আটইশ চাল প্রতি কেজি ১৭.৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।’</div><div style="text-align: justify;">এদিকে ঠিক পাঁচ বছর পর গতকালের (৬ এপ্রিল/২০১১) টিসিবির বাজারদরের তালিকায় দেখা যায়, মোটা চাল স্বর্ণা/চায়না ইরি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৬ টাকা, উত্তম মানের পাইজাম/লতা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, সাধারণ মানের পাইজাম/লতা প্রতি কেজি ৩৭ থেকে ৪০ টাকা, নাজির/মিনিকেট উত্তম মানের প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা এবং সাধারণ মানের নাজির/মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫২ টাকায়।</div><div style="text-align: justify;">ওদিকে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আগের দিন ও ১/১১ সরকারের শেষদিনের টিসিবির বাজারদর অনুযায়ী ঢাকার বাজারে স্বর্ণা ও চায়না ইরি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ২৭ থেকে ২৯ টাকা, সাধারণ মানের পাইজাম/লতা ৩২ থেকে ৩৩ টাকা, উত্তম মানের পাইজাম/লতা ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা, সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট ৩৩ থেকে ৩৮ টাকা এবং উন্নত মানের মিনিকেট চাল ওইদিন বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে সর্বোচ্চ ৪২ টাকা কেজি দরে। </div><div style="text-align: justify;">২০১০ সালে টিসিবির বাজারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এক বছরে নাজির, মিনিকেট, পাইজাম, লতা, স্বর্ণা, চায়না ইরিসহ সব ধরনের চালের মূল্য বেড়েছে গড়ে প্রায় ৩২ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন মোটা চাল। এ সময়ে মোটা চালের দর বেড়েছে গড়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ। </div><div style="text-align: justify;">খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেট ও পাইকারি বিক্রেতাদের দায়ী করছেন। অন্যদিকে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, চালকল মালিকরা বেশি দামে তাদের কাছে চাল বিক্রি করছেন বলেই তারা দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে একাধিক বিক্রেতা বলছেন, অসাধু চালকল মালিকরা অতিমুনাফার আশায় চাল মজুত করছেন। এর সঙ্গে সরকারি মদতপুষ্ট ব্যক্তিদের জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য চালের দাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দাম এত বেশি হওয়ার কথা নয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে সংসদে দাঁড়িয়েও চালের দামবৃদ্ধির পেছনে ষড়যন্ত্রকারীরা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">চালের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের তরফ থেকেও চালকল মালিকদের দায়ী করা হয়েছে। কিছু দিন আগে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, অনেক চালকল মালিক অতিরিক্ত মুনাফার জন্য চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে বৈঠকে চালকল মালিকরা খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, চালকল মালিকদের কাছে চালের মজুত নেই। অবৈধ ও খণ্ডকালীন মজুতের জন্য ব্যবসায়ীরাই দায়ী। প্রধানমন্ত্রীও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">অভিযোগ উঠেছে, মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিলারের কাছে জিম্মি চালের বাজার। পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও চাল নিয়ে চলছে চালবাজি। মিলাররা ইচ্ছামতো চাল সরবরাহ করেন আবার ইচ্ছামতোই দাম বাড়ান—এমন অভিযোগ পাইকারি চাল ব্যবসায়ীদের। </div><div style="text-align: justify;">কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশে বোরো চালের উত্পাদন হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ টন। আমন হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টন আর আউশ ২৫ লাখ টন। মোট উত্পাদন হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টন চাল। এর মধ্যে ১২ ভাগ খাদ্যশস্য বীজ হিসেবে সংরক্ষণ এবং মাঠ থেকে আনা ও মাড়াই প্রক্রিয়ায় নষ্ট হয় বলে ধরা হয়। ফলে এ পরিমাণ খাদ্যশস্য বাজারে আসে না। তাদের দেয়া তথ্যমতে, মোট খাদ্যশস্যের উত্পাদন ৩ কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার টন। এর সঙ্গে দেশে উত্পাদিত ১০ লাখ টন গম ও আমদানি করা ৩০ লাখ টন খাদ্যশস্য যোগ করলে মোট খাদ্যশস্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার টন।</div><div style="text-align: justify;">বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, গত অর্থবছরে (২০০৯-১০) বোরো চাল ১ কোটি ৮৩ লাখ টন, আমন ১ কোটি ২২ লাখ টন, আউশ ১৭ লাখ টন এবং গমের উত্পাদন ছিল ৯ লাখ ৬৯ হাজার টন। মোট খাদ্যশস্যের উত্পাদন ছিল ৩ কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার টন</div><div style="text-align: justify;">।</div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-39521083104050369062011-04-26T01:16:00.000-07:002011-04-26T01:17:29.055-07:00এইচটি ইমাম বঙ্গবন্ধু খুনের সঙ্গে জড়িত : কাদের সিদ্দিকী<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">শীর্ষ নিউজ</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারবে না। কারণ তাদের মন্ত্রিপরিষদেই যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। স্বচ্ছভাবে বিচার করতে হলে আগে তাদের বিচার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বঙ্গবন্ধু খুনের সঙ্গে জড়িত। এসব খুনির দিক-নির্দেশনায় চলছে সরকার। এদের নিয়ে কিভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে? গতকাল বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অঙ্গসংগঠন যুব আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।</div><div style="text-align: justify;">তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ টাকা কেজি দরে জনগণকে চাল খাওয়াবে বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। এ ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম সরকারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সম্মেলন শেষে জুয়েল খানকে সভাপতি ও খন্দকার মনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট যুব আন্দোলনের ও ডিএম শামীম সুমনকে সভাপতি ও আমিনুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/02/75065">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/02/75065</a></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-86999959782410418662011-03-27T06:35:00.001-07:002011-03-27T06:35:48.289-07:00বরিশালে ক্রেতাদের ক্ষোভ : বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মাসুল সরকারকে দিতে হবে<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><span class="Apple-style-span" style="font-size: 22px;">=</span><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">জি. এম. বাবর আলী, বরিশাল</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বাজার দর। ক্রমান্বয়েই দাম বাড়ছে প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের। ৮/১০ দিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজ আলুর মতো ২/১টি ছোটখাট পণ্যের দাম কিছুটা কমলেও চাল, ভোজ্য তেল, দুধ ও চিনিসহ দাম বেড়েছে বেশিরভাগ পণ্যের। অব্যাহত দ্রব্যমূল্যের জন্য কেউ কেউ মধ্যস্বত্বভোগী, কেউ কেউ সিন্ডিকেটকে দায়ী করলেও অধিকাংশ ক্রেতার মতে সরকারিভাবে সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবেই বাজারে ইচ্ছামাফিক পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট দফতর ও কর্মকর্তাদের। অব্যাহত এ দ্রব্যমূল্য</div><div style="text-align: justify;">বৃদ্ধির ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে আছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। নগরীর বড় বাজার, নতুন বাজার ও বটতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে। যেমন দামে কেনা হচ্ছে তেমন দামেই বিক্রি করছেন বলে দাবি বিক্রেতাদের। এছাড়া পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির আর কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না বেশিরভাগ বিক্রেতা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই মূল্যবৃদ্ধির জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করলেন। বাজার রোডের মাতৃভাণ্ডার নামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বলাই সাহা আমার দেশকে বলেন, মিল মালিকদের ইচ্ছামাফিক মূল্য নির্ধারণের ফলে তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। সিন্ডিকেটও মূল্যবৃদ্ধির জন্য অনেকটা দায়ী। বাজার মনিটরিংয়ের বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, একদিনও চোখে পড়েনি মনিটরিং ব্যবস্থা। </div><div style="text-align: justify;">নগরীর আবদুর রব নামের এক রিকশাচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোজ রোজ সব জিনিসের দাম বাড়ছে। ফলে আয় করা টাকা দিয়ে ৭ জনের পরিবার নিয়ে নানা কষ্টে চলছে তার সংসার। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বিক্রেতারা ইচ্ছামত দাম বাড়ালেও কেউ কিছুই বলছে না। অথচ যাত্রী পরিবহনে ৮ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকার আবেদন করলেই তাদের ভাগ্যে জোটে অশ্লীল ভাষার গালিগালাজ ও চড়-থাপ্পর। </div><div style="text-align: justify;">একটি এনজিওতে কর্মরত মোতালেব বিশ্বাস নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও বাড়ছে না তাদের বেতন-ভাতা। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই চলতে হচ্ছে তার মতো নিম্ন আয়ের মানুষকে। তিনি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেন, রহস্যজনক কারণে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। আর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের এহেন গাফিলতি আর ব্যর্থতার মাশুল সরকারকেই দিতে হবে।</div><div style="text-align: justify;">বরিশালের বিভিন্ন বাজারে ৭ দিন আগের ৫০ টাকার মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি দরে। আর সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা কেজির বুলেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ৩৬ টাকার স্বর্ণা ৩৮ টাকা, ৪১ টাকার বাঁশফুল ৪৩ টাকা, ৪৪ টাকার আঠাশ বালাম ৪৫ টাকা এবং ৩৯ টাকার মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১/২ টাকা। বিভিন্ন ধরনের ময়দা ৪০ টাকা এবং আটা ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। </div><div style="text-align: justify;">চালের মতো চিনি আর ভোজ্য তেলের দামও বেড়েছে। বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরের চিনি ৬৪ টাকা হয়েছে। হঠাত্ করে এ মূল্যবৃদ্ধির কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বিক্রেতারা। একমাস ধরে বরিশালের তেলের বাজারে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলেও মাথাব্যথা নেই কর্তাব্যক্তিদের। