Saturday 3 April 2010

জুলাইয়ের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে: আবুল মাল আবদুল মুহিত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | Prothom-alo তারিখ: ঢাকা, শনিবার, ৩ এপ্রিল ২০১০, ২০ চৈত্র ১৪১৬, ১৭ রবিউস সানি ১৪৩১

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত সাত বছর দুর্বৃত্ত সরকারের নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হয়েছে। তারা লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে আবদুল মুহিত বলেন, তাদের আমলে কোনো দরপত্রে ঠিকাদারেরা অংশ নিত না। বর্তমান সরকারের আমলে প্রচুর ঠিকাদার আগ্রহ দেখিয়ে কাজ নিচ্ছেন। তাঁরা জানেন, এ সরকার সৎ ও ন্যায়ের মধ্যে কাজ করে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সিরাজুল হক চৌধুরী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, আলমগীর ভূঁইয়া, আকবর হোসেন, সজীব আলী, শরীফ উল্লাহ, সেলিম চৌধুরী, মোতাচ্ছিরুল ইসলাম প্রমুখ।
পরে অর্থমন্ত্রী হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-04-02/news/53442

'২০১৩'র মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হবে'

Sat 3 Apr 2010 6:00 PM BdST

rtnn সিলেট, ০৩ এপ্রিল (আরটিএনএন ডটনেট)-- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহের জন্য সরকার কাজ করছে।

শনিবার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে প্রবাসী উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে নির্মিত ‘বারকাতুল্লাহ ইলেকট্রো ডাইনামিক’ নামের ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুত প্লান্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদুত কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এসময় আগামী দুই মাসের মধ্যে আরো প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুত কেন্দ্রের কার্যাদেশ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে আরো প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

বিদ্যুত সমস্যা মোকাবেলায় সরকার গত মাসে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ৮শ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে বিদ্যুত আমদানির উপায় খোঁজার পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুত বিনিময় কার্যক্রম নিয়ে দু'দেশের কারিগরি প্রতিনিধি দল কাজ করে যাচ্ছে।'

সার কারখানা বন্ধ করে বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে আজ থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশবাসী বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নয়ন দেখতে পাবেন।

তিনি বলেন, গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলার জন্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে এলএনজি গ্যাস (লিকুইড ন্যাচারল গ্যাস) আমদানির চেষ্টা করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের পর এটা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সিলেট সফর।

আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিনিধি/আইএইচ/এমএম_১৫৫৪ ঘ.

http://rtnn.net/details.php?id=23257&p=1&s=4

Thursday 1 April 2010

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উপায় নেই: অর্থমন্ত্রী

Tue 30 Mar 2010 9:53 PM BdST

rtnn ঢাকা, ৩০ মার্চ (আরটিএনএন ডটনেট)-- জ্বালানি খাতে দুর্ভিক্ষ চলছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিএনজি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ নিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেশে সিএনজি গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কম উল্লখে করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাম না বাড়িয়ে কোন উপায় নেই। কারণ বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়ছেই।

জ্বালানি খাতে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে সরকারের আলাদা কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।

মুহিত বলেন, ‘গাড়িতে সিএনজি ব্যবহারের হার অনেক বেড়ে গেছে। এ খাতে সরকার প্রতি বছর বড় অংকের ভর্তুকিও গুণছে। তাই মূল্য বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।’

বিগত নয় বছর ধরে বিদ্যুত খাতে কোন উন্নয়ন নেই অভিযোগ করে তিনি বিদ্যুত ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর কথা বলেন।

http://rtnn.net/details.php?id=23136&p=1&s=2

শিক্ষার পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

Thu 1 Apr 2010 9:58 PM BdST

rtnn ঢাকা, ০১ এপ্রিল (আরটিএনএন ডটনেট)-- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১ লাখ ২৪ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেশে শিক্ষার পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে বলেই প্রমাণ করে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন পরীক্ষা অনেক বেশী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারা দেশে সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও প্রতি বছরই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।

পরীক্ষার কেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের ফলে এখন আমরা সুফল পেতে শুরু করেছি।’

নকলকে প্রায় নির্মূল করা হয়েছে দাবি করে নাহিদ বলেন, নকল হলেই কেন্দ্র বাতিল করা হবে। এর সঙ্গে কোনো শিক্ষক জড়িত থাকলে তার এমপিও বাতিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে সকল কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ১টায় শেষ হয় বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা।


উল্লেখ্য, এবছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সাত লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে ৪ লাখ ৪৬৪ জন ছাত্র ও ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৯ জন ছাত্রী।

http://rtnn.net/details.php?id=23210&p=1&s=5