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ৯০ টাকার ১ লিটার তেলের দাম ১২০ টাকায় এসে পৌঁছেছে। ৭ দিন আগে যা বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকায়। ৮/১০ দিনের ব্যবধানে ৯৮ টাকার পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ১০৪ টাকায়। একইভাবে দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিনেরও। মাত্র ১০ দিন আগে তীরমার্কা ৫ লিটার তেলের মূল্য ছিল ৫০৫ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকায়। ৫শ’ টাকার রূপচাঁদা ৫৭০ টাকা, ৪৯৫ টাকার মুশকান ৫৫৫ টাকা এবং ৪৯৮ টাকার দাদা ৫৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব তেলের অনেক বোতলের গায়ে আগের দাম লেখা থাকলেও বর্ধিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। </div><div style="text-align: justify;">বাজারে দাম বেড়েছে সব ধরনের দুধের। এক্ষেত্রেও বিক্রেতাদের যুক্তি একটাই, অতিরিক্ত দামে ক্রয় করায় অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবধরনের দুধের প্যাকেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে ৫শ’ গ্রামের ২০৫ টাকার ফ্রেশ দুধ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, একইভাবে ২১৮ টাকার ডানো ২৩৫ টাকা, ২০৫ টাকার মার্কস ২২০ টাকা, ২২৭ টাকার ডিপ্লোমা ২৪৫ টাকা এবং ১ কেজির ৩৭০ টাকার প্রাণ দুধ বিক্রি হচ্ছে ৪১০ টাকায়। ৫শ’ গ্রামের লিকুইড দুধের প্যাকেট ৩০ টাকা থেকে মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। </div><div style="text-align: justify;">বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দাম ২ টাকা কমে ৬ টাকা এবং ৩০ টাকার পেঁয়াজ ২৫/২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মসুরির ঢালের দামও কমেছে কেজিপ্রতি ২ টাকা। ৯০ টাকার ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকায়। কিন্তু হলুদ, মরিচসহ শাকসবজি এবং তরি-তরকারির দাম বেড়েছে। ১৮০ টাকা দামের মরিচ ২০০ টাকা এবং ২৮০ টাকা কেজির হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। বাজারে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি ও তরিতরকারি থাকলেও দাম কমছে না কোনোটিরই। কয়েকদিন ধরে প্রায় সবধরনের তরকারির দাম বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে এসব শাকসবজি ও তরকারি। ৮ টাকার সিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। টমেটো ২০ টাকা, খিরাই বা শসা ৩০ টাকা, শালগম ১০ টাকা, গাজর ১৬ টাকা, মাঝারি সাইজের একটি লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দুটি লাউয়ের ডগা ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। </div><div style="text-align: justify;">বরিশালের বড় বাজারে ব্রয়লার ও কক মুরগি ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও দেশি মুরগির দাম ছিল ২৫০ টাকা কেজি। সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজির খাসির মাংস ও ২৬০ টাকা কেজির গরুুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফার্মের মুরগির ডিম ১১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ১৩০ টাকা কুড়ি দরে বিক্রি হচ্ছে।</div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-31510785509508036592011-03-27T06:20:00.000-07:002011-03-27T06:21:03.288-07:00দাম বৃদ্ধি : ওএমএস’র চাল সঙ্কট : মাগুরার মহম্মদপুরে অভাবী মানুষের হাহাকার বাড়ছে<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি</span></h1></div><div class="fl" style="text-align: justify;float: left; border-top-width: 1px; border-right-width: 1px; border-bottom-width: 1px; border-left-width: 1px; border-top-style: solid; border-right-style: solid; border-bottom-style: solid; border-left-style: solid; border-top-color: rgb(52, 159, 0); border-right-color: rgb(52, 159, 0); border-bottom-color: rgb(52, 159, 0); border-left-color: rgb(52, 159, 0); margin-top: 5px; margin-right: 5px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><img src="http://www.amardeshonline.com/img/news/ab_dam-briddhi_oms/'r.jpg" vspace="5" hspace="5" alt="" /></div><div><div style="text-align: justify;">মহম্মদপুরে ওএমএসের চাল না পেয়ে প্রতিদিন ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই। চাল না পেয়ে মহম্মদপুরে বেড়ে যাচ্ছে অভাবী মানুষের হাহাকার।</div><div style="text-align: justify;">তখন সকাল ৭টা। ওএমএসের চাল দেয়া শুরু হতে আরও দু’ঘণ্টা বাকি। ডিলার দোকান খোলেননি। চাল নিতে শুরু হয়ে গেছে লাইনে দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতা। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে অভাবী মানুষের মিছিল। বাড়ছে হৈচৈ-চেঁচামেচি। ঘড়ির কাঁটায় ৯টা। দোকান খুলতে লাইনে দাঁড়ানো শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ চালের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। চাল দিতে গলদঘর্ম হচ্ছিল দোকানের লোকজন। ১১টা বাজতেই খবর এলো আজকের বরাদ্দের চাল শেষ। তখনও চালের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ। এর মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। ডিলার বেচারা পালিয়ে বাঁচলেন। শুরু হলো চালের জন্য হাহাকার। এ চিত্র নিত্যদিনের। মহম্মদপুর উপজেলা সদরের খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রির সময় সব ডিলারের দোকানের সামনে এ দৃশ্য দেখা যায়। গরিব-অসহায় লোকজনের প্রধান খাবার মোটা চালের দাম অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একটু কম দামে চাল সংগ্রহের এমন দৃশ্য এখন জেলার সর্বত্রই দেখা যায়। খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রথমে পাঁচজন, পরে দুজন বাড়িয়ে সাতজন করে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে উপজেলা সদরে চারজন এবং উপজেলা সদরের বাইরে বড়বাজারে তিনজন। সারা জেলায় মোট ৩১ জন ডিলার সপ্তাহে মঙ্গল ও শুক্রবার বাদে পাঁচদিন এক মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করছেন। একজন ডিলার দিনে ৫ কেজি করে সর্বোচ্চ ২০০ জনকে চাল দিতে পারছেন।</div><div style="text-align: justify;">জানা গেছে, খোলাবাজারে বিক্রয় কেন্দ্রে যে চাল ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাজারে তার দাম ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা। বৃদ্ধ আবুল হোসেন বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে লাইনে দাঁড়াই। পরে এসে দাঁড়ালে সেদিন আর চাল পাই না। তখন না খেয়ে থাকতে হয়। বোরকা পরে অনেক মহিলা চাল নিতে এসেছেন। তাদের একজন পরিচয় না দিয়ে বলেন, কখনও এভাবে চাল নিতে আসিনি। এখন নিরুপায় হয়ে আসতে হচ্ছে। লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়ানো বৃদ্ধা ফুলজান বেগম জানান, গায়ে বল নেই। ছেলেবউরা কাজে যায় আর আমাকে পাঠায় চাল আনতে। স্কুলড্রেস পরা শিশু আলম রায়পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। সে জানায়, লাইনে আগে দাঁড়াতে পারলে স্কুল ধরতে পারি, না হলে পারি না। সরেজমিনে উপজেলা সদর, নহাটা, বাবুখালী, রাজাপুর, বালিদিয়া, বিনোদপুর, দিঘা ও পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলকেও ছাড়িয়ে গেছে। মোটা চালের প্রধান ক্রেতা গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মোটা চাল এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫-৩৮ টাকা। চিকন চালের দামও কেজিপ্রতি বেড়েছে ৭-১০ টাকা। চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদেশে ওএমএস চালু করা হলেও এর তেমন কোনো প্রভাব বাজারে পড়ছে না।</div></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-18338117897014872582011-02-23T07:44:00.000-08:002011-02-23T07:46:13.262-08:00ডকুমেন্ট বলছে ভিন্নকথা : ১০ টাকা কেজি চালের কথা ’৯৬ সালে বলেছি, এবার নয় - সংসদে শেখ হাসিনা<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjDBGcUwcJUgdVjqYQBJbZ-bxgTyr9l2PkWyvUUFeKb498vu4faylwFwgQwXvpROVIR08MCSdtGO_VqASuxFYu4APOgAObpzdL_Van7IAO9CBnXqwUxghyphenhyphenKONnMAKu284JRxvtApBJXffWB/s1600/P1_document-bolsay-onno-kot.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 182px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjDBGcUwcJUgdVjqYQBJbZ-bxgTyr9l2PkWyvUUFeKb498vu4faylwFwgQwXvpROVIR08MCSdtGO_VqASuxFYu4APOgAObpzdL_Van7IAO9CBnXqwUxghyphenhyphenKONnMAKu284JRxvtApBJXffWB/s400/P1_document-bolsay-onno-kot.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5576911778172782018" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">সংসদ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">বিরোধী দল মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পারদর্শী অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ১৯৯৬ সালের নির্বাচনী জনসভার বক্তৃতাকে তারা (বিএনপি) ২০০৮ সালের বলে চালিয়ে দিয়েছে। ’৯৬ সালের নির্বাচনী বক্তৃতার সঙ্গে তারা ২০০৮ সালের ক্যাপশন লিখে ইউ-টিউবে ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রচার করছে নির্বাচনের আগে আমি নাকি বক্তৃতা দিয়েছিলাম ক্ষমতায় আসতে পারলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা দশ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে তা রক্ষা করেছি। এবার আমরা জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার কথা বলেছি এবং ক্ষমতায় এসে ৪৫ টাকার চাল ১৮/২০ টাকায় নামিয়ে আনি। পরে কৃষকদের ন্যায্যমূল্যের কথা চিন্তা করে কিছুটা বাড়িয়েছি। তিনি বিরোধী দলের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা ১০ টাকায় যে চাল রেখে এলাম সেটা কেন ৪৫ টাকা হলো? কেন ৫ টাকা কেজি করতে পারলেন না তার জবাব দিন। </div><div style="text-align: justify;">গতকাল জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদলের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সভাপতিত্বে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের প্রথম আধঘণ্টা প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরপর্ব চলে।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ’৯৬ সালে নয়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির প্রথম দফা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় শেখ হাসিনা ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতির কথা বহুবার বলেছেন। জরুরি সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচন ২ বছর পেছালেও ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানো নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত ছিল। যদিও নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরাসরি ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করেনি। ১৮ টাকা কেজির কথাও বলা হয়নি। তবে বিভিন্ন জনসভা, লিফলেট ও মিছিলের স্লোগানে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানো নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সোচ্চার ছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল বলে প্রধানন্ত্রীর বক্তব্যের সত্যতাও মেলেনি। </div><div style="text-align: justify;">সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির দেয়া তথ্য মতে, ’৯৬ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি প্রথম দফায় ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার বছরে মোটা চালের সর্বনিম্ন দর ১০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ছিল। ’৯৭-তে সর্বনিম্ন দর ঠিক থাকলেও সর্বোচ্চ দর ২৪ টাকায় পৌঁছেছিল। টিসিবি বলছে, ২০০১ সালেও মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ১৪ টাকা কেজিতে। বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার সময় ২০০৬ সালে সর্বনিম্ন দর ছিল ১৭ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৯ টাকা। ২০০৮ সালে জরুরি সরকারের সময় মোটা চালের সর্বনিম্ন দর ছিল ২৮ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী : গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরপর্বে ‘সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কীভাবে বিরোধীদলীয় নেতার হৃদয়ঙ্গম হয় সে বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ রয়েছে কিনা’ মঈনুদ্দিন খান বাদলের এ সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হৃদয়ঙ্গম করার বিষয়ে আমি এত পারদর্শী নই। মাননীয় সংসদ সদস্যই (বাদল) এ বিষয়ে পারদর্শী। তাই হৃদয়ঙ্গম করার দায়িত্বটা তাকেই দিলাম। তিনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এ সময়ে বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য তারা ক্ষমতায় আসেনি। তারা নিজেদের ভোগবিলাসে ব্যস্ত ছিল। তারা জনগণের সমস্যাগুলো আমলে নেয়নি। তাদের দুঃখ হলো—আমরা মেগাপ্রজেক্ট করছি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করছি। মানুষের উপকারের জন্য কাজ করছি। তা তাদের পছন্দ হচ্ছে না।</div><div style="text-align: justify;">বিরোধী দল ইন্টারনেটে তার বক্তৃতার ফুটেজ বিকৃত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে পারদর্শী। নির্বাচনের আগে আমি নাকি বক্তৃতা দিয়েছিলাম ক্ষমতায় আসতে পারলে ১০টাকা কেজি চাল খাওয়াবো। এটা ওয়েবসাইটের ইউটিউবে ছেড়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এটা ঠিক, আমরা ১৯৯৬ সালে ১০ টাকায় চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং তা রেখেছিও। আমরা ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত তা ছিল। সেই চাল বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বৃদ্ধি পেতে পেতে মানুষকে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকায় কিনতে হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">ইউটিউবের ফুটেজ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি ওই বক্তৃতা বার বার দেখেছি। আমি কোথায় কী বক্তৃতা দিয়েছি, ওই সময় কে কে ছিলো, আমার দলের প্রার্থী কে ছিলো সেটা দেখেছি। ইউটিউবের ফুটেজটা কয়েকবার খুব ভালোভাবে দেখলাম। এটা হচ্ছে আমার ’৯৬ সালের নির্বাচনী বক্তৃতা। ১৯৯৬ সালে আমি তেজগাঁওয়ের একটি জনসভায় ১০ টাকায় চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম। ওই বক্তৃতার সঙ্গে তারা ২০০৮ সালের ক্যাপশন লিখে চালিয়ে দিয়েছে। আমরা তো দশ টাকায় চাল রেখে এলাম, সেটা কেন ৪৫ টাকা হলো? কেন ৫ টাকা কেজি করতে পারলেন না তার জবাব দিন। একবার বাড়লে তো কোন জিনিসের দাম কমে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দেখেছিলাম। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে ৪৫টাকার চাল ১৮/২০ টাকায় নামিয়ে আনি। তারপর কৃষকের কথা ভেবে আবার কিছুটা বাড়িয়েছি। আমরা মানুষের আয়ও বৃদ্ধি করেছি।</div><div style="text-align: justify;">’৯৬ সালে নয়, গত সংসদ নির্বাচনের আগেই ১০ টাকা কেজির চালের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী : অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণার পর টাঙ্গাইল ও জামালপুরের জনসভায় শেখ হাসিনা ১০ টাকা কেজিতে চাল খেতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় ‘টাঙ্গাইল ও জামালপুরে শেখ হাসিনা...’ শিরোনামে ডাবল কলামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী হাইস্কুলের জনসভায় তিনি ড. আবদুর রাজ্জাককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, জোট সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি এবং অর্থনৈতিক সফলতা অর্জনে নৌকায় ভোট দিন। তিনি স্লোগান দেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেব, ১০ টাকা সের চাল খাব। ধানের শীষে ভোট দেব না ২০ টাকা সের চাল খাব না।’ একই দিনে জামালপুরের মাদারগঞ্জ বালিজুড়ী এফএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মির্জা আজমের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে নৌকা ছাড়া উপায় নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশে ১০০ ভাগ লোককে শিক্ষিত করা হবে। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। চালের সের ১০ টাকা হবে, দেশ আবার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।’ </div><div style="text-align: justify;">১৭ সেপ্টেম্বরের আমার দেশ পত্রিকার প্রথম পাতায় শিরোনাম ছিল ‘টাঙ্গাইল ও জামালপুরে শেখ হাসিনা : ২০ টাকার চাল ১০ টাকায় খেতে হলে নৌকায় ভোট দিন’। সেদিনের সবকটি জাতীয় দৈনিকে শেখ হাসিনার এ প্রতিশ্রুতির কথা প্রকাশিত হয়। টিভি চ্যানেলগুলোতেও একই খবর প্রচারিত হয়। এরপর অসংখ্য সমাবেশে শেখ হাসিনা এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ‘নৌকা মার্কায় ভোট দেব, ১০ টাকা সের চাল খাব’—শেখ হাসিনার এ স্লোগান ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে সারাদেশের অলিতে-গলিতে উচ্চারিত হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মুখে। শুধু তাই নয়, গত বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যখন মোটা চালের কেজি ৩৫/৪০ টাকায় গিয়ে পৌঁছায় তখন শেখ হাসিনা কারাগারে ছিলেন। ৩ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনাকে আদালতে নেয়া হয়। পরদিন আমার দেশ পত্রিকার লিড স্টোরির হাইলাইটসে শেখ হাসিনার বরাতে ছাপা হয়েছিল, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দ্রব্যমূল্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা হবে। চালের দাম কমিয়ে ১২ থেকে ১৫ টাকায় আনা হবে।’ </div><div style="text-align: justify;">তবে শেখ হাসিনা মুক্ত হওয়ার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে ২৪ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর বাসস্ট্যান্ডের সমাবেশে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর কথা বলেন। তিনি নৌকা মার্কাকে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ার মার্কা বলে উল্লেখ করেন। তিনি সেখানকার প্রার্থী হাবিবুর রহমানকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, ১০ টাকায় চাল খেতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। ২৫ ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক সংগ্রামসহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর কমিউনিটি সেন্টারে ২ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে প্রতি কেজি চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা ও কাঁচামরিচের কেজি ৫ টাকা করা হবে। ৩ ডিসেম্বর দৈনিক নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য নেতাকর্মীও একইভাবে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর প্রচারণা চালিয়েছেন। </div><div style="text-align: justify;">এখানে দুটি বিষয় লক্ষণীয়, জরুরি সরকারের হস্তক্ষেপে নির্বাচন প্রায় ২ বছর পিছিয়ে গেলেও শেখ হাসিনা এ সময় ধরে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখেন। জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তিনি যখন এ প্রচারণা শুরু করেন তখন চালের কেজি ছিল তার বক্তব্য অনুযায়ীই ২০ টাকা। যদিও বাস্তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবির হিসাব অনুযায়ী ২০০৬ সালে মোটা চালের কেজি ছিল সর্বনিম্ন সাড়ে ১৬ টাকা। অথচ প্রধানমন্ত্রী এটাকে ৪৫ টাকা বলেছেন। জরুরি সরকারের সময়ে মোটা চালের কেজি ৩৫ টাকা পর্যন্ত পৌঁছলেও জরুরি সরকার ক্ষমতা ছাড়ার সময় চালের কেজি ২২ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু মাঝখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চালের দাম বেশি বেড়ে যাওয়ায় তিনি অর্ধেক দামে চালসহ দ্রব্যমূল্য খাওয়ানোর কথা বলেন। এ কারণে জেলে থাকতে তিনি ১২ থেকে ১৫ টাকায় চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু আবার চালের দাম কমতে শুরু করায় তিনি ও তার দলের নেতারা নির্বাচনের আগে ১০ টাকায় চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনী প্রচার ও লিফলেটেও এটা স্থান পায়। </div><div style="text-align: justify;">এবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন সবচেয়ে মোটা চাল ২২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলে খবর প্রচারিত হয়। সেক্ষেত্রে তার দুই বছর আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২০ টাকার চাল ১০ টাকা হলে, ২২ টাকার চাল ১১ টাকা হতেই পারে। যদিও নির্বাচনী প্রচারে ১০ টাকার কথাই বলা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি নিয়ে নির্বাচনের আগে যখন আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছিল তখন প্রশ্ন ওঠে কৃষক কীভাবে পোষাবে। এত কম দামে চাল বিক্রি করতে হলে কৃষকের খরচ উঠবে না। তখনই প্রথমে শেখ হাসিনা বিভিন্ন জনসভায় ন্যায্যমূল্যে সার দেয়ার কথা বললেও একপর্যায়ে তিনি জনসভাগুলোতে বিনামূল্যে কৃষককে সার দেয়ার কথা বলতে শুরু করেন। এর প্রমাণ বিভিন্ন পত্রিকায় রয়েছে। প্রথম আলোর ১৮ ডিসেম্বর সংখ্যায় ‘কোটালীপাড়ার সেই মাঠে ভোট চাইলেন হাসিনা’ শিরোনামে প্রথম পৃষ্ঠার ডাবল কলাম খবরের ভেতরে দেখা যায়, ১৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে ‘...বয়স্কভাতা দ্বিগুণ করা হবে, তাদের চলাফেরা ফ্রি করে দেবে। কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার বিতরণ করা হবে।’ </div><div style="text-align: justify;">এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আসলেই ১০ টাকা কেজিতে চাল ও বিনামূল্যে কৃষকদের সার দেবে, নাকি এটা তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে লিখিতভাবে নেই, তাদের নেত্রী নির্বাচনী সমাবেশে বলেছেন—এসব তাদের প্রতিশ্রুতি নয় বলে এড়িয়ে যাবে? </div><div style="text-align: justify;">আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা অতীতে ‘বিরোধী দলে গেলেও হরতাল করব না’ বলে সংসদ ও রাজপথে বারবার ঘোষণা দিয়েও ২০০১ সালের পর সে ঘোষণা বাস্তবায়ন না করে আওয়ামী লীগ একের পর এক হরতাল করেছে। এবারও মনে হচ্ছে ১০ টাকায় চাল ও বিনামূল্যে সার দেয়ার প্রতিশ্রুতিকে ‘বাত কা বাত’ হয়েই থাকবে।</div><div style="text-align: justify;">সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরপর্বে অন্যান্য প্রসঙ্গ : সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনো দীর্ঘসূত্রতা নেই। তবে, কিছুটা জটিলতা থাকতে পারে। কারণ বিগত চারদলীয় জোট সরকার সর্বক্ষেত্রে এমনভাবে দলীয়করণ করেছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে, আমরা জনগণের কাছে দেয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।</div><div style="text-align: justify;">বুধবার বর্তমান সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শততম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে এ সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত কতটুকু বাস্তবায়ন হলো কতগুলো বাস্তবায়নাধীন প্রতি তিন মাস অন্তর তা পর্যালোচনা করা হয়। তাতে দেখা গেছে, আমাদের সিদ্ধান্তের ৮৪ ভাগই বাস্তবায়ন হয়েছে। কোন কোন মন্ত্রণালয়ে হয়েছে শতভাগ। তাই পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, সরকারের কর্মকাণ্ডে কোন দীর্ঘসূত্রতা নেই।</div><div style="text-align: justify;">প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ করার বিষয়ে সরকার দলীয় সিনিয়র সদস্য আবদূর রাজ্জাকের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুনেছিলাম গ্যাসের ওপর বাংলাদেশ ভাসছে। এই গ্যাস বেচতেই হবে। আমরা ক্ষমতায় থাকতে ১৯৯৬-২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির চাপ ছিলো। গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি বলে অনেক ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। আর এখন দেখছি তীব্র গ্যাস সঙ্কট। আমরা গ্যাস সঙ্কট মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। বাপেক্সকে শক্তিশালী করে নিজেরাই গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি। গ্যাসের অপচয় রোধে বাসাবাড়িতে প্রিপেইড মিটার চালুর ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিজেরাই সিলিন্ডার তৈরি ও এর দাম কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বিদ্যুত্ খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‘জোট সরকারের আমলে বিদ্যুত্ খাতের দুর্নীতি অনিয়মের শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে কিনা’ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতে সংঘটিত আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম উদঘাটনের লক্ষ্যে জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি গঠিত ৪ সদস্যের সাব কমিটি কাজ করছে। এই সাবকমিটি শিগগিরই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দাখিল করবে বলে আশা করা যায়। ওই রিপোর্ট যাচাই-বাছাই শেষে চিহ্নিত অনিয়মগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</div><div style="text-align: justify;">বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশ থেকে ২৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বলে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সংসদে জানান, জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত দুই বছরে ভারত, জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটিশ ভার্জিন আইসল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের ৩১৪টি প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত অর্থ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর অর্থাত্ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে মোট ২২ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান</div><div style="text-align: justify;">।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/02/03/66373">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/02/03/66373</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-26638355684232289082011-02-23T07:11:00.000-08:002011-02-23T07:12:13.876-08:00নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি : খুলনায় ঠিকাদার ব্যবসায়ীরা বিপাকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="color: rgb(153, 153, 153); font-size: 16px; font-weight: normal; ">খুলনা অফিস</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">নির্মাণ সামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে খুলনা অঞ্চলে নির্মাণ কাজসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের উপকরণের দাম ২০ থেকে ২৫ ভাগ বেড়েছে বলে মার্কেট ঘুরে জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রড ও বিটুমিনের দাম। এক শ্রেণীর মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের তত্পরতা রুখতে প্রয়োজনীয় সরকারি উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন। </div><div style="text-align: justify;">সূত্র জানায়, নির্মাণ কাজের অন্যতম প্রধান উপকরণ রডের দাম গত দুই মাসে তিন দফা বেড়েছে। খুলনার বিভিন্ন বাজারে ৬০ গ্রেডের রড প্রতিটন বিক্রি হচ্ছে ৫৯ থেকে ৬০ হাজার টাকা। ৪০ গ্রেডের রড প্রতিটন ৫১ থেকে ৫২ হাজার টাকা। মাসখানেক আগেও ৬০ গ্রেড রড ৫১ হাজার ও ৪০ গ্রেড রড ৩৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। রডের পাশাপাশি বাজারে বেড়েছে সিমেন্টের দামও। কোম্পানিভেদে প্রতিবস্তা সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে এ দর ছিল বস্তাপ্রতি ৩১৫ থেকে ৩২০ টাকা। নির্মাণ কাজে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান বিটুমিনের দাম বেড়েছে ব্যারেলপ্রতি ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা। প্রতি ব্যারেল অর্থাত্ দেড়শ’ কেজি বিটুমিনের আগের দাম ছিল ৬ হাজার ১০০ থেকে ৬ হাজার ২০০ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৩শ’ টাকায়। বালুর দামও বেড়েছে কয়েকদফা। খুলনার বাজারে ৪ ধরনের বালু পাওয়া যায়। মোটা বালু, কুষ্টিয়ার বালু, সিলেট বালু ও ধুলা বালু। এসব বালু ফুট প্রতি এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। গত মাসে সিলেট বালু ফুটপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ২৯ টাকায়। পাথর প্রতি ফুট এক মাস আগেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৪ টাকায়। পলিথিনের এক মাস আগের দর ছিল প্রতি কেজি ৯০ টাকা, এখন তা ১১১ টাকা। ইটের দামও একই সময়ের ব্যবধানে প্রতি হাজারে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">রডের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে স্টিল রি-রোলিং মিল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাঁচামালের অভাবে রডের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে। এ কারণে রডের দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, কাঁচামাল সঙ্কটের কারণে রডের মূল্য বেড়েছে—এ কথা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ দেশে স্ক্র্যাপ ও ফিনিশড রড আমদানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিছু স্টিল রি-রোলিং মিল মালিক ও আমদানিকারকদের একটি সিন্ডিকেট কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে রডের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">এদিকে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণ ঠিকাদাররা জানান, বিভিন্ন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে প্রতিযোগিতামূলক দরে তারা বিভিন্ন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের ঠিকাদারি পেয়ে থাকেন। হঠাত্ করে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কয়েকদফা বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন আর্থিকভাবে লোকসানের মুখোমুখি রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে কাজ বন্ধ রাখতেও বাধ্য হচ্ছেন। শুধু ঘরবাড়ি ও ভবন তৈরি নয়, রাস্তা, পুল, সেতুসহ বিভিন্ন নির্মাণকাজে ব্যাপকভাবে লোহার রড ও সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তাই সিমেন্ট ও রডের দাম বাড়লে এসব কাজে স্বাভাবিকভাবেই বিঘ্নের সৃষ্টি হয়। সামগ্রিকভাবে সব নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এ অবস্থায় নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই দুরূহ হয়ে পড়েছে। অনুরূপ কথা বলেছেন খুলনার কয়েকজন আবাসন ব্যবসায়ী। নির্মাণ সামগ্রীর দাম অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় তারা সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/02/01/66057">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/02/01/66057</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-73224607091284267712011-01-22T08:30:00.001-08:002011-01-22T08:30:52.973-08:00দাম বেড়েছে চাল আটা রসুন ও ভোজ্যতেলের : এক বছরে মোটা চালে বেড়েছে ৩৯ শতাংশ : টিসিবি<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">রেজাউল হক কৌশিক</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যেই বিরাজ করছে অস্থিরতা। কিছুতেই নামানো যাচ্ছে না দ্রব্যমূ-ল্যের ঊর্ধ্বগতি। সরকারের বারবার হুশিয়ারি সত্ত্বেও দাম কমার পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে। ভরা মৌসুমেও দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে পরিকল্পিত বাজার মনিটরিং না থাকা, কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি, ধান-চাল মজুত এবং আমদানি না থাকাকে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে একজন অন্যজনের ওপর দোষ চাপালেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। এতে উচ্চ আয়ের মানুষের তেমন সমস্যা না হলেও হিমশিম খাচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। গত সপ্তাহের তুলনায় চাল, আটা, ময়দা, ছোলা, রসুন, সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">এখন আমনের ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও না কমে প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে চালের দাম। উত্পাদন, পর্যাপ্ত মজুত এবং সারাদেশে ওএমএসের মাধ্যমে সরকার চাল বিক্রি শুরু করলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়ছে না। বাজারে নতুন চাল উঠলে পুরান চালের দাম কমার প্রবণতা স্বাভাবিক নিয়ম হলেও এ বছর তার ব্যতিক্রম কেন হচ্ছে এর সঠিক ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারছে না। একে অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। চালসহ কোনো দ্রব্যমূল্যের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের।</div><div style="text-align: justify;">মিলারদের অতিরিক্ত ধান-চাল মজুত, পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণ সুবিধা, গুদামে ধান-চাল আটকে রেখে অতি মুনাফা করার প্রবণতা ইত্যাদির কারণে চালের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দাম বাড়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য সরকার আগামী সপ্তাহে একটি কমিটি করবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও চলতি মাসেই মজুতবিরোধী আইন হবে বলে জানা গেছে।</div><div style="text-align: justify;">গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিনিকেট চাল পাইকারি ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, খুচরা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা; পাইজাম পাইকারি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, খুচরা ৪০ থেকে ৪২ টাকা; লতা পাইকারি ৪০ থেকে ৪৪ টাকা, খুচরা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা; পারি পাইকারি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, খুচরা ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা; নাজির পাইকারি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, খুচরা ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা; স্বর্ণা পাইকারি ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা, খুচরা ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা; হাসকি পাইকারি ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা, খুচরা ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা, মোটা চাল পাইকারি ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, খুচরা ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। ঠিক এক বছর আগে এই চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৬ থেকে ২৮ টাকা। টিসিবি’র তথ্য মতে, গত এক বছরে শুধু মোটা চালের দামই বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাবেও এক বছরে চালের গড় দাম বৃদ্ধি ২৪ শতাংশ।</div><div style="text-align: justify;">চালের আড়তদাররা বলছেন, চালকলগুলো বিপুল পরিমাণ চাল গুদামজাত করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে। আর চাতাল ও মিল মালিকরা বলছেন, আড়তদার ও পাইকাররা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। এভাবে একে অপরের ওপর দোষ চাপালেও সরকারিভাবে বাজারে মজুত তদারকি এবং সমগ্র বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় এভাবে চালের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।</div><div style="text-align: justify;">কোন মিলের কত মজুত, ধান থেকে চাল করা এবং সেই চালের কত পরিমাণ বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে তার কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে চালের সঙ্গে আটা ময়দার দামও বেড়েছে। প্যাকেট আটা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, খোলা আটা ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৩৯ থেকে ৪০ টাকা, খোলা ময়দা ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি আটায় বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা এবং এক মাসের তুলনায় বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা।</div><div style="text-align: justify;">চাল ও আটা ছাড়াও এ সপ্তাহে বেড়েছে সয়াবিন তেল, ডাল, চিনি ও তরিতরকারির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। মশুর ডাল মানভেদে ১০০ থেকে ১১৪ টাকা। রসুন দেশি ভালোটা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং সাধারণ মানের ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি । শুকনা মরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রতি কেজি গুঁড়া হলুদ বিক্রি হয়েছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, ছোলা ৪৫ টাকা। প্রতিকেজি পুরাতন আদা বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় এবং নতুন আদা ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। জিরা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, এলাচ ২ হাজার ৯০০ টাকা, মোটাদানার এলাচ ৩ হাজার টাকা, দারুচিনি ২২০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, কেজিপ্রতি লবণ ২০ টাকা, প্রতি হালি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৪ টাকা।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে শীত মৌসুম হওয়ার পরও সবজির দাম কম নয়। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন (গোল) বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আলু ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পাতাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে ১০ থেকে ১২ টাকা, শসা ২৪ থেকে ২৫ টাকা, শিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৬ থেকে ১৮ টাকা। এছাড়া টমেটো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। </div><div style="text-align: justify;">এদিকে মাছ গোশতের বাজারও রয়েছে চড়া। গোশতের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২৫ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি পিস ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, গরুর গোশত ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা ও খাসির গোশত ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়। মাছের মধ্যে রুই প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ৪৭৫ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে অন্যান্য দ্রব্যের মতো দাম বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েলের। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে গত সপ্তাহের তুলনায় গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সয়াবিনে ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে ৯৮ টাকা এবং পামঅয়েল ৮৮ টাকা কেজি নির্ধারিত থাকলেও বিক্রি হয়েছে আরও বেশি দামে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১০০ টাকা দরে। আর পাম সুপার তেল ৯৩ টাকা লিটার দরে। রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. আলী ভুট্টো জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেশি। আর দেশে ভোজ্যতেলের বাজার পুরোপুরিই আমদানিনির্ভর। তাই বিশ্ববাজারে দাম না কমলে দেশীয় বাজারে দাম কমার সম্ভাবনা কম। </div><div style="text-align: justify;">বোতলজাত তেলের মধ্যে পাঁচ লিটারের বোতল ৫০৫ থেকে ৫১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১০২ থেকে ১০৪ টাকা দরে। রূপচাঁদা, তীর, ফ্রেশ, মুসকান, পুষ্টিসহ প্রায় সব কোম্পানির তেলের দামই এক দেখা গেছে।</div><div style="text-align: justify;">এগুলো ছাড়াও গত মাসের তুলনায় প্যাকেটজাত ডানো গুঁড়ো দুধ প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫৫ থেকে ৪৭০ টাকায়, ডিপ্লোমা (নিউজিল্যান্ড) একইভাবে বেড়ে একই দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেটজাত ফ্রেশ ও মার্কস গুঁড়ো দুধ গত মাসের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৯০ থেকে ৪০০ টাকায়।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/09/62276">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/09/62276</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-53316367821216714552011-01-07T21:47:00.000-08:002011-01-07T21:48:38.995-08:00সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ : ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের লাগাতার কর্মসূচি<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হোসেন তাহের ইমাম (এইচটি ইমাম) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের নেতারা। গতকাল সকালে সম্মিলিত পরিষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার সরে যাওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। </div><div style="text-align: justify;">সভায় নেতারা বলেন, শিক্ষানীতি সংশোধন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মো. আফজলের অপসারণের দাবি ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের ২৬ ডিসেম্বর আহূত হরতাল স্থগিত করা হয়; কিন্তু সরকারের প্রতিনিধি এইচটি ইমাম তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেছেন। যার ফলে বাধ্য হয়ে লাগাতার কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। </div><div style="text-align: justify;">সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মোমতাজ চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ড. মাওলানা খলীলুর রহমান মাদানী, এনডিপি মহাসচিব আলমগীর মজুমদার প্রমুখ। ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব দল, গোষ্ঠী ও তাওহিদি জনতাকে আগামীতে যে কোনো ধরনের কঠোর কর্মসূচিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য তারা আহ্বান জানান।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/04/61380">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/04/61380</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-66327276107666058412011-01-07T20:42:00.000-08:002011-01-07T20:44:17.470-08:00লাগামহীন বাজারে ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ : চাল আটা তেল পেঁয়াজ চিনির দাম আরও বেড়েছে<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh95_OoB67-Brx4KJnwFIXteNxbaQw0-omNO4bFNEb9BzeTCq5FlohDpqarpysHdz6DB8aVLQBkhh00gVsXz_4QocjXSNw8FC_kvAz18lcDzHz5wk56hzMtLz0GXzkv2tTNoRszQJ5RCVV_/s1600/P1_lagamhin-bajare.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 400px; height: 202px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh95_OoB67-Brx4KJnwFIXteNxbaQw0-omNO4bFNEb9BzeTCq5FlohDpqarpysHdz6DB8aVLQBkhh00gVsXz_4QocjXSNw8FC_kvAz18lcDzHz5wk56hzMtLz0GXzkv2tTNoRszQJ5RCVV_/s400/P1_lagamhin-bajare.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5559671286936536818" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">সৈয়দ মিজানুর রহমান</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">এক কেজি মোটা চাল এখন ৩৮ টাকা, খোলা আটা ৩৬ টাকা আর চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। শুধু চাল, চিনি আর আটাই নয়, এক লিটার লুজ সয়াবিনের দাম ঠেকেছে ১০০ টাকায়, পাম অয়েল ৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। নিত্যপণ্যের এমন চড়া দামে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। আবার কেউ কেউ চড়া দামে এসব পণ্য কিনতেই পারছেন না। তবে সরকারের দাবি—বাজার নিয়ন্ত্রণেই আছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন </div><div style="text-align: justify;">অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল সূত্রে জানা গেছে, চাল, চিনি, আটা, ময়দা, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রেখে যাওয়া বাজার দরকেও টপকে গেছে। এসব পণ্যের দাম গত দুই বছরের ব্যবধানে কোনোটি দ্বিগুণ, আবার কোনোটির দাম তিনগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। </div><div style="text-align: justify;">গতকাল সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল (স্বর্ণা বা চায়না ইরি) বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা কেজি। টিসিবি’র তথ্যমতে, মোটা চালের দাম গত এক বছরে প্রায় ৩২ শতাংশ বেড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিন ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি বাজারে মোটা চাল ২৭ থেকে ২৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে জানায় টিসিবি।</div><div style="text-align: justify;">টিসিবির তথ্যমতে, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়। তবে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি এ মানের চালের দাম ছিল ৩৩ থেকে ৩৮ টাকা। পলাশীমোড় কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, গতকাল খুচরা প্রতি কেজি নাজির ও মিনিকেট বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা। আর উত্তম মানের নাজির ও মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৫১ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। </div><div style="text-align: justify;">বাজারে এক কেজি খোলা আটার দাম এখন ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। তবে টিসিবি’র দাবি, গতকাল খুচরা বাজারে খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা কেজি। তবে এ মানের আটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিন ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে জানায় টিসিবি। প্যাকেটজাত আটা বর্তমানে প্রতি কেজি ৩৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি কেজি খোলা ময়দার দাম এখন ৩৬/৩৮ টাকা। দুই বছর আগে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে। টিসিবি জানিয়েছে, ময়দার দাম এক বছরের ব্যবধানে ১৭ শতাংশ বেড়েছে। </div><div style="text-align: justify;">বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি লিটার লুজ সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। টিসিবির হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে লুজ সয়াবিনের দাম বেড়েছে ২৬ শতাংশ। সব শেষ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ২ টাকা পর্যন্ত বাড়ে বলে জানিয়েছে টিসিবি। তবে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে লুজ সয়াবিন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে জানায় টিসিবির বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল।</div><div style="text-align: justify;">বাজারে পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে এখন প্রতি লিটার ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। তবে লুজ পামঅয়েল প্রতি লিটার ৮৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় টিসিবি। টিসিবির হিসাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষদিন বাজারে পামঅয়েল বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে। পামঅয়েলের দাম এক বছরের ব্যবধানেই প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানায় টিসিবি। </div><div style="text-align: justify;">২০০৯ সালের শুরুর দিকে বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৪ টাকা। তবে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। অবশ্য টিসিবি বলছে, চিনির দর গত এক সপ্তাহে বেড়ে ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি জানায়, চিনির দর গত এক বছর ধরেই চড়া। </div><div style="text-align: justify;">বাজার ঘুরে জানা গেছে, আবার উত্তাপ বাড়ছে পেঁয়াজের বাজারে। পেঁয়াজের দর এক মাসে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। টিসিবি জানায়, গতকাল আরেক দফা দেশি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ এখন ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দর ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা। এ তথ্য টিসিবির। সে সময় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৬ টাকা দরে। টিসিবি জানিয়েছে, আমদানি করা পেঁয়াজের দর অস্বাভাবিক চড়া থাকায় এর ক্রেতা নেই। ফলে গতকাল টিসিবির বাজারদর তথ্যে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্যও স্থান পায়নি। </div><div style="text-align: justify;">বাজারে এক কেজি রসুনের দর এখন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রসুনের দর ছিল ২৪ থেকে ৩২ টাকা কেজি। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রতি কেজি রসুনের দর বেড়েছে ১৫৬ টাকা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন এটা নজিরবিহীন। তবে রসুনের দর এত অস্বাভাবিক বাড়লেও, এ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির কারণ ক্ষতিয়ে দেখেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা সরকারের অন্য কোনো সংস্থা। </div><div style="text-align: justify;">নিত্যপণ্যের চড়া দর হলেও, সরকারের তরফ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণেই আছে। </div><div style="text-align: justify;">খোলা তেল-চিনি বেচা যাবে না : ভোজ্যতেল ও চিনি ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ দুটি পণ্য বিক্রিতে প্যাকেটজাত বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ ছাড়া তেল ও চিনি বিক্রি এবং বাজারজাতে ডিও (চাহিদাপত্র) প্রথা তুলে দিয়ে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে পরিবেশক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ও চিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান। বাণিজ্য সচিব সাংবাদিকদের জানান, এ সিদ্ধান্ত এখনও কার্যকর হয়নি। তবে মঙ্গলবার এ নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকের পর থেকে সার্কুলার জারি করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। তবে ডিলার অথবা পরিবেশকের মাধ্যমে তা বিক্রি করতে হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরও বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনি বাজারজাতকরণে প্রচলিত ডিও প্রথা বাতিলের ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এম মর্তুজা রেজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যারিপ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান, আমদানি-রফতানি অধিদফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক এমএ সবুর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া, ভোজ্যতেল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি রউফ চৌধুরী এবং ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনের মিল মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।</div><div style="text-align: justify;">বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, কিছু কিছু জটিলতা থাকায় বৈঠকে উত্পাদনকারীরা ডিলারশিপের মাধ্যমে ভোজ্যতেল ও চিনি বিক্রির পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। নিত্যপণ্যের দর চড়া হওয়ার পেছনে পাইকারি, খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদেরও দায়ী করেন বাণিজ্য সচিব</div><div style="text-align: justify;">।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/03/61193">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/03/61193</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-89974962864637838822010-12-31T14:24:00.000-08:002010-12-31T14:25:41.047-08:00ওলামা পরিষদ : সরকারের ওয়াদা ভঙ্গের প্রতিবাদে কাল বিক্ষোভ সমাবেশ<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">জাতীয় শিক্ষানীতি সংশোধন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মো. আফজলের অপসারণের দাবি ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের প্রতিশ্রুত অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল রাজধানীতে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্মিলিত ওলামা পরিষদ। আগামীকাল বাদ জুমা মুক্তাঙ্গনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সরকারপক্ষের দেয়া আশ্বাস তথা সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় জানানো হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, পরিষদ নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদিন, ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মোমতাজ চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, এনডিপি মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, পরিষদের মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সেক্রেটারি মাওলানা সালেহ সিদ্দিকী, মাওলানা আবদুছ ছবুর মাতুব্বার, মাওলানা মুহাম্মদ ফাহিম ছিদ্দীকী, মুফতি মাওলানা নাছির উদ্দিন, মোফাচ্ছির মাওলানা মুহাম্মদ কামরুল হাসান, মাওলানা আবুল হাসান প্রমুখ। নেতারা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব দল, গোষ্ঠী ও তাওহিদি জনতাকে ৩১ ডিসেম্বর মুক্তাঙ্গনে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলকে সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/30/60609">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/30/60609</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-6042510062922975642010-12-29T03:25:00.001-08:002010-12-29T03:26:35.871-08:00তিনি কসম খেয়েছিলেন - ওলামা পরিষদ : ওলামা পরিষদের অধিকাংশ দাবি অযৌক্তিক - এইচটি ইমাম<a onblur="try {parent.deselectBloggerImageGracefully();} catch(e) {}" href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh_6htbtWCoB_QtG1_8iy44CY_Avyc3TwRCi9xyUgOHwKRgrrIezk74x3bxJDUlt7VwnyYqk1mVU-Pcm6sg4b-Vo892dAyF0P955JaizDhaRyZ5s2A-morjj9TOejqO2xHglp0rkqnDBuw_/s1600/P1_tini-kosom-kheesilen.jpg"><img style="float:left; margin:0 10px 10px 0;cursor:pointer; cursor:hand;width: 288px; height: 238px;" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh_6htbtWCoB_QtG1_8iy44CY_Avyc3TwRCi9xyUgOHwKRgrrIezk74x3bxJDUlt7VwnyYqk1mVU-Pcm6sg4b-Vo892dAyF0P955JaizDhaRyZ5s2A-morjj9TOejqO2xHglp0rkqnDBuw_/s400/P1_tini-kosom-kheesilen.jpg" border="0" alt="" id="BLOGGER_PHOTO_ID_5556064089328391106" /></a><br /><span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); "><br /></span></h1><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">রকিবুল হক</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">দফায় দফায় আলোচনা ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে হরতাল স্থগিত করার এক দিনের মাথায় সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের দাবি-দাওয়ার অধিকাংশই অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। গতকাল তিনি বলেন, ওলামা পরিষদের দাবি পূরণের কোনো আশ্বাস দেইনি। তাদের দাবি নিয়ে আলোচনার কথা বলেছি। অপরদিকে এইচটি ইমামের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ওলামা পরিষদ নেতারা। তারা বলেন, দাবি পূরণের ব্যাপারে উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে কসম করেছেন। তার ওয়াদা এবং অনুরোধ অনুযায়ী হরতাল স্থগিত করা হয়েছে। এখন অস্বীকার করলে তা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। তার এই বক্তব্যের বিষয়ে ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। অপরদিকে হরতাল স্থগিত করা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ওলামা পরিষদ।</div><div style="text-align: justify;">সূত্রমতে, সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া জাতীয় শিক্ষানীতিকে ধর্মহীন আখ্যায়িত করে এটি সংশোধন, ইমামদের অনুষ্ঠানে মার্কিন তরুণ-তরুণীদের নিয়ে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনের অভিযোগে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজির অপসারণ এবং ’৭২ সালের সংবিধানে ফেরার নামে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে ৮ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৬ ডিসেম্বর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ। এ ঘোষণার পর থেকেই হরতাল প্রত্যাহার করাতে ওলামাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন সরকারের প্রতিনিধিরা। এর অংশ হিসেবেই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সঙ্গে ওলামাদের ৩ দফা বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করা হয়। সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর রাতে এইচটি ইমামের বাসায় ওলামাদের বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়। এ প্রেক্ষিতেই শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হরতাল স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ওলামা পরিষদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ নেতা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন ভালোভাবে উদযাপন এবং দাবি-দাওয়া পূরণের ব্যাপারে সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তাদের অনুরোধেই হরতাল স্থগিত করা হয়। তবে এক মাসের মধ্যে এসব দাবি না মানা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পরিষদ।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে ওলামা পরিষদের এই ঘোষণার এক দিনের মাথায় গতকাল একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ওলামাদের ঘোষণাকে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের দাবি-দাওয়ার অধিকাংশই অযৌক্তিক। দু-একটি প্রস্তাবনা গ্রহণযোগ্য। এগুলোকে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ডাকা রোববারের হরতালে একটি রাজনৈতিক দলের ইন্ধন ছিল। অকারণে তারা সমর্থন দিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করছিল। তা আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে গৃহীত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯-এর মূল স্তম্ভ নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। এই শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। এটি গ্রহণযোগ্য নীতি নয় বললেই তো আর পরিবর্তন করা যায় না। </div><div style="text-align: justify;">সরকারের আশ্বাসে ২৬ ডিসেম্বর ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ডাকা হরতাল স্থগিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করার বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওরকম কোনো আশ্বাসের কথা বলিনি। বলেছি, তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। এটা নিয়ে কেবিনেটে, সংসদে আলোচনা হবে। তারপর ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করব। ইফার ডিজিকে অপসারণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে এইচটি ইমাম বলেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। উল্লেখ্য, হরতালকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ব্যাপক নাশকতা হতে পারে, গোয়েন্দাদের এমন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকেই এই হরতাল প্রত্যাহার করাতে সরকার নানা রকম চেষ্টা শুরু করে। </div><div style="text-align: justify;">এদিকে এইচটি ইমামের এই বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, এইচটি ইমামের বক্তব্য সম্পর্কে আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে। তবে তিনি বলেছেন, উপদেষ্টা শিক্ষানীতির মৌলিক বিষয় সংশোধনে আলাপ-আলোচনার কথা বলেছেন। তার কথার ভিত্তিতেই হরতাল প্রত্যাহার করেছি। এখন যদি তিনি অস্বীকার করেন তাহলে তা দুঃখজনক এবং রাজনৈতিক অসাধুতা হিসেবে গণ্য হবে। তার মতো একজন দায়িত্বশীল এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে এখন অস্বীকার করার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রেসনোট দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। তবে ওলামাদের সঙ্গে বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার কাজ করবে বলে তিনি আশা করেন।</div><div style="text-align: justify;">এ বিষয়ে ওলামা পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, এইচটি ইমাম দাবি পূরণের ব্যাপারে ৩ বার কসম করেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘পর্যায়ক্রমে শিক্ষানীতি সংশোধন করা হবে। ইফা ডিজির অপসারণ বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে। এসব বিষয়ে এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আপনারা হরতাল প্রত্যাহার করেন, সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে সরকারিভাবে একটি ঘোষণা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। রোববারের মধ্যে কোনো ঘোষণা না এলে আজ পরিষদের বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও ড. মাদানী জানান। </div><div style="text-align: justify;">আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ : এদিকে জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে হরতাল স্থগিত করেছে মর্মে প্রদত্ত আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ। এ বিষয়ে গতকাল পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বলা হয়, এতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে হরতাল আহ্বান এবং স্থগিত সম্পর্কিত সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ নেতাদের আলোচনা সম্পর্কে আইনমন্ত্রীর নিদারুণ অজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।</div><div style="text-align: justify;">সভায় আরও বলা হয়, পরিষদ নেতারা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠককালে পরিষদের দৃষ্টিতে জাতীয় শিক্ষানীতির ত্রুটি-বিচ্যুতি পেশ করা হয়। তারা পরিষদ নেতাদের বক্তব্য অত্যন্ত ধৈর্যসহ শোনেন এবং কোনো বাধ্যবাধকতা বা শর্তারোপ করেননি। জাতীয় শিক্ষানীতির ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরীকরণার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস প্রদানের প্রেক্ষিতে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ তাদের হরতাল স্থগিত ঘোষণা করে। আইনমন্ত্রী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের ভাষায় শিক্ষানীতি সম্পর্কে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পরিষদ হরতাল স্থগিত করেনি—হরতাল স্থগিত করা সম্পর্কে তাদের বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তির বেড়াজাল সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের এক সূক্ষ্ম কৌশল বৈ আর কিছুই নয়।</div><div style="text-align: justify;">তারা বলেন, শিক্ষানীতির সংশোধন ও ইফার বিতর্কিত ডিজির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রশ্নে আমরা আমাদের দাবিতে অটল আছি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ হরতালের পাশাপাশি যে কোনো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করলে উদ্ভূত ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে</div><div style="text-align: justify;">।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/27/60090">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/27/60090</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-62104600432512286592010-12-29T02:36:00.001-08:002010-12-29T02:36:54.870-08:00মোটা চালের কেজি ৩৮ টাকা ফাঁপরে নিম্ন আয়ের মানুষ<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">সৈয়দ মিজানুর রহমান</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">বাজারে এখন এক কেজি মোটা চালের দাম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। ৩৬ টাকা দরে যে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে তার মান খুব একটা ভালো না। তবে মান ভালো না হলেও কিছুই করার নেই গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষের। </div><div style="text-align: justify;">চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা বাজারে এখন ৩৮ টাকা কেজি দরে মোটা চাল (স্বর্ণা বা চায়না ইরি) বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এ মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা দরে। গত সাত দিনে প্রতি কেজি মোটা চালের দর বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। </div><div style="text-align: justify;">রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন গতকাল আমার দেশকে জানান, পাইকারি চালের আড়তে গত কয়েক দিন ধরেই দর ঊর্ধ্বমুখী। আড়তে সাত দিনের মাথায় প্রতি বস্তা মোটা চালের দর বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তিনি দাবি করেন, মিলাররা চালের মজুদ গড়ে তুলছে। ফলে আড়তে মোটা চালের আমদানি কম। এ কারণে দাম বাড়ছে। </div><div style="text-align: justify;">বাদামতলীর চাল ব্যবসায়ী আকবর হোসেন জানান, শুধু মোটা চালই নয়, গত কয়েকদিন ধরে সব ধরনের চালের দরই বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের হাতে চালের খুব একটা মজুদ নেই’—এমন খবর ছড়িয়ে রাইসমিলগুলো বাড়তি ফায়দা লুটছে। মিল থেকে চাল সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে গত কয়েক দিনে মোটা চালের দরই বেশি বেড়েছে বলে জানান পাইকারি চাল বিক্রেতা আকবর হোসেন। </div><div style="text-align: justify;">সরকারি বাজার তদারকি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) বাজার দর অনুসন্ধান ও গবেষণা সেল সূত্র জানিয়েছে, গত সাত দিনের মাথায় মোটা চালের দর কয়েক দফায় বেড়েছে। টিসিবি জানিয়েছে, গত এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দর বেড়েছে ৪০ শতাংশ। </div><div style="text-align: justify;">টিসিবি’র দাবি, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা দরে। গত এক মাসে মোটা চালের দর বেড়েছে ৮ শতাংশ। টিসিবি’র তথ্য তুলে ধরে মোটা চালের দর জানতে চাইলে পলাশী মোড় কাঁচা বাজারের চাল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন আমার দেশকে বলেন, ৩৮ টাকার নিচে কোনো মোটা চাল নেই। টিসিবি মোটা চালের দর ৩৪-৩৬ টাকা বললেও বাস্তবে এ দরে রাজধানীর কোনো বাজারেই মোটা চাল মিলছে না বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী। তবে অতি নিম্নমানের মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা দরে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। এ মানের চালের ক্রেতা খুবই কম। </div><div style="text-align: justify;">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি সাধারণ মানের নাজির ও মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা কেজি। ভালো মানের নাজির ও মিনিকেট বিক্রি হয় ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি। তবে টিসিবি জানিয়েছে, মিনিকেট ও নাজির চাল বিক্রি হয় ৪৪ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। </div><div style="text-align: justify;">পাইজাম ও লতা মানের চাল গতকাল বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে। তবে টিসিবি বলছে, এ মানের চাল গতকাল ৩৯ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।</div><div style="text-align: justify;">টিসিবি’র হিসাবে ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাজারে এক কেজি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৬ টাকা দরে। সে সময় মোটা চালের দর ছিল ১৭ থেকে ১৯ টাকা কেজি।</div><div style="text-align: justify;">অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার চাল কলগুলোতে যে দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, রাজধানীর বাজারে এখন সে চাল প্রতি কেজিতেই ৯ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে বাবুবাজারের চালের আড়তদার আনসার হোসেন বলেন, ‘চালের বাজারে এখন শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। ভারতে দর বাড়ার খবর বেরুলেও এখানে দাম বেড়ে যায়। আবার সরকারের কাছে মজুদ নেই, এমন তথ্যও মিলাররা জানেন। বাজারে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা।’</div><div style="text-align: justify;">দেশীয় মিনিকেট চালের প্রধান উত্সস্থল কুষ্টিয়া। গতকাল কুষ্টিয়ার একটি রাইস মিল মালিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তারা কেন চাল মজুদ করছেন? জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি হচ্ছে। নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠন চাঁদা তুলছে। বেড়ে গেছে ট্রাক ভাড়া। ট্রাক নিয়ে আড়তে ঢুকতে গেলেও চাঁদা গুনতে হচ্ছে।’ এসব কারণে দাম বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। </div><div style="text-align: justify;">দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, শেরপুর, রাজশাহী ও নাটোরসহ বিভিন্ন জেলার রাইস মিলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ধান বা চালের কোনো ঘাটতি নেই। তার পরও কেন চালের বাজার চড়া—জানতে চাইলে বাবুবাজারের আরেক চাল বিক্রেতা ফয়সাল মোল্লা জানান, চালের দর বাড়লে কৃষকের কোনোই লাভ নেই। এখন বাজারে যেসব চাল আসছে, সেগুলো মিলাররা মজুদ রেখেছিলেন। তাদের হাতে ধানের অভাব নেই। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরাও বাড়তি ফায়দা লুটছে।</div></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/22/59294">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/22/59294</a></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-3265178108112617211.post-89025741495129430852010-12-28T22:46:00.000-08:002010-12-28T22:47:49.463-08:00দাবি বাস্তবায়নে টালবাহানার পরিণতি শুভ হবে না : ওলামা পরিষদ<span class="Apple-style-span" style="font-family: SolaimanLipi, AponaLohit, Bangla, 'Siyam Rupali', Likhan, Vrinda, Verdana, Helvetica, Arial, sans-serif; "><div style="padding-top: 5px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 5px; clear: both; "><div><h1 style="text-align: justify;color: rgb(0, 0, 0); font-size: 22px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; font-weight: bold; "><span class="Apple-style-span" style="font-weight: normal; font-size: 16px; color: rgb(153, 153, 153); ">স্টাফ রিপোর্টার</span></h1></div><div><div style="text-align: justify;">সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের নেতারা বলেছেন, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বর্জিত জাতীয় শিক্ষানীতির সংশোধন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি. শামীম মো. আফজালের অপসারণ ও যথোপযুক্ত শাস্তি বিধান, ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ এবং সংবিধান থেকে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণাঙ্গ আস্থা’র বিষয়টি মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে ২৬ ডিসেম্বর হরতাল কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বেশ ক’বার পরিষদ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিষদ উত্থাপিত যুক্তিযুক্ত দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং প্রেসনোট আকারে তা জাতিকে জানানো হবে-এমন নিশ্চয়তার প্রেক্ষিতেই ওই হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু সরকার পক্ষ এখন তাদের দেয়া ওয়াদা থেকে সরে গিয়ে যে তালবাহানার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রাজনৈতিক অসততা ও মোনাফেকির শামিল। এ ধরনের শঠতা ও ওয়াদা ভঙ্গের পরিণতি শুভ হবে না বলে পরিষদ নেতারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। </div><div style="text-align: justify;">গতকাল বিকালে ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আলমগীর মজুমদার, মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, মমতাজ চৌধুরী প্রমুখ। সভায় উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে সরকারের পক্ষে তার প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ আবারও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।</div><div style="text-align: justify;">এদিকে শিক্ষানীতি সংশোধনসহ অপরাপর দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সূচিত আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতিতে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, আলেম-ওলামা ও পীর-মাশায়েখের সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রথমদিনে গতকাল মাগরিব বাদ বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়।</div></div><div style="text-align: justify;"><a href="http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/29/60408">http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/12/29/60408</a></div></div><div style="padding-top: 10px; padding-right: 0px; padding-bottom: 10px; padding-left: 0px; clear: both; "><div style="clear: both; "></div><ul id="sortlist1" style="list-style-type: none; list-style-position: initial; list-style-image: initial; padding-top: 0px; padding-right: 0px; padding-bottom: 0px; padding-left: 0px; margin-top: 0px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; "><li style="text-align: justify;padding-top: 4px; padding-right: 4px; padding-bottom: 4px; padding-left: 5px; border-top-width: 2px; border-top-style: solid; border-top-color: rgb(117, 186, 16); margin-top: 1px; margin-right: 0px; margin-bottom: 0px; margin-left: 0px; background-color: rgb(255, 255, 255); background-image: url(http://www.amardeshonline.com/img/bg_tal.png); background-repeat: repeat no-repeat; "></li></ul></div></span>Anonymoushttp://www.blogger.com/profile/14996695716574062097noreply@blogger.com0